শব্দ (Sound)

Submitted by arpita pramanik on Fri, 07/24/2020 - 16:55

 শব্দ (Sound)

শব্দ কথাটি আমাদের সকলেরই পরিচিত । সারাদিন আমরা বিভিন্ন ধরণের শব্দ শুনে থাকি । যেমন পাখির কলরবের শব্দ, রাস্তায় গাড়ির শব্দ, সাউন্ড সিস্টেমের শব্দ, কল থেকে জল পড়ার শব্দ – এরা সকলেই আমাদের শ্রবণানুভূতি জাগায় । শব্দ উৎসের তারতম্য অনুযায়ী  কোনো শব্দ শ্রুতিমধুর লাগে অথবা আবার কোনো শব্দ শ্রুতিকটু লাগে । তাপ শক্তি, আলো শক্তির মতো শব্দও একপ্রকার শক্তি । উৎস থেকে শব্দ উৎপন্ন হয় এবং সেই শব্দ শক্তি বায়ু মাধ্যমের ভিতর দিয়ে পরিবাহিত হয়ে এসে আমাদের কানে পৌঁছায় এবং আমরা শুনতে পাই ।

বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং নানা রকমের পরীক্ষা থেকে জানা যায় কোন না কোন বস্তুর কম্পন ছাড়া শব্দের সৃষ্টি হয় না । যেমন স্টিলের থালা হাত থেকে মেঝেতে পড়ে গেলে ঝনঝন শব্দ শোনা যায় এবং ওই সময় থালাতে হাত দিলে বোঝা যায় থালাটি কাঁপছে । পিতলের ঘন্টা বাজালে শব্দ সৃষ্টি হয় এবং ঘন্টাতে হাত দিলে বোঝা যায় ঘণ্টাটি কাঁপছে । কম্পন ছাড়া শব্দ সৃষ্টি হতে পারে না বস্তুর কম্পন -এ উৎপন্ন যান্ত্রিক শক্তি তথা গতিশক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় । তাই আলোক এবং তাপের মতো শব্দ এক প্রকারের শক্তি । শব্দের উৎস থেকে উৎপন্ন শব্দ শক্তি তরঙ্গের আকারে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা আমাদের কানের ভিতরে প্রবেশ করলে আমাদের মস্তিষ্কে এক বিশেষ অনুভূতি সৃষ্টি করে ফলে আমরা শব্দ শুনতে পাই ।

শব্দের সংজ্ঞা(Definition of Sound) : কোন কম্পনশীল বস্তু থেকে যে শক্তি মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আমাদের কানে এসে পৌঁছায় এবং মস্তিষ্কে এক বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি করে তাকে শব্দ বলে ।

 

শব্দের উৎস

বস্তুর কম্পন শব্দ উৎপন্ন হয়

শব্দ বিস্তারের জন্য বাস্তব মাধ্যমের প্রয়োজন

তরঙ্গ

শব্দ তরঙ্গের প্রকৃতি

শব্দ বিস্তারের কৌশল

তরঙ্গ সম্পর্কিত কয়েকটি রাশির সংজ্ঞা

শব্দের বেগ

গ্যাস মাধ্যমে শব্দের বেগের উপর চাপ ঘনত্ব উষ্ণতা এবং আদ্রতার প্রভাব

শব্দের বেগ সম্পর্কিত নিউটন এবং ল্যাপলাসের সূত্র

কঠিন এবং তরল মাধ্যমে শব্দের বেগ

শব্দের প্রতিফলন

শব্দের প্রতিফলনের ব্যাবহারিক প্রয়োগ

প্রতিধ্বনি

সুর এবং স্বর

সুরযুক্ত সুর এবং সুর বর্জিত শব্দ

শব্দের উৎস কম্পন (Vibration as source of sound)

শব্দের বিস্তার : তরঙ্গ (Propagation of sound : wave)

শব্দের কয়েকটি ধর্ম ( Some properties of sound )

শব্দের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Sound)

মানুষের কান এবং শব্দ শোনার কৌশল ( Human Ear and Mechanism of hearing sound )

শব্দদূষণ (Sound poullution )

*****

Comments

Related Items

প্রেসার কুকার (Pressure Cooker)

প্রেসার কুকার যন্ত্রে জলীয় বাষ্পের চাপ বাড়িয়ে 100°C এর বেশি উষ্ণতায় জলকে ফোটানো হয় । ফলে বেশি উষ্ণতায় খাদ্যদ্রব্য অল্পসময়ের মধ্যে সুসিদ্ধ হয় । অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি শক্ত একটি পাত্র প্রেসার কুকার তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয় যাতে 2 বায়ুমন্ডল চাপের

অ্যাসিড, ক্ষারক ও লবণ

সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL), সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH), ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4), সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)

দ্রবণ (Solution)

যে পদার্থ দ্রবীভূত হয় তাকে দ্রাব বলে এবং যার মধ্যে দ্রাব দ্রবীভূত হয় তাকে বলা হয় দ্রাবক । দ্রাব এবং দ্রাবক এর সমসত্ব মিশ্রণ হল দ্রবণ । দ্রবণের দুটি অংশে থাকে --- দ্রাব (Solute) এবং দ্রাবক (Solvent) । অর্থাৎ দ্রবণ = দ্রাব + দ্রাবক

শব্দ বিস্তারের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়

শব্দের উৎস থেকে উৎপন্ন শব্দ বায়ু মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আমাদের কানে এসে পৌঁছলে মস্তিষ্কে এক রকম অনুভূতি সৃষ্টি করে । তখন আমরা শব্দ শুনতে পাই । বায়ু মাধ্যম না থাকলে শব্দ আমাদের কানে পৌঁছতে পারত না । ফলে আমরা শব্দ শুনতে পেতাম না । কঠিন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে শব্দের বিস্তার ...

পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন

পদার্থ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় এই তিন অবস্থায় থাকতে পারে । তাপ প্রয়োগ করলে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয় । তাপ প্রয়োগে কঠিন পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হয় আবার তাপ নিষ্কাশনে গ্যাসীয় পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয় ।