নিউটনের গতিসূত্র

Submitted by arpita pramanik on Fri, 09/04/2020 - 13:21

নিউটনের গতিসূত্র (Newtons Laws of Motion)

স্থিতি না গতি কোনটি বস্তুর স্বাভাবিক অবস্থা এবং কি কারনে বস্তু গতিশীল হয় । কোনো বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে বস্তুটির স্থিতি ও গতি কেমন হবে -- এইসব নানা প্রশ্নের সমাধান করতে গিয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Isaac Newton) বস্তুর গতি সম্পর্কে তিনটি মূল্যবান সূত্র আবিষ্কার করেন । এই সূত্র নিউটনের গতিসূত্র নামে পরিচিত । সূত্রগুলো স্বতঃসিদ্ধ (assumption) -- এদের কোন তত্ত্বগত (Theoretical) প্রমাণ নেই । কিন্তু পদার্থবিদ্যা (Physics)এবং কারিগরি বিদ্যার  অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে নিউটনের গতিসূত্র দ্বারা । এই  কারণে নিউটনের গতিসূত্রের গুরুত্ব খুবই বেশি ।

নিউটনের প্রথম গতিসূত্র (Newton's First Law of Motion):

বাইরে থেকে প্রযুক্ত বল দ্বারা বস্তুর অবস্থার পরিবর্তনে বাধ্য না করলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির অবস্থানে থাকবে এবং সচল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখায় চলতে থাকবে । নিউটনের প্রথম সূত্র থেকে জড় পদার্থের একটি মৌলিক ধর্মের বিষয়ে জানা যায় যা পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা (Inertia of Matter) নামে পরিচিত । এই সূত্র থেকে বলের সংজ্ঞা জানা যায় ।

নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র (Newton's Second Law of Motion):

কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং ওই বল যে দিকে ক্রিয়া করে ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকে হয় । নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র থেকে বলের পরিমাপক সংজ্ঞা জানা যায় । এই সূত্র থেকে বলের একক এবং বল ও ত্বরণ বা মন্দনের সম্পর্কে জানা যায় ।

নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র (Newton's Third Law of Motion):

প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে । এই সূত্র থেকে জানা যায় যে প্রকৃতিতে বল সর্বদা জোড়ায় জোড়ায় ক্লিয়া করে অর্থাৎ প্রকৃতিকে একক বিচ্ছিন্ন বল বলে কিছু থাকতে পারে না ।

*****

Comments

Related Items

পরিমাপ সংক্রান্ত গাণিতিক উদাহরণ

1. D1 ও D2 ঘনত্বের দুটি পদার্থকে সমভরে মেশানো হলে মিশ্রণের ঘনত্ব কত হবে ? 2. দুটি তরলের ঘনত্ব যথাক্রমে 1.2 g/cm3 ও 0.8 g/cm3 । তরল দুটিকে সমভরে মেশানো হলে মিশ্রণের ঘনত্ব কত হবে ?

ঘড়ির সাহায্যে সময় এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপ

ঘড়ির সাহায্যে সময় এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপ করা হয় । প্রাচীনকালে সূর্য ঘড়ি, বালি ঘড়ি, জল ঘড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা হত । বর্তমানে সময় পরিমাপের জন্য দেয়াল ঘড়ি (wall clock), পকেট ঘড়ি, হাত ঘড়ি, ডিজিটাল ঘড়ি, টেবিল ঘড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা ...

সাধারণ তুলা যন্ত্র

সাধারণ তুলাযন্ত্রের সাহায্যে কোনো বস্তুর ভর পরিমাপ করা হয় । মুদির দোকানে পণ্য-সামগ্রী মাপার জন্য যে দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলিই সাধারণ তুলাযন্ত্রের উদাহরণ ।

আয়তন মাপক চোঙ

এটি একটি সমপ্রস্থচ্ছেদ বিশিষ্ট একদিক বদ্ধ লম্বা কাঁচের চোঙ । এই চোঙের বাইরের গায়ে cm3 বা ml (মিলিলিটার) এককে আয়তন নির্দেশক দাগ কাটা থাকে । প্রতি cm3 কে 5 বা 10 টি সমান ভাগে ভাগ করা থাকে ।

গ্রাফ পেপারের সাহায্যে অসম আকৃতির পাত বা ফলকের ক্ষেত্রফল নির্ণয়

অসম আকৃতির পাত বা ফলকের ক্ষেত্রফল কোনো গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করে পরিমাপ করা যায় না । এই সমস্ত ক্ষেত্রে গ্রাফ পেপারের সাহায্য নেওয়া হয় । এই সমস্ত ক্ষেত্রে গ্রাফ পেপারের সাহায্য নেওয়া হয় । মিলিমিটার গ্রাফ পেপারের প্রতিটি ঘরের (বর্গক্ষেত্রের ) ক্ষেত্রফল 1 বর্গমিলিমিটার ...