গতি সংক্রান্ত কয়েকটি রাশি

Submitted by arpita pramanik on Tue, 09/01/2020 - 19:01

গতি সংক্রান্ত কয়েকটি রাশি (Some Terms Related to Motion) :

সরণ (Displacement): যদি কোন বস্তু একটি নির্দিষ্ট দিকে স্থান পরিবর্তন করে তবে সেই পরিবর্তনকে বস্তুটির সরণ বলে ।  অর্থাৎ নির্দিষ্ট দিকে কোন বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন কে স্মরণ বলে । বস্তুটির প্রথম এবং শেষ অবস্থান একটি সরলরেখা দিয়ে যোগ করলে যে রৈখিক দূরত্ব পাওয়া যায় তাই হলো সরণের পরিমাপ

সরণের একক : সরণকে দৈর্ঘ্যের এককে প্রকাশ করা হয় ।

দ্রুতি (Speed): সময়ের সাপেক্ষে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনের হারকে দ্রুতি বলে । একক সময়ে বস্তুর ডিজে দূরত্ব অতিক্রম করে তাই হল দ্রুতির পরিমাপ ।

বস্তুর গতিপথ সরল বা বক্র বা উভয়ের মিশ্রন হতে পারে । সুতরাং দ্রুতি বলতে দিক নির্দেশ করার দরকার নেই । দ্রুতির কেবল মান আছে তাই দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি ।

দ্রুতির একক: C.G.S পদ্ধতিতে একক হল সেন্টিমিটার/সেকেন্ড এবং S.I পদ্ধতিতে মিটার/সেকেন্ড

 

সমদ্রুতি (Uniform Speed) এবং অসমদ্রুতি (Variable Speed):

সরল বা বক্র পথে যদি কোনো বস্তু সমান সময়ের ব্যবধানে সব সময় সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তবে বস্তুটির গতিকে সমদ্রুতি বলে ।

সরল বা বক্র পথে যদি কোনো বস্তু সমান সময়ের ব্যবধানে সব সময় ভিন্ন ভিন্ন দূরত্ব অতিক্রম করে তবে বস্তুটির গতিকে অসমদ্রুতি বলে ।

অসমদ্রুতির ক্ষেত্রে একটি গড় (average)  দ্রুতি নির্ণয় করা দরকার । এই গড় দ্রুতিকে সময় দ্বারা গুণ করলে ওই সময়ের অতিক্রান্ত দূরত্বের মোট পরিমাণ জানা যায়।

 

বেগ (Velocity):

সময়ের সাপেক্ষে নির্দিষ্ট দিকে বস্তুর অবস্থান পরিবর্তনের হারকে বেগ বলে । অর্থাৎ সময়ের সাপেক্ষে কোন বস্তুর সরণের হারকে বেগ বলে । একক সময়ে নির্দিষ্ট দিকে বস্তুটি যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাই হল বেগের পরিমাপ । বেগের দিক এবং মান দুই ই আছে তাই বেগ একটি ভেক্টর রাশি ।

বেগের একক : C.G.S পদ্ধতিতে বেগের একক সেন্টিমিটার/সেকেন্ড এবং S.I পদ্ধতিতে বেগের একক মিটার /সেকেন্ড ।

সমবেগ এবং অসমবেগ:

যদি কোন বস্তু সমান সময়ের ব্যবধানে একই দিকে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তবে বস্তুটির বেগকে সমবেগ বলে ।

যদি কোন বস্তুর বেগের শুধু মান বা দিক অথবা মান এবং বেগ উভয়েরি যদি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় তবে বস্তুটির বেগকে অসমবেগ বলে ।

 

ত্বরণ (Acceleration):

কোন বস্তুর বেগ যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে তাহলে সময়ের সাপেক্ষে বস্তুর বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে । অর্থাৎ সময়ের সাপেক্ষে কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে ত্বরণ বলে ।

 

সম ত্বরণ (uniform Acceleration)  এবং অসম ত্বরণ  (variable Acceleration):

যদি কোন বস্তুর বেগ সমান সময়ের ব্যবধানে একই পরিমানে পরিবর্তিত হয় তবে বস্তুটির ত্বরণকে সম ত্বরণ বলে । এক্ষেত্রে বস্তুর ত্বরণের মান এবং দিক সবসময় স্থির থাকে ।

যদি কোন বস্তুর বেগ সমান সময়ের ব্যবধানে ভিন্ন ভিন্ন পরিমানে পরিবর্তিত হয় তবে বস্তুটির ত্বরণকে অসম ত্বরণ বলে । এক্ষেত্রে বস্তুটির ত্বরণ এর শুধু মান বা শুধু দিক কিংবা মান এবং দিক উভয়ই সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় ।

ত্বরণের একক : ত্বরণকে [tex]f[/tex] অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয় । C.G.S পদ্ধতিতে ত্বরণের একক সেন্টিমিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি সেকেন্ড বা  সেন্টিমিটার/সেকেন্ড2 (cm/s2) এবং S.I পদ্ধতিতে ত্বরণের একক মিটার প্রতি সেকেন্ড প্রতি সেকেন্ড বা  মিটার/সেকেন্ড2 (m/s2) ।

 

মন্দন (retardation): কোন বস্তুর বেগ যদি ক্রমশ কমতে থাকে তবে সময়ের সাপেক্ষে বস্তুর বেগের পরিবর্তনের হারকে মন্দন বলে অর্থাৎ ঋণাত্মক ত্বরণ কে মন্দন বলে ।

*****

Comments

Related Items

ক্ষারক ও ক্ষারকের ধর্ম

ক্ষারকের গুলি হল---ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ নির্দেশকের (Indicators) বর্ণ পরিবর্তন করে । যেমন ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে । ক্ষারকের সঙ্গে অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় লবণ এবং জল উৎপন্ন হয় ।

অ্যাসিড ও অ্যাসিডের ধর্ম

সব অ্যাসিড কমবেশি অম্ল স্বাদ যুক্ত । লেবু, আমলকি, তেতুল, টক দই প্রভৃতিতে অ্যাসিড আছে । সেই জন্য এদের স্বাদ অম্ল যুক্ত । অ্যাসিড নির্দেশকের (Indicators) বর্ন পরিবর্তন করে । অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে এবং মিথাইল অরেঞ্জ এর রং কমলা থেকে লাল বর্ণে পরিণত করে । এর দ্বারা অ্যাসিডকে সনাক্ত করা হয় ।

বল এবং বলের পরিমাপ

নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে আমরা বলের সংজ্ঞা পাই । এই সূত্র থেকে বোঝা যায় কোন বস্তুর উপর বাইরে থেকে কিছু প্রয়োগ করলে তবেই বস্তুটির অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন হয় । কোন জড় বস্তু জাড্য ধর্মের জন্য নিজে থেকে নিজের অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না ।

পদার্থের জাড্য ধর্ম (Inertia of Matter)

জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজের স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তনে বাধা দেয় বা জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজে যে অবস্থায় থাকে সেই অবস্থায় থাকতে চায় সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা (Inertia) বলে । এজন্য নিউটনের প্রথম গতিসূত্রকে জাড্যের সূত্র ( Law of Inertia) বলে।

নিউটনের গতিসূত্র

বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Isaac Newton) বস্তুর গতি সম্পর্কে তিনটি মূল্যবান সূত্র আবিষ্কার করেন । এই সূত্র নিউটনের গতিসূত্র নামে পরিচিত । দার্থবিদ্যা (Physics)এবং কারিগরি বিদ্যার অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে নিউটনের গতিসূত্র দ্বারা