অ্যাসিড, ক্ষারক ও লবণ

Submitted by arpita pramanik on Fri, 09/04/2020 - 10:03

অ্যাসিড, ক্ষারক ও লবণ (Acids, Bases and Salts)

অ্যাসিড (Acids) : যে যৌগের স্বাদ অম্ল এবং যার মধ্যে ধাতু বা ধাতুধর্মী মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপনযোগ্য এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু বর্তমান এবং যে যৌগ ক্ষারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপন্ন করে তাকে অ্যাসিড বলে । নীল লিটমাস পেপার অ্যাসিডের সংস্পর্শে আসলে লাল হয়ে যায় ।  যেমন — সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL) ইত্যাদি ।

ক্ষারক (Bases) : যেসব যৌগ অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের ক্ষারক বলে ।  ধাতু বা ধাতুধর্মী মূলকের অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড কে সাধারণত ক্ষারক বলে ।   যেমন --  সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH), ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড (Ca(OH)2), অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড (NH4OH) ইত্যাদি ।

লবণ (Salts) : অ্যাসিডের প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু,  ধাতু বা অপর কোন ধাতুধর্মী মূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে লবণ বলে । যেমন -- ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4), সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl),  জিংক সালফেট (ZnSO4), অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl) ইত্যাদি ।

*****

Comments

Related Items

পরিমাপ সংক্রান্ত গাণিতিক উদাহরণ

1. D1 ও D2 ঘনত্বের দুটি পদার্থকে সমভরে মেশানো হলে মিশ্রণের ঘনত্ব কত হবে ? 2. দুটি তরলের ঘনত্ব যথাক্রমে 1.2 g/cm3 ও 0.8 g/cm3 । তরল দুটিকে সমভরে মেশানো হলে মিশ্রণের ঘনত্ব কত হবে ?

ঘড়ির সাহায্যে সময় এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপ

ঘড়ির সাহায্যে সময় এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপ করা হয় । প্রাচীনকালে সূর্য ঘড়ি, বালি ঘড়ি, জল ঘড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা হত । বর্তমানে সময় পরিমাপের জন্য দেয়াল ঘড়ি (wall clock), পকেট ঘড়ি, হাত ঘড়ি, ডিজিটাল ঘড়ি, টেবিল ঘড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা ...

সাধারণ তুলা যন্ত্র

সাধারণ তুলাযন্ত্রের সাহায্যে কোনো বস্তুর ভর পরিমাপ করা হয় । মুদির দোকানে পণ্য-সামগ্রী মাপার জন্য যে দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলিই সাধারণ তুলাযন্ত্রের উদাহরণ ।

আয়তন মাপক চোঙ

এটি একটি সমপ্রস্থচ্ছেদ বিশিষ্ট একদিক বদ্ধ লম্বা কাঁচের চোঙ । এই চোঙের বাইরের গায়ে cm3 বা ml (মিলিলিটার) এককে আয়তন নির্দেশক দাগ কাটা থাকে । প্রতি cm3 কে 5 বা 10 টি সমান ভাগে ভাগ করা থাকে ।

গ্রাফ পেপারের সাহায্যে অসম আকৃতির পাত বা ফলকের ক্ষেত্রফল নির্ণয়

অসম আকৃতির পাত বা ফলকের ক্ষেত্রফল কোনো গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করে পরিমাপ করা যায় না । এই সমস্ত ক্ষেত্রে গ্রাফ পেপারের সাহায্য নেওয়া হয় । এই সমস্ত ক্ষেত্রে গ্রাফ পেপারের সাহায্য নেওয়া হয় । মিলিমিটার গ্রাফ পেপারের প্রতিটি ঘরের (বর্গক্ষেত্রের ) ক্ষেত্রফল 1 বর্গমিলিমিটার ...