’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

Submitted by administrator on Sat, 01/15/2022 - 14:29

প্রশ্ন:-  ’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল 'করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে' ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কৃষকদের ভূমিকা :- ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৮ই আগস্ট জাতীয় কংগ্রেসের বোম্বাই অধিবেশনে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রস্তাব পাশ হলে পরদিন ৯ই আগস্ট ভারত জুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল, মিছিল, বিক্ষোভ ও গণ অভ্যুত্থান শুরু হয় ।

(১) আসাম, বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি স্থানের কৃষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে যোগ দেয় ।

(২) বাংলার মেদিনীপুর, বীরভূম, ঢাকা, ফরিদপুর, দিনাজপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান প্রভৃতি জেলার কৃষকদের আন্দোলন গণ বিদ্রোহের রূপ পায় ।

ভারত ছাড় আন্দোলনে শ্রমিকদের ভূমিকা :-

(১) ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হলে ভারতের কমিউনিস্ট দল তাঁদের আদর্শ ও নীতির প্রতি আনুগত্য বশত এই আন্দোলনের বিরোধিতা করে । বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাঁরা উৎপাদন বন্ধ না করার আহ্বান জানায় । তা সত্ত্বেও ভারতের শ্রমিক শ্রেণিকে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বাইরে রাখা সম্ভব হয়নি ।

(২) গান্ধিজি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে কারারুদ্ধ করার প্রতিবাদে বোম্বাই, নাগপুর, আমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, কানপুর, দিল্লী, জামসেদপুর, মাদ্রাজ, ইন্দোর প্রভৃতি শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা এক সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করে । আমেদাবাদ শিল্পাঞ্চলের কাপড় কলগুলিতে প্রায় তিন মাস ধরে ধর্মঘট চলে ।

(৩) শ্রমিক ধর্মঘটের জন্য টাটাদের জামসেদপুর লৌহইস্পাত কারখানার উৎপাদন প্রায় ১৩ দিন ধরে বন্ধ ছিল ।

*****

Comments

Related Items

হিটলার কীভাবে পররাজ্য গ্রাস শুরু করেছিলেন ? হিটলারের আক্রমণ প্রতিহত না করে পশ্চিমী গণতান্ত্রিক শক্তিগুলি কোন নীতি গ্রহণ করেছিল এবং কেন ? এর ফল কী হয়েছিল ?

প্রশ্ন:- হিটলার কীভাবে পররাজ্য গ্রাস শুরু করেছিলেন ? হিটলারের আক্রমণ প্রতিহত না করে পশ্চিমী গণতান্ত্রিক শক্তিগুলি কোন নীতি গ্রহণ করেছিল এবং কেন ? এর ফল কী হয়েছিল ?

(ক) পোল্যান্ড-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি, (খ) মিউনিখ চুক্তি, (গ) রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি— এই চুক্তিগুলি হিটলার কেন স্বাক্ষর করেছিলেন ?

প্রশ্ন:- (ক) পোল্যান্ড-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি, (খ) মিউনিখ চুক্তি,  (গ) রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি— এই  চুক্তিগুলি হিটলার কেন স্বাক্ষর করেছিলেন ?

নাৎসি দলের পররাষ্ট্রনীতির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?

প্রশ্ন:- নাৎসি দলের পররাষ্ট্র নীতির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?

জার্মানির নাৎসি দলের পররাষ্ট্রনীতির মূল উদ্দেশ্য —

(ক) ইউরোপ তথা সারা বিশ্বে জার্মানিকে প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা ।

(খ) ভার্সাই সন্ধির অপমান জনক চুক্তিগুলি অমান্য করা ।

নাৎসি দলের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কী ছিল ? নাৎসি দল জার্মানিতে কীভাবে সরকারি ক্ষমতা দখল করে ?

প্রশ্ন :- নাৎসি দলের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কী ছিল ? নাৎসি দল জার্মানিতে কীভাবে সরকারি ক্ষমতা দখল করে ?

হিটলার বা তাঁর নাৎসি দলের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল:-

মুসোলিনির পররাষ্ট্রনীতির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?

প্রশ্ন:-  মুসোলিনির পররাষ্ট্রনীতির মূল উদ্দেশ্য কী ছিল ?

ইতালির শাসনভার গ্রহণ করার পর মুসোলিনি তাঁর পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেন । মুসোলিনির ফ্যাসিবাদী পররাষ্ট্রনীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল—