প্রার্থনা সমাজ (Prarthana Samaj)

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 04/22/2012 - 22:55

প্রার্থনা সমাজ (Prarthana Samaj) :

১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে বোম্বাই শহরে প্রার্থনা সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় । এই সমাজের নেতা ছিলেন ডঃ আত্মারাম পান্ডুরঙ্গ (Atmaram Pandurang) । ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে কেশবচন্দ্র সেন বোম্বাই শহরে গেলে মহারাষ্ট্রের প্রার্থনা সমাজকে তিনি আরও শক্তিশালী করে তোলেন । ব্রাহ্মসমাজের ন্যায় প্রার্থনা সমাজের সদস্যগণ এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী এবং সমাজ সংস্কারমূলক কাজকর্মে উৎসাহী ছিলেন । কিন্তু ব্রাহ্মসমাজের মতো প্রার্থনা সমাজের সদস্যগণ নিজেদের হিন্দুধর্ম বহির্ভূত পৃথক সম্প্রদায় বলে মনে করতেন না । এঁরা পাশ্চাত্য যুক্তিবাদ গ্রহণ করেছিলেন । প্রার্থনা সমাজের আদর্শ অনুযায়ী সদস্যগণ শিক্ষাবিস্তার এবং নানাবিধ সংস্কারমূলক কাজকর্মে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন । ১৮৭০ সালে বিখ্যাত ঐতিহাসিক রামকৃষ্ণ গোপাল ভান্ডারকর এবং বিচারপতি মহাদেব গোবিন্দ রাণাডে প্রার্থনা সমাজে যোগ দেন ও এই সমাজকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করেন । মহাদেব গোবিন্দ রাণাডে প্রার্থনা সমাজের প্রাণপুরুষ ছিলেন ।

প্রার্থনা সমাজের সমাজ-সংস্কার বিষয়ক নীতি :

সমাজ উন্নয়ন ও নারী কল্যাণের ব্যাপারে এই সমাজ ব্রাহ্মসমাজের কর্মসূচিই অনুসরণ করত, যেমন—

(১) অসবর্ণ বিবাহ, বিধবা বিবাহ, অস্পৃশ্যতা বর্জন ইত্যাদি প্রার্থনা সমাজের কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল । এই সমাজের উদ্যোগে অনেকগুলি শিশুসদন, অনাথ-আশ্রম, বিধবা আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ।

(২) উচ্চ শিক্ষার বিস্তার ঘটানো । এই সমাজের প্রাণপুরুষ মহাদেব গোবিন্দ রাণাডে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে দাক্ষিণাত্যে শিক্ষাসমাজ গঠন করেন । এই সংস্থার উদ্যোগে পুনায় ফারগুসন কলেজ এবং সাংলিতে উইলিংডন কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ।

*****

Related Items

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ (U.N.O) প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা কর । জাতিপুঞ্জের প্রধান সংস্থাগুলির নাম কর ।

প্রশ্ন : সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ (U.N.O) প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা কর । জাতিপুঞ্জের প্রধান সংস্থাগুলির নাম কর ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা সংক্ষেপে লেখ ।

প্রশ্ন : ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা সংক্ষেপে লেখ ।

প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা

সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা কর ।

ভারতের বিচারব্যবস্থার শীর্ষে আছে সুপ্রিমকোর্ট । এই সুপ্রিমকোর্ট একাধারে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত এবং আপিল আদালত হিসেবে কাজ করে ।

রাজ্যপালের ক্ষমতা ও কার্যকলাপ সম্পর্কে আলোচনা কর ।

প্রশ্ন :  রাজ্যপালের ক্ষমতা ও কার্যকলাপ সম্পর্কে আলোচনা কর ।

(১) রাজ্যের শাসন ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন রাজ্যপাল । রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত ক্ষমতা তাঁর ওপর ন্যস্ত থাকে ।

ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তাৎপর্য ও জাতীয় কংগ্রেসের সাফল্য সম্পর্কে লেখ ।

প্রশ্ন : ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তাৎপর্য ও জাতীয় কংগ্রেসের সাফল্য সম্পর্কে লেখ ।