Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 04/20/2012 - 21:26

দ্বিতীয় ঈঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ (Second Anglo-Maratha War)

দ্বিতীয় মাধব রাওয়ের সময় থেকেই পেশোয়ার কর্তৃত্ব কমে যেতে থাকে । এই সময় মারাঠাশক্তি চার মারাঠা সামন্ত রাজা যথা—গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া, বরোদার গায়কোয়াড়, ইন্দোরের হোলকার এবং নাগপুরের ভোঁসলে— এদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যায় । ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় মাধব রাও আত্মহত্যা করেন । তিনি অপুত্রক থাকার জন্য তাঁর কাকা রঘুনাথ রাওয়ের পুত্র দ্বিতীয় বাজীরাও পেশোয়া পদে অধিষ্ঠিত হন (১৭৯৬ - ১৮১৮ ) ।  ইতিমধ্যে ১৮০০ সালে প্রধান মন্ত্রণাদাতা নানা ফড়নবীশের মৃত্যুর ফলে মারাঠা রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় । এই সময় গদি দখলের জন্য পেশোয়া ও অপর চার মারাঠা শক্তি লড়াইয়ে লিপ্ত হলে যশোবন্ত রাও হোলকার পেশোয়া ও সিন্ধিয়ার সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করেন । পরাজিত পেশোয়া অপমানে, দুঃখে ও ক্ষোভে ওয়েলেসলি প্রবর্তিত অধীনতা মূলক মিত্রতা গ্রহন করেন ও উভয়ের মধ্যে ১৮০২ সালে বেসিনের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় । ১৮০৩ সালে দ্বিতীয় বাজীরাও ইংরেজদের সহায়তায় পুনরায় পেশোয়া পদে অধিষ্ঠিত হন । পেশোয়ার এই কার্যকলাপ অন্যান্য মারাঠা নেতৃবৃন্দ অনুমোদন করেন নি । তাঁরা গৃহবিবাদ ভুলে গিয়ে একতাবদ্ধ হন । ইতিমধ্যে পেশোয়াও নিজের ভূল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হন ও নিজ কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য মারাঠা নায়কদের সঙ্গে হাত মেলান ও ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ [Second Anglo-Maratha War] শুরু হয় ।  কিন্তু এই যুদ্ধে সিন্ধিয়া পরাস্ত হন ও ইংরেজদের সঙ্গে ‘অধীনতামূলক মিত্রতায়’ আবদ্ধ হন ।

****

 

 

Related Items

সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ (U.N.O) প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা কর । জাতিপুঞ্জের প্রধান সংস্থাগুলির নাম কর ।

প্রশ্ন : সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ (U.N.O) প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা কর । জাতিপুঞ্জের প্রধান সংস্থাগুলির নাম কর ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা সংক্ষেপে লেখ ।

প্রশ্ন : ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা সংক্ষেপে লেখ ।

প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা

সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা কর ।

ভারতের বিচারব্যবস্থার শীর্ষে আছে সুপ্রিমকোর্ট । এই সুপ্রিমকোর্ট একাধারে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত এবং আপিল আদালত হিসেবে কাজ করে ।

রাজ্যপালের ক্ষমতা ও কার্যকলাপ সম্পর্কে আলোচনা কর ।

প্রশ্ন :  রাজ্যপালের ক্ষমতা ও কার্যকলাপ সম্পর্কে আলোচনা কর ।

(১) রাজ্যের শাসন ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হলেন রাজ্যপাল । রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত ক্ষমতা তাঁর ওপর ন্যস্ত থাকে ।

ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তাৎপর্য ও জাতীয় কংগ্রেসের সাফল্য সম্পর্কে লেখ ।

প্রশ্ন : ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তাৎপর্য ও জাতীয় কংগ্রেসের সাফল্য সম্পর্কে লেখ ।