ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিত ও স্বাধীনতা আন্দোলন

Submitted by avimanyu pramanik on Mon, 02/27/2012 - 10:03

ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর : বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিত ও স্বাধীনতা আন্দোলন

প্রশ্ন:- কবে থেকে জার্মানি ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ?

উত্তর:- ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে জার্মানি ফ্রান্সকে পরাস্ত করার পর থেকে জার্মানি ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ।

প্রশ্ন:-  প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপের কোন কোন দেশ দুটি পরস্পর-বিরোধী সামরিক শক্তিজোটে বিভক্ত হয়ে যায় ?  

উত্তর:-  প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউরোপের দুটি পরস্পর-বিরোধী সামরিক শক্তিজোটের একদিকে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও ইতালির মধ্যে গড়ে ওঠা ত্রিশক্তি মৈত্রী জোট এবং অন্যদিকে ছিল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা ত্রিশক্তি আঁতাত জোট

প্রশ্ন:- ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে কোন দেশ সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল ?

উত্তর:- ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল অস্ট্রিয়া

প্রশ্ন:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় কবে ?

উত্তর:- ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ।

প্রশ্ন:- লক্ষ্মৌ চুক্তি কত খ্রিস্টাব্দে এবং কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?

উত্তর:- ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে লক্ষ্মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।

প্রশ্ন:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জার্মানি কবে যুদ্ধ বিরোধী চুক্তি স্বাক্ষর করে ?

উত্তর:-  প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জার্মানি ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১১ই নভেম্বর যুদ্ধ বিরোধী চুক্তি স্বাক্ষর করে ।

প্রশ্ন:- কোন চুক্তির মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীজ নিহিত ছিল ?

উত্তর:- ভার্সাই চুক্তির মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীজ নিহিত ছিল ।

প্রশ্ন:-  কবে এবং কার সঙ্গে মিত্রপক্ষের ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ?

উত্তর:- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরে জার্মানির সঙ্গে মিত্রপক্ষের ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ।

প্রশ্ন:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে কোন চারটি বড়ো সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে ?

উত্তর:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে (১) অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি (২) তুরস্ক  (৩) রাশিয়া এবং  (৪) জার্মানি —এই চারটি বড়ো সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে ।

প্রশ্ন:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সৃষ্টি হওয়া তিনটি নতুন রাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করো ?

উত্তর:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সৃষ্টি হওয়া তিনটি নতুন রাষ্ট্রের নাম হল — (১) চেকোশ্লোভাকিয়া (২) যুগোশ্লাভিয়া ও (৩) পোল্যান্ড ।

প্রশ্ন:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শক্তি রক্ষার জন্য কোন সংস্থার প্রতিষ্ঠা কারা হয় ?

উত্তর:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শক্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘ (লিগ-অফ-নেশনস) নামক সংস্থার প্রতিষ্ঠা কারা হয় ।

প্রশ্ন:- জাতিসংঘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর:- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় ।

প্রশ্ন:- রাওলাট আইন কবে প্রবর্তিত হয় ?

উত্তর:- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে রাওলাট আইন প্রবর্তিত হয় ।

প্রশ্ন:- রাওলাট আইন কী ?

উত্তর:- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে রাওলাট আইন প্রবর্তিত হয় । এই আইন ছিল একটি দমনমূলক আইন । এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতবর্ষে সমস্ত রকম ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপ, বিপ্লবী কার্যকলাপ ও রাজনৈতিক আন্দোলন দমন করা ।  

প্রশ্ন:- জালিয়ানওয়ালাবাগ কোন শহরে অবস্থিত ?

উত্তর:- ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসর শহরে জালিয়ানওয়ালাবাগ অবস্থিত ।

প্রশ্ন:- জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড কবে ঘটে ?

উত্তর:- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ই এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ।

প্রশ্ন:- জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কে নাইট উপাধি ত্যাগ করেন ?

উত্তর:- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নাইট উপাধি ত্যাগ করেন ।

প্রশ্ন:- জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সময় পাঞ্জাবের শাসনকর্তা কে ছিলেন ?

উত্তর:-  জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সময় পাঞ্জাবের শাসনকর্তা ছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর জেনারেল ও ডায়ার

প্রশ্ন:- এডুইন মন্টেগু কে ছিলেন ?

উত্তর:- এডুইন মন্টেগু ছিলেন ভারত সচিব । তার উদ্যোগে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের শাসন-সংস্কার আইন বলবৎ হয় ।

প্রশ্ন:- মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার কবে কার্যকর হয় ?

উত্তর:- ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার কার্যকর হয় ।

প্রশ্ন:- গান্ধীজির পুরো নাম কী ?

উত্তর:- গান্ধীজির পুরো নাম হল —মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী

প্রশ্ন:- গান্ধীজি ভারতের কোন অঞ্চলে প্রথম 'সত্যাগ্রহ' অনুষ্ঠিত করেন ?

উত্তর:- ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে বিহারের চম্পারণ অঞ্চলে গান্ধীজি প্রথম 'সত্যাগ্রহ' অনুষ্ঠিত করেন ।

প্রশ্ন:- ব্রিটিশ সরকার গান্ধিজিকে কী উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন ?

উত্তর:- ব্রিটিশ সরকার গান্ধিজিকে কাইজার-ই-হিন্দ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন ।

প্রশ্ন:- খিলাফত আন্দোলনের দু-জন নেতার নাম উল্লেখ করুন ?

উত্তর:- খিলাফত আন্দোলনের দু-জন নেতার নাম হল —মহম্মদ আলি ও সওকত আলি

প্রশ্ন:- অসহযোগ আন্দোলন কবে শুরু হয় ?

উত্তর:- ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় ।

প্রশ্ন:- স্বরাজ দলের দু-জন নেতার নাম কী ?

উত্তর:- স্বরাজ দলের দু-জন নেতার নাম হল — চিত্তরঞ্জন দাস ও মতিলাল নেহরু

প্রশ্ন:- কলকাতা কার্পোরেশনের প্রথম মেয়র কে ছিলেন ? 

উত্তর:- কলকাতা কার্পোরেশনের প্রথম মেয়র ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস

প্রশ্ন:- সাইমন কমিশন কবে নিযুক্ত হয় ?

উত্তর:- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে সাইমন কমিশন নিযুক্ত হয় ।

প্রশ্ন:- সাইমন কমিশনের প্রতিবেদন কবে পেশ করা হয় ?

উত্তর:- ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে সাইমন কমিশনের প্রতিবেদন পেশ করা হয় ।

প্রশ্ন:- সাইমন কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে কোন আইন রচিত হয় ?

উত্তর:- সাইমন কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত-শাসন আইন রচিত হয় ।

প্রশ্ন:- লাহোর কংগ্রেসের সভাপতিত্ব কে করেন ?

উত্তর:-  লাহোর কংগ্রেসের সভাপতিত্ব করেন পন্ডিত জওহরলাল নেহরু

প্রশ্ন:-  খোদা-ই-খিদমৎগার কথাটির অর্থ কী ? 

উত্তর:- খোদা-ই-খিদমৎগার কথাটির অর্থ হল ঈশ্বরের সেবক

প্রশ্ন:- 'অর্ধনগ্ন ফকির' কাকে বলা হয় ? 

উত্তর:- গান্ধিজিকে 'অর্ধনগ্ন ফকির' বলা হয় ।

প্রশ্ন:- গান্ধীজির কাছে চরকা কিসের প্রতীক ছিল ?

উত্তর:- গান্ধীজির কাছে চরকা ছিল 'অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরশীলতার' প্রতীক ।

প্রশ্ন:- 'খলিফা শব্দের অর্থ কী ?

উত্তর:- 'খলিফা শব্দের অর্থ হল ধর্মগুরু

প্রশ্ন:- খিলাফত আন্দোলন কবে হয়েছিল ?

উত্তর:- ১৯১৮ থেকে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে খিলাফত আন্দোলন হয়েছিল ।

প্রশ্ন:- খিলাফৎ আন্দোলনের দু-জন নেতার নাম কর ?

উত্তর:- খিলাফত আন্দোলনের দু-জন নেতার নাম হল— মহম্মদ আলি এবং সওকত আলি

প্রশ্ন:- হোমরুল কথার অর্থ কী ?

উত্তর:- হোমরুল কথার অর্থ হল স্বায়ত্তশাসন

প্রশ্ন:- হোমরুল লীগের দু-জন প্রতিষ্ঠাতার নাম উল্লেখ করুন ?

উত্তর:- হোমরুল লীগের দু-জন প্রতিষ্ঠাতার নাম হল —শ্রীমতী অ্যানি ব্যাসান্ত ও বালগঙ্গাধর তিলক

প্রশ্ন:- নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কবে গঠিত হয় ?

উত্তর :- ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে অক্টোবর বোম্বাই নগরে নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস নামে একটি সর্বভারতীয় কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন গঠিত হয় ।

প্রশ্ন :-  নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়নের প্রথম অধিবেশনে কে সভাপতিত্ব করেন ?

উ:- লালা লাজপত রায় নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়নের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ।

প্রশ্ন:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ইতালিতে কোন দল রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ করে ?
উত্তর:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে মুসোলিনির নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট দল ইতালিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভ করে ।

প্রশ্ন :- ‘মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা’ কার বিরুদ্ধে কী উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয় ?

উত্তর :- ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের ২০শে মার্চ ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৩৩জন কমিউনিস্ট নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা শুরু করা হয় ।

প্রশ্ন:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির সম্রাট কে ছিলেন ?

উত্তর:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির সম্রাট ছিলেন কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম ।

প্রশ্ন:- জাতি সংঘ বা ‘লিগ অফ নেশনস্‌’ কেন প্রতিষ্ঠি হয় ?

উত্তর:- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ বা লিগ অফ নেশনস্‌ প্রতিষ্ঠা করা হয় ।

*****

Related Items

ভারত ছাড়ো আন্দোলন পর্বে শ্রমিক আন্দোলন

ভারত ছাড়ো আন্দোলন পর্বে শ্রমিক আন্দোলন (Quit India Movement and the Working Class):-

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৯ই আগস্ট মহাত্মা গান্ধির নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেয় । এই আন্দো

আইন অমান্য আন্দোলন পর্বে শ্রমিক আন্দোলন

আইন অমান্য আন্দোলন পর্বে শ্রমিক আন্দোলন (The Civil Disobedience Movement and the Working Class) :-

১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হলে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের শ্রমিকরা এই আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে । এই সময় বাংলায় শ্রমিক আন্দোলন যথেষ্ট শ

ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি

ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি (Workers and Peasants Party) :-

কুতুবুদ্দিন আহমদ, কাজী নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক হেমন্ত সরকার, সামসুদ্দিন হোসেন প্রমুখ ব্যক্তির উদ্যোগে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ১লা নভেম্বর বাংলায় 'লেবার স্বরাজ পার্টি অব দা ইন্ডিয়ান

অহিংস অসহযোগ আন্দোলন পর্বে শ্রমিক আন্দোলন

অহিংস অসহযোগ আন্দোলন পর্বে শ্রমিক আন্দোলন (Non Co-operation Movement and the Working Class):- 

অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের সময় সারা ভারতে শ্রমিকরা আন্দোলনে শামিল হয় । এই সময় বাংলায় শ্রমিক আন্দোলন অত্যন্ত শক্তিশালী ওঠে । শ্রমিকদের কাজের সময় কমানো, ব

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন পর্বে শ্রমিক আন্দোলন

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন পর্বে শ্রমিক আন্দোলন (Anti-Partition Movement and the Working Class):-

ব্রিটিশ শাসনের প্রথমদিকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা না করলেও ভারতের নিম্নবর্গের মানুষ বিশেষত শ্রমিক