সমোষ্ণরেখা (Isotherm line)

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 08/07/2021 - 10:36

সমোষ্ণরেখা (Isotherm line) : ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপমাত্রা সমান নয় । ভূপৃষ্ঠের যে সকল স্থানের গড় উষ্ণতা সমান বা একই রকম থাকে, মানচিত্রে সেই সকল স্থানগুলিকে পরস্পর যোগ করে যে কাল্পনিক রেখা টানা হয়, তাকে সমোষ্ণরেখা বলে । অর্থাৎ, যে কাল্পনিক রেখা দিয়ে বছরের একই সময়ে একই উষ্ণতা বিশিষ্ট স্থানগুলি মানচিত্রে যোগ করা হয় তাকে সমোষ্ণরেখা বলে । সমোষ্ণরেখাগুলি সাধারণত জুলাই ও জানুয়ারি মাসের গড় উষ্ণতার সাপেক্ষে টানা হয়ে থাকে । ভূপৃষ্ঠের সকল স্থান সমুদ্রতল থেকে সমান উঁচু বা নীচু নয় বলে পৃথিবীর প্রত্যেকটি স্থানের উষ্ণতাকে সমুদ্রতলের উষ্ণতায় রূপান্তরিত করে সমোষ্ণরেখাগুলি টানা হয় । সমোষ্ণরেখার মানচিত্রের সাহায্যে পৃথিবীর নানা স্থানে উষ্ণতার বিস্তৃতি সম্বন্ধে ধারণা করা যায় ।

সমোষ্ণরেখার বৈশিষ্ট্য :

(i) সমোষ্ণরেখাগুলি অক্ষরেখার সমান্তরালে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত হয় ।

(ii) স্থলভাগ ও জলভাগের প্রকৃতিগত তারতম্যে সমোষ্ণরেখাগুলি জলভাগ ও স্থলভাগের মিলনস্থল বরাবর কিছুটা বেঁকে যায় ।

(iii) উত্তর গোলার্ধে জানুয়ারি মাসে সমোষ্ণরেখাগুলি শীতল স্থলভাগের ওপর নিরক্ষরেখার দিকে এবং উষ্ণ স্থলভাগের ওপর মেরুর দিকে বেঁকে যায় । আবার জুলাই মাসে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা পরিলক্ষিত হয় ।

(iv) উত্তর গোলার্ধে জানুয়ারি মাসে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে জুলাই মাসে সমোষ্ণরেখাগুলি পরস্পরের কাছাকাছি অবস্থান করে । 

****

 

Comments

Related Items

হিমবাহ পৃষ্ঠের প্রকৃতি

হিমবাহ পৃষ্ঠের প্রকৃতি : ভূবিজ্ঞানী মঙ্কহাউস -এর মতে পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহের উপরে নানা ধরনের ফাটল দেখা যায় । এই ফাটলগুলি প্রধানত তিন প্রকারের হয় যথা—

হিমরেখা [Snow Line]

হিমরেখা [Snow Line] : মেরুপ্রদেশ ও উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের তীব্র শৈত্যে, যে কাল্পনিক সীমারেখার উপরে অত্যধিক শীতলতার জন্য সারা বছর তুষার জমে থাকে এবং যে সীমারেখার নীচে উত্তাপে তুষার গলে জলে পরিণত হয় সেই সীমারেখাকে হিমরেখা । ভূবিজ্ঞানী মঙ্ক

হিমশৈল (Iceberg)

হিমশৈল (Iceberg) :  মহাদেশীয় হিমবাহের হিমরেখা সমুদ্রপৃষ্ঠ হওয়ায় কখনো কখনো হিমাবাহের বিশালাকার বরফের অংশ ভেঙে সমুদ্রের জলে এসে পড়ে ও জলে ভাসতে থাকে । এইরূপ সমুদ্রের জলে ভাসমান ও গতিশীল বিশালাকার বরফের স্তুপকে হিমশৈল বলে । হিমশৈল মিষ্

হিমবাহের প্রকারভেদ (Classification of Glacier)

হিমবাহের প্রকারভেদ (Classification of Glacier) : বিজ্ঞানী অলম্যান অবস্থানের ভিত্তিতে হিমবাহকে তিনটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করেন । যথা— (ক) মহাদেশীয় হিমবাহ (Continental Glacier), (খ) পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ (Mountain or Valley glacier)

হিমবাহ (Glaciers)

হিমবাহ (Glaciers) : হিমারেখার উপরে তুষারক্ষেত্র । সেখানে যে তুষারপাত হয় তা প্রথম অবস্থায় আলগা আলগা হয়ে পড়ে থাকে । ফরাসি ভাষায় একে নেভে [Neve] বলে । এই তুষারকণা ক্রমশ পরস্পরের সঙ্গে মিশে বরফের স্থরে [Ice Sheet] এ পরিণত হয় । ক্রমশ আরও জামাট বেঁধে ও আয়তনে