ভারতের ভৌগলিক অবস্থান

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 12/12/2021 - 22:35

অবস্থান (Location) : ভারত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত একটি দেশ । নিরক্ষরেখার উত্তরে অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধে এবং মূলমধ্যরেখার পূর্বে অর্থাৎ পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত অর্থাৎ ভারত উত্তর-পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত । ভারতের মূল ভূখণ্ড দক্ষিণে ৮°৪' উত্তর অক্ষাংশ থেকে উত্তরে ৩৭°৬' উত্তর অক্ষাংশ এবং পশ্চিমে ৬৮°৭' পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে পূর্বে ৯৭°২৫' পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত । ভারত দক্ষিণ-পশ্চিমে আরব সাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত । দক্ষিণে মান্নার উপসাগর ও পক প্রণালী ভারতকে শ্রীলঙ্কা থেকে পৃথক করেছে ।

বিস্তৃতি : ভারত উত্তর থেকে দক্ষিণে ৩,২১৪ কিমি. এবং পশ্চিম থেকে পূর্বে ২,৯৯৩ কিমি বিস্তৃত । ভারত রাষ্ট্রের মোট আয়তন ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গ কিমি. । ভারতের স্থলভাগের পরিসীমা ১৫,২০০ কিমি এবং উপকূলভাগের দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিমি.এবং ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন জলভাগের দৈর্ঘ্য উপকূল থেকে ২২ কিমি. পর্যন্ত ।

সীমা : ভারতের উত্তর সীমানা জুড়ে হিমালয় পর্বতমালা অবস্থান করছে । এই সীমায় রয়েছে চিন, নেপাল ও ভুটান রাষ্ট্র । সর্ব উত্তরে ভারত, পাকিস্তান ও চিনের মিলিত সীমারেখাটি হল 'ইন্দিরা কল' । উত্তর-পূর্বে ম্যাকমোহন লাইন তিব্বতীয় চীন ও ভারতীয় ভূখণ্ডের সীমারেখা । উত্তর-পশ্চিমে ভারতীয় কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখাটি হল L.O.C বা Line of Control । দেশের পশ্চিম সীমায় রয়েছে পাকিস্তান ও আরব সাগর । ভারত ও পাকিস্তানের ঘোষিত সীমারেখা হল রাডক্লিফ লাইন । দক্ষিণ সীমায় অবস্থান করছে ভারত মহাসাগর, মান্নার উপসাগর ও শ্রীলংকা । দেশের পূর্ব সীমায় রয়েছে বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশ ও মায়ানমার রাষ্ট্র ।

ভারতের পশ্চিমতম প্রান্ত হল গুজরাটের কচ্ছ জেলার গুহার মোতি গ্রাম, উত্তরতম প্রান্তটি হল জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের পূর্ব কারাকোরাম পর্বতশ্রেণির ইন্দিরা কল, পূর্বতম প্রান্তটি হল অরুণাচল প্রদেশের আনজাউ জেলার কিবিথু এবং দক্ষিণতম প্রান্তটি হল নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইন্দিরা পয়েন্ট । 

*****

Comments

Related Items

বর্জ্যের উৎস (Source of waste)

বর্জ্যের উৎস (Source of waste) : বর্তমান আধুনিক নাগরিক সভ্যতায় মানুষের নানাবিধ কার্যকলাপেরপরিধিই হল বিভিন্ন ধরনের বর্জ্যের উৎসের প্রধান ক্ষেত্র । বর্জ্যের উৎসের প্রধান ক্ষেত্রগুলি হল — (১) গৃহস্থালির বর্জ্য, (২) শিল্প বর্জ্য, (৩) কৃষিজ বর্জ্য,  (৪) পৌর

বর্জ্য পদার্থের প্রকারভেদ (Types of waste)

বর্জ্য পদার্থের প্রকারভেদ (Types of waste) : বিভিন্ন কারণে পরিবেশে নানা প্রকারের বর্জ্য উৎপন্ন হয়ে থাকে । বর্জ্য পদার্থ তিন প্রকার, যেমন— (ক) কঠিন বর্জ্য, (খ) তরল বর্জ্য ও (গ) গ্যাসীয় বর্জ্য ।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management)

বর্জ্যের ধারণা (Concept of Waste) : 'বর্জ্য' কথাটির অর্থ হল 'যা বর্জনযোগ্য' । যে-কোনো কঠিন, তরল অথবা গ্যাসীয় সম্পদকে প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের পরে যে মূল্যহীন, নষ্ট বা খারাপ হয়ে যাওয়া অব্যবহার্য বস্তু পড়ে থাকে, যা সরাসরি মানুষের কাজে না লেগে পরিবেশ দূষণ

প্রতিদিন একই সময়ে জোয়ার ভাটা হয় না কেন ?

প্রতিদিন একই সময়ে জোয়ার ভাটা হয় না কেন ?

বান ডাকা (Tidal Bores)

বান ডাকা (Tidal Bores) : সাধারণত বর্ষাকালে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার ভরা কোটালের সময় চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে জোয়ারের জল নদীর খাড়িপথ ও মোহনা দিয়ে খুব উঁচু হয়ে প্রবল বেগে উজানের দিকে অর্থাৎ নদী প্রবাহের বিপরীত দিকে অগ্রসর হয় । ঢেউ, জলোচ্ছ্বাসসহ নদীর এই