উপদ্বীপীয় মালভূমি অঞ্চল (The Peninsular Plateau)

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 12/21/2021 - 16:13

(গ) উপদ্বীপীয় মালভূমি অঞ্চল (The Peninsular Plateau or The Deccan Plateau): উত্তরের সমভূমি অঞ্চলের দক্ষিণ দিকে পশ্চিমে আরাবল্লি পর্বত থেকে শুরু করে পূর্বে রাজমহল পাহাড় এবং উত্তরে গঙ্গা সমভূমি থেকে শুরু করে দক্ষিণে উপকূলীয় সমভূমির মধ্যবর্তী অংশে উপদ্বীপীয় মালভূমি অঞ্চলটি অবস্থিত ।

ভূপ্রকৃতি : একাধিক ক্ষয়প্রাপ্ত মালভূমি ও ছোটো ছোটো পাহাড় নিয়ে উপদ্বীপীয় মালভূমি অঞ্চলটি গড়ে উঠেছে । প্রাচীন আগ্নেয় শিলা ও রূপান্তরিত শিলা প্রধানত নিস ও সিস্ট শিলা দ্বারা গঠিত এই অঞ্চলটি প্রকৃতপক্ষে একটি শিল্ড মালভূমি । ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে এই অঞ্চলটিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা— (১) মধ্যভারতের উচ্চভূমি, (২) পূর্বভারতের উচ্চভূমি এবং (৩) দাক্ষিণাত্য মালভূমি ।

(১) মধ্যভারতের উচ্চভূমি : পশ্চিমে আরাবল্লি পর্বত থেকে পূর্বে শোন নদী অববাহিকা এবং উত্তরে গঙ্গা সমভূমি থেকে দক্ষিণে দাক্ষিণাত্য মালভূমি অঞ্চলের মধ্যে মধ্যভারতের উচ্চভূমি অঞ্চলটি অবস্থান করছে । এই অঞ্চলটির গড় উচ্চতা ২০০ মিটার থেকে ৫০০ মিটার । ভূপ্রকৃতিগতভাবে মধ্যভারতের উচ্চভূমি অঞ্চলটি আবার বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত । যেমন— (i) আরাবল্লি পর্বত, (ii) রাজস্থান উচ্চভূমি, (iii) মধ্য ভারতের পাথার অঞ্চল, (iv) বুন্দেলখন্ড মালভূমি, (v) বিন্ধ্য পর্বত, (vi) মালব মালভূমি, (vii) রেওয়া মালভূমি ।

(i) আরাবল্লি পর্বত : উচ্চভূমি অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিম দিকে আরাবল্লি পর্বত অবস্থান করছে । আরাবল্লী ভারতের প্রাচীনতম পর্বত এবং পৃথিবীর প্রাচীনতম ভঙ্গিল পর্বত সমুহের অন্যতম । আবু পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থিত গুরুশিখর আরবল্লি পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ । এর উচ্চতা হল ১,৭২২ মিটার ।

(ii) রাজস্থান উচ্চভূমি : আরাবল্লি পর্বতের পূর্ব দিকে রাজস্থান উচ্চভূমি অঞ্চলটি অবস্থিত । এই অঞ্চলটি মারওয়াড় মালভূমি নামেও পরিচিত । এর দক্ষিণে রয়েছে মধ্য ভারতের পাথার অঞ্চল ।

(iii) মধ্য ভারতের পাথার অঞ্চল : রাজস্থান উচ্চভূমির পূর্বে মধ্য ভারতের পাথার অঞ্চলটি অবস্থিত । এখানকার ভূপ্রকৃতি ঢেউ খেলানো ।

(iv) বুন্দেলখন্ড মালভূমি : পাথার অঞ্চলের আরও পূর্বদিকে বুন্দেলখন্ড মালভূমি অবস্থিত । এই অঞ্চলটি গ্রানাইট ও নিস শিলা দ্বারা গঠিত । এই মালভুমি অঞ্চলটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে উচ্চভূমিতে পরিণত হয়েছে । এই অঞ্চলে মাহী, নর্মদা ও অন্যান্য ছোটো ছোটো নদী দ্বারা ব্যবচ্ছিন্ন হয়ে মেসা ভূভাগের সৃষ্টি করেছে ।

(v) বিন্ধ্য পর্বত : নর্মদা নদীর উত্তরে অবস্থিত পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত এই পর্বতটি একটি প্রাচীন স্তুপ পর্বত । বিন্ধ্য পর্বতের ওপরটা সমতল এবং ধারগুলো ক্ষয় পেয়ে সিঁড়ির মতো হয়ে গেছে । বিন্ধ্য পর্বত থেকে চম্বল ও মাহী নদীর উৎপত্তি হয়েছে ।

(vi) মালব মালভূমি : বিন্ধ্য পর্বতের উত্তরে লাভা দিয়ে গঠিত এই মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি উঁচুনীচু ও সামান্য ঢেউ খেলানো ।

(vii) রেওয়া মালভূমি : মালব মালভূমির পূর্ব দিকে রেওয়া মালভূমি অঞ্চলটি অবস্থিত । এটি ঢেউ খেলানো ও লাভা দ্বারা গঠিত ।

(২) পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি : দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত ক্ষয়প্রাপ্ত মালভূমি ও উচ্চভূমিগুলিকে একত্রে পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি বলে । ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে এই অঞ্চলটি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত । যেমন—

(i) বাঘেলখণ্ড মালভূমি : পূর্ব ভারতের উচ্চভূমি অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিমে শোন নদীর দক্ষিণে অবস্থিত বাঘেলখণ্ড মালভূমিটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের ক্ষয়প্রাপ্ত অংশবিশেষ । এটি গ্রানাইট ও প্রাচীন পাললিক শিলায় গঠিত ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চল ।

(ii) ছোটোনাগপুর মালভূমি : বাঘেলখন্ড মালভূমির পূর্ব দিকে রাচি, হাজারিবাগ ও কোডার্মা মালভূমি নিয়ে এই অঞ্চলটি গঠিত । ছোটোনাগপুরের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ পরেশনাথ পাহাড় । এর উচ্চতা ১,৩৬৬ মিটার । এই অংশটি 'পাট অঞ্চল' নামেও পরিচিত । রাঁচি মালভূমির উত্তর দিক দিয়ে দামোদর নদ প্রবাহিত হয়েছে । এই নদের উত্তরে হাজারিবাগ মালভূমি অবস্থিত ।

(iii) রাজমহল পাহাড় :  রাচি মালভূমির উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত রাজমহল পাহাড় মালভূমিটি ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা গঠিত ।

(iv) ছত্রিশগড় ক্ষেত্র : মহানদী অববাহিকার ছত্রিশগড় ক্ষেত্র অঞ্চলটির আকৃতি অনেকটা সরার মত ।

(v) দণ্ডকারণ্য উচ্চভূমি : ছত্রিশগড়ের দক্ষিণে অবস্থিত দণ্ডকারণ্য উচ্চভূমি অঞ্চলটি কালাহান্ডি ও কোরাপুট মালভূমি নিয়ে গঠিত ।

(vi) গড়জাত পাহাড় : রাঁচি মালভূমির দক্ষিণে ও মহানদীর পূর্ব দিকে বোনাই, কেওনঝাড়, সিমলিপাল প্রভৃতি পাহাড় নিয়ে গড়জাত পাহাড় অঞ্চলটি গড়ে উঠেছে ।

(৩) দাক্ষিণাত্য মালভূমি : উত্তরে বিন্ধ্য পর্বত, পূর্বে পূর্বঘাট পর্বত ও পশ্চিমে পশ্চিমঘাট পর্বত দ্বারা বেষ্টিত নর্মদা নদীর দক্ষিণে অবস্থিত ত্রিভুজ আকৃতির মালভূমি অঞ্চলটি দাক্ষিণাত্য মালভূমি নামে পরিচিত । ভারতের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এই ভূখণ্ডটি 'গণ্ডোয়ানাল্যান্ড' -এর অংশবিশেষ । এই মালভূমি অঞ্চলটি পশ্চিম দিকে উঁচু এবং পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ক্রমশ ঢ়ালু হয়ে গেছে । পশ্চিম ঘাট ও পূর্বঘাট পর্বত দুটি ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত নীলগিরি পর্বতে পরস্পর মিলিত হয়েছে । মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু ভারতের এই চারটি রাজ্য দাক্ষিণাত্য মালভুমি অঞ্চলের অন্তর্গত । দাক্ষিণাত্য মালভুমি অঞ্চলকে পার্বত্য অংশ ও মালভূমি অংশ —এই দু-ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন—

দাক্ষিণাত্য মালভুমি অঞ্চলের পার্বত্য অংশে যে সমস্ত পর্বতগুলি অবস্থান করছে তা হল —

(ক) উত্তরের পর্বতসমূহ : দাক্ষিণাত্য মালভূমি অঞ্চলের উত্তর দিকে অবস্থান করছে— (i) সাতপুরা পর্বত : উত্তর দিকে নর্মদা নদী ও তাপ্তী নদীর মাঝে অবস্থিত এই স্তুপ পর্বতটির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল ধূপগড় । এর উচ্চতা হল ১,৩৫০ মিটার । (ii) মহাদেব পর্বত : সাতপুরা পর্বতের পূর্বে অবস্থিত মহাদেব পর্বত । এই পর্বতের সর্বোচ্চ স্থান পাঁচমারি । এর উচ্চতা ১,০৫০ মিটার । মহাদেব পর্বতে চুনা পাথরের গুহা দেখা যায় । (iii) মহাকাল পর্বত : মহাদেব পর্বতের পূর্বে বিস্তৃত মহাকাল পর্বত । এই পর্বতশ্রেণির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল অমরকন্টক । এর উচ্চতা ১,০৫৭ মিটার । 

(খ) পশ্চিমঘাট পর্বত : ভারতের পশ্চিমে আরব সাগরের উপকূলের সমান্তরালে উত্তরে সাতপুরা পর্বত থেকে দক্ষিণে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিস্তৃত এই পশ্চিমঘাট পর্বতমালা । এই পর্বতমালাটি প্রায় ১,৬০০ কিমি. দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে । এই পর্বতমালাটি তিনটি অংশে বিভক্ত । যথা —

(i) সহ্যাদ্রি : মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত পশ্চিমঘাট পর্বতমালার এই অংশটি সহ্যাদ্রি নামে পরিচিত । এই অংশে করজাত ও খাণ্ডালা পর্বতের মাঝে ভোরঘাট গ্যাপ ও গোয়ার কাছে থলঘাট গ্যাপ নামে দুটি গিরিপথ অবস্থিত । সহ্যাদ্রির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মূল্যায়নগিরি কর্ণাটকে অবস্থিত । এর উচ্চতা ১,৯৩০ মিটার

(ii) নীলগিরি পর্বত : তামিলনাড়ু রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রসারিত পশ্চিমঘাট পর্বতমালার এই অংশটিকে নীলগিরি পর্বত বলে । এই পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল দোদাবেতা । এর উচ্চতা ২,৬৩৭ মিটার । এই অংশে তিরুমালা পর্বতটি পশ্চিমঘাটকে পূর্বঘাট পর্বতের সঙ্গে যুক্ত করেছে । দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত শৈলশহর উটি নীলগিরি পর্বতে অবস্থিত ।

(iii) আনাইমালাই পর্বত : কার্ডামম ও পালনি পাহাড়কে নিয়ে এই পর্বতমালাটি গড়ে উঠেছে । এই পর্বতটি নীলগিরি থেকে পালঘাট গ্যাপ নামক গিরিপথ দ্বারা বিচ্ছিন্ন । এই পর্বতের উচ্চতম শৃঙ্গ হল আনাইমুদি । এর উচ্চতা ২,৬৯৫ মিটার । এই পর্বতশৃঙ্গটি হল সমগ্র পশ্চিমঘাট পর্বতমালা তথা দাক্ষিণাত্য মালভূমির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ।

(গ) পূর্বঘাট পর্বত : ভারতের পূর্ব উপকূলের সমান্তরালে অবস্থিত পূর্বঘাট পর্বতমালা বা মলয়াদ্রি কয়েকটি বিচ্ছিন্ন পর্বত নিয়ে গঠিত । শেভরয়, জাভাদি, নান্নামালাই, ভেলিকোণ্ডা, পালকোণ্ডা, পচাইমালাই প্রভৃতি কয়েকটি বিচ্ছিন্ন পর্বতের সমষ্টি হল পূর্বঘাট পর্বতমালা । উত্তরে পশ্চিমবঙ্গের সীমানা থেকে দক্ষিণে তামিলনাড়ু পর্যন্ত বিস্তৃত এই পর্বতমালাটি মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা ও কাবেরী নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে অবস্থান করছে । এই পর্বতমালার উত্তর অংশে মালিয়া পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল মহেন্দ্রগিরি । এর উচ্চতা হল ১,৫০১ মিটার । এর দক্ষিণে মাদুগুলা কোণ্ডা পর্বতের আর্মা কোণ্ডা হল সমগ্র পূর্বঘাট পর্বতমালার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ । এর উচ্চতা হল ১,৬৮০ মিটার ।

দাক্ষিণাত্য মালভুমি অঞ্চলের মালভূমি অংশে যে সমস্ত উল্লেখযোগ্য মালভূমিগুলি অবস্থান করছে তা হল  

(i) মহারাষ্ট্র মালভূমি : মহারাষ্ট্রে ব্যাসল্ট শিলায় গঠিত বিশাল মালভূমি অঞ্চলটি 'ডেকান ট্র্যাপ' নামে পরিচিত ।

(ii) কর্ণাটক মালভূমি : ডেকান ট্র্যাপের দক্ষিণে কর্ণাটক মালভূমি অবস্থিত । এটি একটি ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি । এর গড় উচ্চতা ৪৫০ মিটার । এই মালভূমি অঞ্চলের পূর্বদিকের অংশ সমপ্রায়ভূমির অন্তর্গত ।

(iii) তেলেঙ্গানা মালভূমি : কর্ণাটক মালভূমির পূর্বে অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত এই মালভূমিটিকে তেলেঙ্গানা মালভূমি বলে । এই মালভূমিটি প্রধানত নিস শিলা দ্বারা গঠিত । এর উত্তরদিকে সাতনালা পাহাড় বিশেষ উল্লেখযোগ্য ।

ডেকান ট্র্যাপ : সুইডিশ শব্দ 'ট্র্যাপ' কথার অর্থ সিড়ি । দাক্ষিণাত্য অঞ্চলে সিঁড়ির মতো ধাপযুক্ত যে মালভূমি গড়ে উঠেছে তাকে ডেকান ট্র্যাপ বলে । ৭ থেকে ১৩ কোটি বছর আগে এই অঞ্চলে বিদার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠের ওপর লাভাস্তর আবৃত হয়ে এই মালভূমির সৃষ্টি হয় । লাভা নিঃসরণের ঘটনা থেমে থেমে ঘটায় এখানকার লাভা স্তরে স্তরে সজ্জিত এবং স্থান বিশেসে ১৫০ মিটার থেকে প্রায় ২০০০ মিটার গভীর । পরবর্তীকালের বৃষ্টি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্ষয়িত লাভা স্তরের পার্শ্বদেশ সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে ওপর থেকে নিচে নেমে গেছে, এইজন্য এই লাভায় ঢাকা মালভূমি অঞ্চলটিকে ডেকান ট্রাপ (Deccan Trap) বলে । দাক্ষিণাত্যের প্রায় ১৯০০ বর্গ কিমি. এলাকা জুড়ে থাকা এই মালভূমি অঞ্চলের গড় উচ্চতা ৩০০ মিটার থেকে ৬০০ মিটার ।

মালনাদ ও ময়দান — কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিমদিকে ছোট ছোট পাহাড় দিয়ে ঘেরা অঞ্চলটি মালনাদ নামে পরিচিত । মালনাদের পূর্ব দিকে মৃদু তরঙ্গায়িত সমপ্রায়ভূমি অঞ্চলকে ময়দান বলে ।

মালভূমি অঞ্চলের গুরুত্ব :

(১) মালভূমি অঞ্চল খনিজ সম্পদে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ।

(২) খনিজ সম্পদের সহজলভ্যতার কারণে মালভূমি অঞ্চলে ভারী শিল্পের বিকাশ ঘটেছে ।

(৩) এই অঞ্চলের ঘন বনভূমি সেখানকার অধিবাসীদের জীবিকা অর্জন ও বনজ শিল্পের সহায়ক হয়েছে ।

(৪) মালভূমি অঞ্চলের নদীগুলি খরস্রোতা হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়ক ।

(৫) মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে মালভূমি অঞ্চলে বহু পর্যটনকেন্দ্র ও স্বাস্থ্যনিবাস গড়ে উঠেছে ।

*****

Comments

Related Items

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা (Role of Students in Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা (Role of students in waste management) : সুন্দর ও স্বচ্ছ মন এবং সুস্থশিক্ষা পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল । পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সুন্দর না থাকলে, সুন্দর স্বচ্ছ মন ও সুস্থশিক্ষা সম্ভব নয় । তাই বর্জ্য ব্যবস্

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা (Need for Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা (Need for waste management) : ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ, মৃত্তিকা সংক্রমণ, দূষণ, লিশেট ইত্যাদির মাধ্যমে বর্জ্য পরিবেশকে প্রভাবিত করে থাকে । বর্জ্যপদার্থ কঠিন বা তরলরূপে জলাশয়ে এসে পড়লে তা জলের রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি (Method of Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি (Method of waste management) : বর্জ্যপদার্থ সংগ্রহ, বর্জ্যের পরিবহন, আবর্জনার বিলিব্যবস্থা, নর্দমার জল ও অন্যান্য বর্জ্যের নিকাশ প্রভৃতি হল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্যতম দিক । বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রধান পদ্ধতিগুলি হল— (১) বর্জ্য

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management)

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management) : যে কার্যকরী পরিচালন পদ্ধতির মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থের সংগ্রহ, অপসারণ, পরিবহণ, শোধন, ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস ও পুনরায় বর্জ্য পদার্থকে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয়, তাকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলা হয় । অন্যভাবে বলা যায়, বর্জ

পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব (Effect of wastes on environment)

পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব (Effect of wastes on environment) : বর্জ্য পরিবেশকে নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে । যেমন — (ক) ভূপৃষ্ঠস্থ জলের কলুষিতকরণ, (খ) মৃত্তিকা সংক্রমণ, (গ) দূষণ, (ঘ) লিশেট ইত্যাদি ।