গুপ্ত পরবর্তী ভারত

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 04/23/2011 - 16:35

গুপ্ত পরবর্তী ভারত (India after the Gupta Empire) :

গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর ভারতের রাজনৈতিক ঐক্য বিনষ্ট হয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির বিকাশ ঘটে । সুলতানি সাম্রাজ্যের আগে ভারতে আর কোনো শক্তিশালী সাম্রাজ্যের আবির্ভাব ঘটেনি ।

গুপ্ত রাজশক্তির অবক্ষয় (Decline of the Gupta Empire) : ৪৬৭ খ্রিস্টাব্দে স্কন্দগুপ্তের মৃত্যুর পর গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয় । এই সময়ে হুনরা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত আক্রমণ করে এবং শেষ উল্লেখযোগ্য সম্রাট বুধগুপ্ত পরাজিত হয় ও তার মৃত্যু হয় এবং হুনরা শিয়ালকোট ও পূর্ব মালয় অধিকার করে । এদিকে কেন্দ্রীয় শক্তির দুর্বলতার ফলে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গুপ্ত বংশের রাজপুত্ররা স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে শুরু করেন । ৫৫০ খ্রিস্টাব্দে মগধ গুপ্তদের হস্তচ্যুত হয় ও গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন সম্পূর্ণ হয় । এই অবস্থায় উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে কয়েকটি আঞ্চলিক শক্তির উদ্ভব ঘটে ।

বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির আত্মপ্রকাশ - পশ্চিম ও উত্তর ভারত

বলভীর মৈত্রিক বংশ :

যশোধর্মণ :

কনৌজের উত্থান - মৌখরী বংশ : 

পুষ্যভূতি বংশ ও হর্ষবর্ধন (৬০৬ - ৬৪৬/৪৭) :

প্রতিহার বংশ :

অন্যান্য শক্তির উদ্ভব :

বাংলা

শশাঙ্ক (৬০৬ - ৬৩৭) :

পাল বংশ - ধর্মপাল (৭৭০ - ৮১০) :

দেবপাল (৮১০ - ৮৫০) :

সেন বংশ :

দক্ষিণ ভারত :

বাতাপির চালুক্য বংশ :

রাষ্ট্রকূট বংশ :

কল্যাণীর চালুক্য বংশ : 

কাঞ্চীর পল্লব বংশ :

তাঞ্জোরের চোল বংশ :

রাজনৈতিক আধিপত্য লাভের প্রতিদ্বন্দ্বিতা :

*****

Related Items

আধুনিক যুগের ঐতিহাসিক উপাদান

আধুনিক যুগের ইতিহাস রচনার জন্য ঐতিহাসিক উপাদানের কোনো অভাব নেই । লেখ্যাগারে সঞ্চিত সরকারি নথিপত্র, বিভিন্ন বিদেশী, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাগজপত্র, সংবাদ পত্র ও সাময়িক পত্র, শাসক ও সরকারি কাজে নিযুক্ত কর্মচারীদের দিনপঞ্জী ...

মধ্যযুগের ঐতিহাসিক উপাদান

সুলতানি যুগ ও মুঘল যুগ মিলে মধ্যযুগ বলা হয় । মধ্যযুগে ইতিহাস গ্রন্থের অভাব নেই । সেজন্য মধ্যযুগে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান অপেক্ষা সাহিত্যিক উপাদান বেশি গুরুত্বপূর্ণ । সুলতানিযুগের ঐতিহাসিক উপাদান দু ধরনের (i) সাহিত্যিক উপাদান ও (ii) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান ...

প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের উপাদান

সমকালীন ঐতিহাসিকদের রচনা ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক সাহিত্যকীর্তি হল মূলত ইতিহাসের সাহিত্যিক উপাদান । সাহিত্যিক উপাদানের নির্ভরযোগ্যতা সম্মন্ধে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়, কারণ এখানে ভূল তথ্য বা অনিচ্ছাকৃত তথ্য পরিবেশনের সুযোগ থাকে ।

বৈচিত্রের মাঝে ভারতের মূলগত ঐক্য

কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিশাল এই ভুখন্ডের তাপমাত্রা, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত, জৈব ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্য, মানবীয় বৈচিত্র্য, ভাষাগত বৈচিত্র্য, ধর্মীয় বৈচিত্র্য প্রভৃতি অসাধারণ ভৌগলিক বৈচিত্র্য এবং ভাষা, ধর্ম তথা মানুষের জীবন যাত্রা ও রীতিনীতিতে নানান বিভিন্নতা থাকা সত্বেও ...

ভাষার ভিত্তিতে ভারতীয় জনগোষ্ঠীর বিভাগ

ভাষার ভিত্তিতে ভারতীয় জনগণকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেমন- আর্য গোষ্ঠী, দ্রাবিড় গোষ্ঠী ও আদিবাসী গোষ্ঠী ...