'ধীবর-বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে তা লেখ ।

Submitted by avimanyu pramanik on Tue, 02/08/2022 - 20:14

প্রশ্ন : 'ধীবর-বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে তা লেখ

উঃ- 'ধীবর-বৃত্তান্ত' নাট্যাংশটি মহাকবি কালিদাসের লেখা 'অভিজ্ঞান শকুন্তলম' নামক সংস্কৃত নাট্যকাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে । নাট্যাংশে দেখা যায় যে, ধীবরের কাছ থেকে রাজা দুষ্মন্তের নাম খোদাই করা আংটি পাওয়া গেছে । এজন্য রক্ষীরা ধীবরকে চোর ভেবে ধরে নিয়ে রাজার কাছে গেছে । এই সময় তারা ধীবরকে চোর ভেবে নানান অকথা কুকথা বলে গালিগালাজ করে । তারা ধীবরকে 'গোসাপ খাওয়া জেলে' বলেছে । এর গায়ে থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে । জেলেকে ছোটলোক, বদ, বাটপার চোর বলে অপবাদ দিয়েছে ।

দুই রক্ষীর কথোপকথন থেকে তৎকালীন সামাজিক অবস্থার কিছু ছবি এখানে ফুটে উঠেছে । সমাজে জাতপাতের বিভেদ, অর্থনৈতিক বিভেদের ছবি বেশ প্রকট ছিল । জেলেরা নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোক বলে তারা এদের দ্বারা নিপীড়িত হত— সে ছবি বেশ স্পষ্টভাবে বোঝা যায় । দুই রক্ষীর কথাবার্তা থেকে বোঝা যায় যে, উচ্চবর্ণের মানুষ নিম্নবর্ণের উপর সর্বদা অবজ্ঞা, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত এবং বিনা কারণে তাদের উপর উৎপীড়ন চালাত । তবে নগররক্ষক রাজশ্যালকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি কিন্তু ধীবরের কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন এবং রাজার আদেশের জন্য অপেক্ষা করেছেন । রাজ আদেশ পাওয়া মাত্র ধীবরকে একজন বন্ধু বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ।

*****

Comments

Related Items

ধ্বনি ও ধ্বনি পরিবর্তন

ধ্বনি ও ধ্বনির পরিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

ধাতু ও প্রত্যয়

ক্রিয়াপদের অবিভাজ্য অংশকে বলা হয় ধাতু । অর্থাৎ ক্রিয়াপদকে ভাঙতে ভাঙতে যখন আর ভাঙা যায় না, তখন সেই অবিভাজ্য অংশটি হল ধাতু ।

উপসর্গ ও অনুসর্গ

যেসব অব্যয় বা শব্দখণ্ড কোনো ধাতুর বা শব্দের আগে বসে ধাতু বা শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায় বা নতুন অর্থ দান করে সেই অব্যয় বা শব্দখণ্ডকে উপসর্গ বলে ।

শব্দ গঠন (Word Composition)

ভূমিকা :- যেকোনো ভাষার মূল উপাদান হল শব্দ । তাই ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে হলে তার শব্দসম্পদও বাড়াতে হবে । নতুন নতুন শব্দ গঠন করে ভাষাতে যোগান দিতে হবে । শব্দভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ হয় ভাষাও তত সমৃদ্ধ হয় । সেইজন্য নিত্য নতুন শব্দ গঠন করা প্রয়োজন । আমাদের বাংলা ভাষাতেও নতুন শব্দ গঠনের বিভিন্ন