বয়েল ও চার্লসের সূত্রদ্বয়ের সমন্বয়

Submitted by arpita pramanik on Wed, 01/09/2013 - 15:34

বয়েল ও চার্লসের সূত্রদ্বয়ের সমন্বয় (Combination of Boyle's and Charles's laws) :

মনে করা যাক, নির্দিষ্ট ভরের কোনো গ্যাসের আয়তন, চাপ ও উষ্ণতা যথাক্রমে V, P এবং T তাহলে

বয়েলের সূত্রানুসারে [tex]V \propto \frac{1}{P}[/tex],যখন উষ্ণতা T স্থির ।

এবং চার্লসের সূত্রানুসারে [tex]V \propto T[/tex],যখন চাপ P স্থির ।

[tex]\therefore[/tex] চাপ ও উষ্ণতা উভয়েই পরিবর্তিত হলে লেখা যায় [tex]V \propto \frac{T}{P}[/tex] বা [tex] \frac{PV}{P} = K [/tex] (ধ্রুবক) বা PV = KT

ধ্রুবক K -এর মান গ্যাসের ভরের ওপর নির্ভর করে । এটিই বয়েল চার্লসের সমন্বয়সূত্র । যদি T1K উষ্ণতায় নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন V1 ও চাপ P1 এবং T2K উষ্ণতায় ওই পরিমাণ গ্যাসের আয়তন V2 ও চাপ P2 হয়, তাহলে ওপরের সমীকরণ অনুসারে লেখা যায়, [tex]\frac{{{P_1}{V_1}}}{{{T_1}}} = \frac{{{P_2}{V_2}}}{{{T_2}}} = K[/tex] ধ্রুবক

 

আদর্শ গ্যাস সমীকরণ বা অবস্থার সমীকরণ (Ideal gas equation or Equation of state) :

বয়েল ও চার্লসের সমন্বয়সূত্র PV = KT সমীকরণের ধ্রুবক K -এর মান গ্যাসের ভরের ওপর নির্ভর করে । এক গ্রাম-অণু অর্থাৎ, এক মৌল পরিমাণ যে-কোনো গ্যাসের ক্ষেত্রে ধ্রুবক K -এর মান একই হয় । এই ধ্রুবককে R অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয় । ধ্রুবক R -কে সার্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক বা মোলার গ্যাস ধ্রুবক বলে । এক মোল গ্যাসের বেলায়, PV = RT সমীকরণকে আদর্শ গ্যাস সমীকরণ বা অবস্থার সমীকরণ বলে n -মোল গ্যাসের বেলায় আদর্শ গ্যাস সমীকরণ হল, PV = nRT

সার্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক : আদর্শ গ্যাস সমীকরণ PV = RT এর ধ্রুবক R -এর মান গ্যাসের প্রকৃতি ও ধর্মের ওপর নির্ভর করে না । সকল গ্যাসের ক্ষেত্রেই এর মান সমান হয় । তাই R -কে সার্বজনীন গ্যাস ধ্রুবক বলে ।  R = 8.31 x 107 আর্গ / মোল K = 8.31 জুল/মোল K ;  যেহেতু 1 জুল = 107 আর্গ ।

*****

Related Items

জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে । অর্থাৎ, জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া পরস্পরের পরিপূরক । কোনো বিক্রিয়ায় জারণ-ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে । এই রকম রাসায়নিক বিক্রিয়াকে রেডক্স বিক্রিয়া বলা হয় । ...

কয়েকটি জারক ও বিজারক পদার্থ

কয়েকটি জারক পদার্থ - ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অক্সিজেন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড, ওজোন, পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লুওরিন, রেড লেড, তরল ব্রোমিন, ক্লোরিন, কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ ...

জারণ বিজারণের ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ

জারণ ও বিজারণ রসায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া । সাধারণত কোনো মৌলে বা যৌগে অক্সিজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে হাইড্রোজেনের বিযুক্তিকে জারণ এবং কোনো মৌলে বা যৌগে হাইড্রোজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে অক্সিজেনের বিযুক্তিকে বিজারণ বলা হয় । ...

সমযোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য

সাধারণ তাপমাত্রায় বেশির ভাগ সমযোজী যৌগ সাধারণত তরল কিংবা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু বেশি আণবিক গুরুত্ববিশিষ্ট সমযোজী মৌল বা যৌগগুলি কঠিন বা তরল হয় । সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন দৃঢ় প্রকৃতির, তার ফলে অণুগুলি স্থায়ী হয় । ...

ইলেক্ট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা

সাধারণ অবস্থায় পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন এবং প্রোটন সংখ্যা সমান হওয়ার জন্য পরমাণু নিস্তড়িৎ হয় । সাধারণ নিয়মে পরমাণুর সংযোগ হওয়ার সময় ধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন এবং অধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে । ফলে কোনো পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় ...