ছোট প্রশ্ন ও উত্তর : ধাতুর উৎস, ধর্ম ও ব্যবহার

Submitted by arpita pramanik on Mon, 11/19/2012 - 18:55

ছোট প্রশ্ন ও উত্তর : ধাতুর উৎস, ধর্ম ও ব্যবহার :

প্রশ্ন:-  আকরিক [Ores] কাকে বলে ?

উত্তর:-  যে খনিজ [Mineral] থেকে সহজে এবং সুলভে ধাতু নিষ্কাশন করা যায় তাকে আকরিক বলে ।

 

প্রশ্ন:-  অ্যালুমিনিয়ামের [Aluminium] প্রধান আকরিকের নাম ও সংকেত লেখো ।

উত্তর:-  অ্যালুমিনিয়ামের প্রধান আকরিকের নাম হল বক্সাইট [Bauxite] এবং এর সংকেত হল Al2O3,  2H2O

 

প্রশ্ন:-  ম্যাগনেসিয়ামের [Magnesium] প্রধান আকরিকের নাম ও সংকেত লেখো ।

উত্তর:-  ম্যাগনেসিয়ামের প্রধান আকরিকের নাম হল ম্যাগনেসাইট [Magnesite] এবং এর সংকেত হল MgCO3

 

প্রশ্ন:-  দস্তা বা জিঙ্ক [Zinc] -এর প্রধান আকরিকের নাম ও সংকেত লেখো ।

উত্তর:-  দস্তা বা জিঙ্ক -এর  প্রধান আকরিকের নাম হল জিঙ্ক ব্লেন্ড [Zincblend] এবং এর সংকেত হল ZnS

 

প্রশ্ন:-  তামার [Copper] প্রধান আকরিকের নাম ও সংকেত লেখো ।

উত্তর:-  তামার প্রধান আকরিকের নাম হল কপার পাইরাইটিস [Copper Pyrites] বা চালকোপাইরাইটিস এবং এর সংকেত হল CuFeS2

 

প্রশ্ন:-  লোহার একটি প্রধান আকরিকের নাম ও সংকেত লেখো ।

উত্তর:-  লোহার একটি প্রধান আকরিকের নাম হল রেড হেমাটাইট [Red Haematite] এবং এর সংকেত হল Fe2O3

 

প্রশ্ন:- কোন ধরনের ধাতু প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ?

উত্তর:- সোনা, রুপা, প্লাটিনাম প্রভৃতি ধাতুগুলি কম সক্রিয় । এজন্য এদের প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ।

 

প্রশ্ন:- অ্যালুমিনিয়াম একটি হালকা ধাতু । কিন্তু বিমানের কাঠামো নির্মাণে বিশুদ্ধ অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয় না কেন ?

উত্তর:-  আর্দ্র বায়ুতে অ্যালুমিনিয়াম ধাতু বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে Al2O3 -এর একটি আস্তরণ ফেলে । এই কারণে বিমানের কাঠামো নির্মাণে বিশুদ্ধ অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয় না ।

 

প্রশ্ন:- এমন দুটি ধাতুর নাম ও সংকেত লেখো যারা অ্যাসিড ও ক্ষার উভয়ের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে ।

উত্তর:-  অ্যাসিড ও ক্ষার উভয়ের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে এমন দুটি ধাতু হল অ্যালুমিনিয়াম (Al) ও জিঙ্ক (Zn) ।

 

প্রশ্ন:- ধাতু সংকর [Alloys] বলতে কি বোঝায় ?

উত্তর:- দুই বা ততোধিক ধাতু পরস্পর মিশে যে সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব মিশ্রণ উত্পন্ন করে, সেই কঠিন ধাতব পদার্থকে ধাতু সংকর বা সংকর ধাতু বলে ।

 

প্রশ্ন:-  পারদ সংকর বলতে কি বোঝায় ?

উত্তর:-  সংকর ধাতুর একটি উপাদান পারদ হলে তাকে পারদ সংকর বা অ্যামালগাম বলে । যেমন দস্তার পারদ সংকর (Zn/Hg) তড়িৎকোষ তৈরিতে বাবহৃত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  ধাতু সংকর তৈরি হয় কেন ?

উত্তর:- (i) জল বায়ুর প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে ,

 (ii) ধাতুর কাঠিন্য বাড়ানোর জন্য, 

(iii) দাতুর জারণ ক্রিয়া কমাতে এবং

(iv) ধাতুর তাপ ও তড়িৎপরিবহন ক্ষমতা বাড়ানো বা কমানোর জন্য ধাতু সংকর (Alloys) তৈরি করা হয় ।

 

প্রশ্ন:- অ্যালুমিনিয়ামের একটি ধাতু সংকর নাম কি ?

উত্তর:- অ্যালুমিনিয়ামের একটি ধাতু সংকর হল ডুরালুমিন

 

প্রশ্ন:-  রান্নার বাসনপত্র নির্মাণে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয় না কেন ?

উত্তর:-  অ্যালুমিনিয়াম তাপের সুপরিবাহী এবং হালকা ধাতু এজন্য রান্নার বাসনপত্র নির্মাণে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয় না ।

 

প্রশ্ন:-  অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার আকরিকের মধ্যে কোন ধাতুটির আকরিকে ভারত সমৃদ্ধ ?

উত্তর:-  অ্যালুমিনিয়াম ও লোহার আকরিকের মধ্যে লোহার আকরিকে ভারত সমৃদ্ধ ।

 

প্রশ্ন:- ভূপৃষ্ঠে কোন ধাতুর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ?

উত্তর:- ভূপৃষ্ঠে অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ।

 

প্রশ্ন:- এমন দুটি ধাতুর নাম লেখো যারা অতিলঘু নাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে । 

উত্তর:-  ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম অতিলঘু নাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন উৎপন্ন করে ।

 

প্রশ্ন:-  দার্শনিকের উল কি ?

উত্তর:-  দস্তাকে বায়ু বা অক্সিজেনে তীব্র উত্তপ্ত করলে সাদা ধোঁয়ার আকারে উত্পন্ন জিঙ্ক অক্সাইড (ZnO)  ক্রমশ শীতল হয়ে সাদা উলের মতো জমা হয় । একে দার্শনিকের উল (বা জিঙ্ক হোয়াইট)  বলে ।

 

প্রশ্ন:-  দস্তার পাত্রে কপার সালফেট রাখা যায় না কেন ?

উত্তর:- দস্তার সঙ্গে কপার সালফেটের দ্রবণের বিক্রিয়ায় লাল বর্ণের ধাতব কপার অধঃক্ষিপ্ত হয় এবং জিঙ্ক সালফেট উৎপন্ন হয় ।

যথা :- Zn + CuSO4 = ZnSO4 + Cu ↓ । ফলে পাত্রটি ক্ষয়ে যায় । এই কারণে দস্তার পাত্রে কপার সালফেট দ্রবণ রাখা যায় না ।

 

প্রশ্ন:-  আর্দ্র বায়ুতে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখলে দস্তার ধাতব উজ্জ্বলতা নষ্ট হয় কেন ?

উত্তর:-  আর্দ্র বায়ুতে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখলে দস্তার ওপর ক্ষারীয় জিঙ্ক কার্বনেটের [ZnCO3, 3Zn(OH)2] সাদা আস্তরণ পড়ে । ফলে দস্তার ধাতব উজ্জ্বলতা নষ্ট হয় ।

 

প্রশ্ন:-  এমন দুটি ধাতুর নাম লেখো যা ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না ।

উত্তর:-  ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এমন দুটি ধাতুর নাম হল লোহা এবং তামা ।

 

প্রশ্ন:- ইস্পাত ও পেটা লোহার মধ্যে কোনটিতে কার্বনের পরিমাণ বেশি থাকে ?

উত্তর:-  ইস্পাত ও পেটা লোহার মধ্যে ইস্পাতে কার্বনের পরিমাণ বেশি থাকে ।

 

প্রশ্ন:- লোহায় মরচে পড়া কী ?

উত্তর:-  সাধারণ উষ্ণতায় আর্দ্র বায়ুতে লোহাকে রেখে দিলে লোহার ওপর লালচে বাদামি রঙের একটি আস্তরণ পড়ে । এই আস্তরণকে লোহায় মরচে পড়া বলে । মরচে হল জল যুক্ত ফেরিক অক্সাইড যার সংকেত হল Fe2O3, xH2O

 

প্রশ্ন:- স্টেইনলেস স্টিল কী ? এর ব্যবহার উল্লেখ করো ।

উত্তর:- স্টেইনলেস স্টিল বা কলঙ্কহীন ইস্পাত হল লোহার একটি ধাতু সংকর । এর উপাদান দুটি হল লোহা এবং ক্রোমিয়াম । এটি বাসনপত্র, ছুরি,  কাঁচি ইত্যাদি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  লোহায় মিশ্রিত কোন পদার্থের ওপর লোহার ধর্ম ও প্রকৃতি নির্ভর করে ?

উত্তর:-  লোহায় মিশ্রিত কার্বনের পরিমাণের ওপর লোহার ধর্ম ও প্রকৃতি নির্ভর করে ।

 

প্রশ্ন:-  আর্দ্র বায়ুতে লোহাকে রেখে দিলে লোহায় মরচে পড়ে কিন্তু স্টেইনলেস স্টিল বা কলঙ্কহীন ইস্পাতে মরচে পড়ে না কেন ?

উত্তর:-  স্টেইনলেস স্টিল বা কলঙ্কহীন ইস্পাত হল লোহা এবং ক্রোমিয়ামের ধাতু সংকর ।  ধাতু সংকর জলবায়ুর প্রকোপ থেকে পদার্থের ক্ষয় নিবারণ করে । তাই আর্দ্র বায়ুতে লোহায় মরচে পড়ে , কিন্তু লোহার সংকর ধাতু স্টেইনলেস স্টিলে মরচে পড়ে না ।

 

প্রশ্ন:-   গ্যালভানাইজেশন  কী ?

উত্তর:-  লোহার তৈরি বস্তুকে মরচের হাত থেকে রক্ষা করতে ঐ বস্তুগুলির উপর জিঙ্কের পাতলা প্রলেপ দেওয়া হয় । একে জিঙ্কলেপন বা গ্যালভানাইজেশন বলে ।

 

প্রশ্ন:- লৌহ পাত্রে দস্তার প্রলেপ দেওয়ার উদ্দেশ্য কী ?

উত্তর:- মরচের হাত থেকে রক্ষা করতে লৌহ পাত্রে দস্তার প্রলেপ দেওয়া হয়  ।

 

প্রশ্ন:- নিষ্ক্রিয় লোহা কী ?

উত্তর:- অতি গাঢ় বা ধুমায়মান নাইট্রিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় লোহার উপর ফেরোসো ফেরিক অক্সাইড  (Fe3O4) -এর আস্তরণ পড়ে । ফলে লোহা আর দ্রবীভূত হয় না । একে নিষ্ক্রিয় লোহা বলে ।

 

প্রশ্ন:- জল এবং ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এমন একটি ধাতুর নাম কী  ?

উত্তর:- জল এবং ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এমন একটি ধাতুর নাম হল তামা বা কপার ।

 

প্রশ্ন:- পিতল তৈরি করতে কোন কোন ধাতুর প্রয়োজন হয় ?

উত্তর:- পিতল তৈরি করতে তামাদস্তার প্রয়োজন হয় । পিতলে তামার শতকরা পরিমাণ বেশি থাকে ।

 

প্রশ্ন:- বৈদ্যুতিক তার হিসাবে তামা ব্যবহার করা হয় কেন ?

উত্তর:-  তামা তড়িতের সুপরিবাহী । তাই বৈদ্যুতিক তার হিসাবে তামা ব্যবহার করা হয়  ।

 

প্রশ্ন:-  তামার একটি ধাতু সংকরের নাম কী ?

উত্তর:-  তামা (90%) এবং টিন (10%) -এর ধাতু সংকর হল ব্রোঞ্জ । এটি বাসনপত্র ও মূর্তি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় ।

 

প্রশ্ন:-  তামার পাত্রে লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড রাখা যায় কী ? 

উত্তর:- ধাতুর সক্রিয়তা শ্রেণিতে তামার স্থান হাইড্রোজেনের নীচে । তাই লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) তামার সঙ্গে বিক্রিয়া করে না । ফলে তামার পাত্রে লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড রাখা যায়  ।

 

প্রশ্ন:-  জার্মান সিলভার কি ? এর একটি ব্যবহার উল্লেখ করো ।

উত্তর:- জার্মান সিলভার হল তামা (50%),  দস্তা (30%) এবং নিকেল (20%) -এর সমন্বয়ে গঠিত একটি ধাতু সংকর । এটি বাসনপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ।  

 

প্রশ্ন:- তামাকে গাঢ় H2SO4 -এর সঙ্গে ফোটালে যে বায়ুদূষক গ্যাস উত্পন্ন হয় তার নাম কী ?

উত্তর:- তামাকে গাঢ় H2SO4 -এর সঙ্গে ফোটালে যে বায়ুদূষক গ্যাস উত্পন্ন হয় তার নাম হল সালফার ডাই-অক্সাইড (SO2) ।

       বিক্রিয়া :  Cu + 2H2SO4 = CuSO4 + SO2↑+ 2H2O

 

প্রশ্ন:-  তামার মুদ্রাকে দীর্ঘদিন ধরে আর্দ্র বায়ুতে ফেলে রাখলে ওটি সবুজ বর্ণ ধারণ করে কেন ?

উত্তর:-  তামার মুদ্রাকে দীর্ঘদিন ধরে আর্দ্র বায়ুতে ফেলে রাখলে তামার উপর প্রথমে অক্সাইড ও সালফাইডের বাদামি রঙের আস্তরণ পড়ে এবং ঐ আস্তরণ ক্রমে সবুজ রঙের ক্ষারীয় কপার সালফেট [CuSO4, 3Cu(OH)2] -এ পরিণত হয় ফলে তামার মুদ্রাটি সবুজ বর্ণ ধারণ করে ।

 

প্রশ্ন:- চারটি ধাতুর মিশ্রণে একটি সংকর ধাতুর নাম কী ? এর ব্যবহার উল্লেখ করো ।

উত্তর:- চারটি ধাতুর মিশ্রণে একটি সংকর ধাতুর নাম হল ডুরালুমিন । এর মূল উপাদান হল—

[i] অ্যালুমিনিয়াম (Al) (95%) 

[ii] কপার (Cu) (4%) 

[iii]  ম্যাগনেসিয়াম (Mg) (0.5%) 

[iv] ম্যাঙ্গানিজ (Mn) (0.5%)  ।

   এটি বিমান ও মোটর গাড়ির বিভিন্ন অংশ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় ।

 

প্রশ্ন:- সংকর ধাতুর গলনাঙ্ক ওর উপাদান মৌলগুলির গলনাঙ্কের চেয়ে বেশি না কম ?

উত্তর:- সংকর ধাতুর গলনাঙ্ক ওর উপাদান মৌলগুলির গলনাঙ্কের চেয়ে কম হয় । যেমন রাংঝালের (Pb/Sn)গলনাঙ্ক সীসা ও টিনের গলনাঙ্কের থেকে কম ।

 

প্রশ্ন:- সংকর ধাতুর কাঠিন্য ওর উপাদান মৌলগুলির তুলনায় বেশি না কম ?

উত্তর:- সংকর ধাতুর কাঠিন্য ওর উপাদান মৌলগুলির প্রত্যেকটির থেকে বেশি । যেমন তামা নরম ধাতু কিন্তু তামা ও টিনের ধাতু সংকর কাঁসা তামা ও টিনের তুলনায় অনেক বেশি শক্ত ।

 

প্রশ্ন:-  ধাতু ও অধাতুর সংমিশ্রণে উত্পন্ন একটি সংকর ধাতুর নাম কি ?

উত্তর:- লোহা (ধাতু) এবং কার্বন (অধাতু) -এর সংমিশ্রণে উৎপন্ন সংকর ধাতুটির নাম হল ইস্পাত

*****

Related Items

জারণ ও বিজারণ একসঙ্গে ঘটে

রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারণ ও বিজারণ প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ঘটে । অর্থাৎ, জারণ ও বিজারণ ক্রিয়া পরস্পরের পরিপূরক । কোনো বিক্রিয়ায় জারণ-ক্রিয়া ঘটলেই বিজারণ ক্রিয়াও ঘটবে । এই রকম রাসায়নিক বিক্রিয়াকে রেডক্স বিক্রিয়া বলা হয় । ...

কয়েকটি জারক ও বিজারক পদার্থ

কয়েকটি জারক পদার্থ - ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অক্সিজেন, পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট, গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিড, ওজোন, পটাশিয়াম ডাই-ক্রোমেট, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লুওরিন, রেড লেড, তরল ব্রোমিন, ক্লোরিন, কয়েকটি বিজারকের বিজারণ ক্ষমতার উদাহরণ ...

জারণ বিজারণের ইলেক্ট্রনীয় মতবাদ

জারণ ও বিজারণ রসায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া । সাধারণত কোনো মৌলে বা যৌগে অক্সিজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে হাইড্রোজেনের বিযুক্তিকে জারণ এবং কোনো মৌলে বা যৌগে হাইড্রোজেনের সংযুক্তি বা কোনো যৌগ থেকে অক্সিজেনের বিযুক্তিকে বিজারণ বলা হয় । ...

সমযোজী যৌগগুলির বৈশিষ্ট্য

সাধারণ তাপমাত্রায় বেশির ভাগ সমযোজী যৌগ সাধারণত তরল কিংবা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে কিন্তু বেশি আণবিক গুরুত্ববিশিষ্ট সমযোজী মৌল বা যৌগগুলি কঠিন বা তরল হয় । সমযোজী যৌগে সমযোজী বন্ধন দৃঢ় প্রকৃতির, তার ফলে অণুগুলি স্থায়ী হয় । ...

ইলেক্ট্রনীয় যোজ্যতা বা তড়িৎ-যোজ্যতা

সাধারণ অবস্থায় পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন এবং প্রোটন সংখ্যা সমান হওয়ার জন্য পরমাণু নিস্তড়িৎ হয় । সাধারণ নিয়মে পরমাণুর সংযোগ হওয়ার সময় ধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন এবং অধাতুর পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করে । ফলে কোনো পরমাণু ইলেকট্রন বর্জন করে ধনাত্মক আয়নে পরিণত হয় ...