সরল যন্ত্র (Simple Machines)

Submitted by arpita pramanik on Thu, 10/08/2020 - 21:27

সরল যন্ত্র (Simple Machines)

যন্ত্র (Machines) : যে ব্যবস্থার সাহায্যে সামান্য বলপ্রয়োগ করে বিপুল বাধা অতিক্রম করা যায় তাকে যন্ত্র বলে ।

সরল যন্ত্র (Simple Machine)

শুধুমাত্র যান্ত্রিক শক্তির ব্যবহারের সাহায্যে সামান্য বলপ্রয়োগ করে বিপুল বাধা অতিক্রম করা যায় এমন যন্ত্রকে  সরল যন্ত্র বলে । সরল যন্ত্রের উদাহরণ যেমন আনত তল (Inclined Plane)  চক্র এবং অক্ষদন্ড (Wheel and Axle) লিভার (Lever) ইত্যাদি । এই  সকল যন্ত্রের সাহায্যে কঠিন কাজ সহজে করা যায় । যন্ত্রে যে বল প্রয়োগ করা হয় তাকে প্রযুক্ত বল বা উদ্যম (Effort) বলে এবং যে বাধা অতিক্রম করার জন্য বল প্রয়োগ করা হয় সেই বাধা বা ভারকে অতিক্রান্ত বাধা বা ভার (Load or Weight) বলে । সাধারণত প্রযুক্ত বল কে P এবং অতিক্রান্ত বাধাকে W দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।

Simple Machines

 

যান্ত্রিক সুবিধা (Mechanical Advantage)

অতিক্রান্ত বাধা (W) এবং প্রযুক্ত বলের (P) অনুপাতকে যান্ত্রিক সুবিধা বলে ।

যান্ত্রিক সুবিধা = অতিক্রান্ত বাধা / প্রযুক্ত বল  = [tex]\frac{W}{P}[/tex]

 

যন্ত্রের সাহায্যে কম বল প্রয়োগ করে বেশি বাধা অতিক্রম করা যায় কিন্তু যন্ত্রের সাহায্যে শক্তির পরিমাণ বাড়ানো যায় না কাজে যন্ত্র ব্যবহার করে শক্তির খরচ বাঁচানো যায় না ।

 

কর্মদক্ষতা (Efficiency)

যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত মোট কার্য এবং যন্ত্রে প্রযুক্ত মোট শক্তি বা কার্যের অনুপাতকে যন্ত্রের কর্মদক্ষতা বলে ।

অর্থাৎ, কর্মদক্ষতা = যন্ত্র দ্বারা কৃত কার্য / যন্ত্রে প্রযুক্ত মোট কার্য বা শক্তি

 

শক্তির কোন অপচয় না ঘটলে যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত কার্য এবং যন্ত্রে প্রযুক্ত কার্য পরস্পর সমান হয় । কিন্তু ঘর্ষণ জনিত বাধার কারণে কিছু শক্তি ব্যায় হয় যা প্রয়োজনীয় কার্যে অংশ গ্রহণ করে না, ফলে যন্ত্র থেকে প্রাপ্ত কার্য সব সময় যন্ত্রে প্রযুক্ত কার্যের থেকে কম হয়। তাই যন্ত্রের কর্মক্ষমতা সব সময় 1 এর কম হয় ।

*****

Comments

Related Items

অ্যাসিড, ক্ষারক ও লবণ

সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL), সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH), ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4), সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)

দ্রবণ (Solution)

যে পদার্থ দ্রবীভূত হয় তাকে দ্রাব বলে এবং যার মধ্যে দ্রাব দ্রবীভূত হয় তাকে বলা হয় দ্রাবক । দ্রাব এবং দ্রাবক এর সমসত্ব মিশ্রণ হল দ্রবণ । দ্রবণের দুটি অংশে থাকে --- দ্রাব (Solute) এবং দ্রাবক (Solvent) । অর্থাৎ দ্রবণ = দ্রাব + দ্রাবক

শব্দ বিস্তারের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়

শব্দের উৎস থেকে উৎপন্ন শব্দ বায়ু মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আমাদের কানে এসে পৌঁছলে মস্তিষ্কে এক রকম অনুভূতি সৃষ্টি করে । তখন আমরা শব্দ শুনতে পাই । বায়ু মাধ্যম না থাকলে শব্দ আমাদের কানে পৌঁছতে পারত না । ফলে আমরা শব্দ শুনতে পেতাম না । কঠিন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে শব্দের বিস্তার ...

পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন

পদার্থ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় এই তিন অবস্থায় থাকতে পারে । তাপ প্রয়োগ করলে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয় । তাপ প্রয়োগে কঠিন পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হয় আবার তাপ নিষ্কাশনে গ্যাসীয় পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয় ।

পদার্থ ও শক্তি (Matter and Energy)

প্রকৃতিতে দুটি ভিন্ন বিষয় অস্তিত্ব আমরা বুঝতে পারি একটি জড় বা পদার্থ (matter) এবং অন্যটি হলো শক্তি (energy)। পদার্থের নির্দিষ্ট পরিমাণকে বস্তু বলে । যেমন প্লাস্টিক দিয়ে জলের বালতি, মগ তৈরি করা হয় সুতরাং জলের বালতি, মগ হলো বস্তু কিন্তু এগুলির উপাদান প্লাস্টিক হলো