লিভার ও লিভারের শ্রেণীবিভাগ

Submitted by arpita pramanik on Thu, 10/08/2020 - 21:34

লিভার ও লিভারের শ্রেণীবিভাগ (Lever and Classes of levers)

লিভার (Lever)

 লিভার একটি সোজা বা বাঁকা শক্ত দণ্ড যার একটি নির্দিষ্ট স্থির বিন্দুকে কেন্দ্র করে দণ্ডটি ঐ বিন্দুর চারদিকে অবাধে ঘটতে পারে । এই স্থির বিন্দুকে  আলম্ব বলে । আলম্বের একই দিকে অথবা উভয় দিকে দুটি বিন্দুর একটিতে বল এবং অন্যটিতে ভার বা লোড (Load) প্রয়োগ করা হয় । আলম্ব থেকে প্রযুক্ত বলের প্রয়োগ বিন্দুর দূরত্বকে বলবাহু (power arm) এবং আলম্ব থেকে ভার বা লোডের প্রয়োগ বিন্দুর দূরত্বকে রোধবাহু (load arm) বলে ।

Lever

 

লিভারের প্রকারভেদ (Classes of levers)

লিভার সাধারণত তিন শ্রেণীর হয় -

  1. প্রথম শ্রেণীর লিভার
  2. দ্বিতীয় শ্রেণীর লিভার
  3. তৃতীয় শ্রেণীর লিভার

 

প্রথম শ্রেণীর লিভার (Class 1 Lever)

এ শ্রেণীর লিভারে ভার আলম্বের একদিকে থাকে এবং অন্যদিকে প্রযুক্ত বল ক্রিয়া করে ।

Class 1 Lever

 

প্রথম শ্রেণীর লিভারের যান্ত্রিক সুবিধা (Mechanical Advantage of Class 1 Lever)

Class 1 Lever fbd

 

 

দ্বিতীয় শ্রেণীর লিভার (Class 2 Lever)

এই শ্রেণীর লিভারে দন্ডের এক প্রান্তে আলম্ব এবং অন্য প্রান্তে বল প্রয়োগ করা হয় । ভার এই দুই প্রান্তের মাঝের যে কোন বিন্দুতে ক্রিয়া করে ।

Class 2 Lever

দ্বিতীয় শ্রেণীর লিভারের যান্ত্রিক সুবিধা (Mechanical Advantage of Class 2 Lever)

 

তৃতীয় শ্রেণীর লিভার (Class 3 Lever)

এর শ্রেণীর লিভারে দণ্ডের এক প্রান্তে আলম্ব এবং অন্য প্রান্তে ভার ক্রিয়া করে । এই দুই প্রান্তের মাঝের যে কোন বিন্দুতে বল প্রয়োগ করা হয় ।

Class 3 Lever

তৃতীয় শ্রেণীর লিভারের যান্ত্রিক সুবিধা (Mechanical Advantage of Class 3 Lever)

*****

Comments

Related Items

অ্যাসিড ও অ্যাসিডের ধর্ম

সব অ্যাসিড কমবেশি অম্ল স্বাদ যুক্ত । লেবু, আমলকি, তেতুল, টক দই প্রভৃতিতে অ্যাসিড আছে । সেই জন্য এদের স্বাদ অম্ল যুক্ত । অ্যাসিড নির্দেশকের (Indicators) বর্ন পরিবর্তন করে । অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে এবং মিথাইল অরেঞ্জ এর রং কমলা থেকে লাল বর্ণে পরিণত করে । এর দ্বারা অ্যাসিডকে সনাক্ত করা হয় ।

বল এবং বলের পরিমাপ

নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে আমরা বলের সংজ্ঞা পাই । এই সূত্র থেকে বোঝা যায় কোন বস্তুর উপর বাইরে থেকে কিছু প্রয়োগ করলে তবেই বস্তুটির অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন হয় । কোন জড় বস্তু জাড্য ধর্মের জন্য নিজে থেকে নিজের অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না ।

পদার্থের জাড্য ধর্ম (Inertia of Matter)

জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজের স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তনে বাধা দেয় বা জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজে যে অবস্থায় থাকে সেই অবস্থায় থাকতে চায় সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা (Inertia) বলে । এজন্য নিউটনের প্রথম গতিসূত্রকে জাড্যের সূত্র ( Law of Inertia) বলে।

নিউটনের গতিসূত্র

বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Isaac Newton) বস্তুর গতি সম্পর্কে তিনটি মূল্যবান সূত্র আবিষ্কার করেন । এই সূত্র নিউটনের গতিসূত্র নামে পরিচিত । দার্থবিদ্যা (Physics)এবং কারিগরি বিদ্যার অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে নিউটনের গতিসূত্র দ্বারা

প্রেসার কুকার (Pressure Cooker)

প্রেসার কুকার যন্ত্রে জলীয় বাষ্পের চাপ বাড়িয়ে 100°C এর বেশি উষ্ণতায় জলকে ফোটানো হয় । ফলে বেশি উষ্ণতায় খাদ্যদ্রব্য অল্পসময়ের মধ্যে সুসিদ্ধ হয় । অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি শক্ত একটি পাত্র প্রেসার কুকার তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয় যাতে 2 বায়ুমন্ডল চাপের