দ্রবণের বৈশিষ্ট্য

Submitted by arpita pramanik on Mon, 09/21/2020 - 22:43

দ্রবণের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Solution)

দ্রবণের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল —

1.দ্রবণে কোন নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় না অর্থাৎ দ্রবণে দ্রাবক (Solvent) ও দ্রাবের (Solute)  নিজস্ব ধর্ম বজায় থাকে ।

2. দ্রবণের প্রতিটি অংশের উপাদান গঠন এবং ধর্ম একই অর্থাৎ দ্রবণ সবসময় সমসত্ব হবে ।

3. দ্রবণের মধ্যে দ্রাবের (Solute) কণাগুলিকে খালি চোখে বা খুব শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যেও দেখা যায় না ।

4. দ্রবণ থেকে দ্রাবের (Solute) কণাগুলিকে পরিস্রাবণ পদ্ধতি দ্বারা পৃথক করা যায় ।

5. অনেকক্ষণ স্থিরভাবে রেখে দিলেও দ্রবণ থেকে দ্রাবের (Solute) কণাগুলি কখনো থিতিয়ে পড়ে না ।

6. দ্রবণ প্রস্তুতির সময় তাপের উদ্ভব হতে পারে, আবার নাও হতে পারে ।

7. তরল-তরল দ্রবণের তরল পদার্থ দুটিকে আংশিক পাতন প্রক্রিয়া দ্বারা পৃথক করা যায় ।

8. তরল-কঠিনের দ্রবণে তাপ দিলে তরল দ্রাবকটি (Solvent) বাষ্পীভূত হয়ে যায় এবং কঠিন দ্রাবটি (Solute) অবশেষ হিসেবে পড়ে থাকে । অনেক সময় পাতন ক্রিয়া দ্বারাও দ্রবণ থেকে দ্রাব (Solute) ও দ্রাবককে (Solvent) পৃথক করা হয় । দ্রবণকে পাতিত করলে দ্রাবকটি (Solvent)  গ্রাহকপাত্রে তরল আকারে জমা হয় এবং পাতনপাত্রে দ্রাবটি (Solute) পড়ে থাকে । আবার কেলাসন (crystallization) প্রক্রিয়া দ্বারাত্ত দ্রবণ থেকে দ্রাবটিকে (Solute) পৃথক করা যায়।

9. জলীয় দ্রবণের বর্ণ দ্রাবের (Solute) বর্ণের মত হয় । তুঁতে বা কপার সালফেটের বর্ণ নীল তাই তুঁতে বা কপার সালফেটের জলীয় দ্রবণের বর্ণ নীল ।

10. দ্রবণের উষ্ণতার পরিবর্তন করে দ্রবণে দ্রাবের (Solute) অনুপাত বেশি বা কম করা যায় ।

*****

Comments

Related Items

ভৌতরাশির দৈর্ঘ্য পরিমাপে সাধারণ রৈখিক স্কেলের ব্যবহার

দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রকে রৈখিক স্কেল বলা হয় । স্কেল সাধারণত প্লাস্টিক, কাঠ বা ধাতুর তৈরি হয় এবং এর দৈর্ঘ্য বরাবর একধারে মিলিমিটার ও সেন্টিমিটারে এবং ওপর ধারে ইঞ্চি ও তার ভগ্নাংশে দাগ কাটা থাকে ।

মাত্রা (Dimensions)

কোনো ভৌতরাশিতে (Physical quantities) গুণ বা ভাগের মাধ্যমে উপস্থিত বিভিন্ন মৌলিক রাশিগুলির চিহ্নের উপযুক্ত ঘাত সমন্বিত সাংকেতিক রাশিমালাকে ওই ভৌতরাশির মাত্রা (Dimensions) বলে ।

বিভিন্ন মাপের একক

আমাদের সহজে বোধগম্য হওয়ার জন্য বা সহজে বুঝতে পারার জন্য, ক্ষুদ্র অনুজীব থেকে বৃহৎ জীব, ছোটো থেকে বড়ো বিভিন্ন জাগতিক বস্তুর পরিমাপের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানের একক আমরা ব্যবহার করে থাকি ।

এককের বিভিন্ন পদ্ধতি

বর্তমানে প্রধানত দুটি পদ্ধতিতে সকল ভৌতরাশির একক প্রকাশ করা হয়ে থাকে । সেন্টিমিটার গ্রাম সেকেন্ড বা cgs পদ্ধতি , আন্তর্জাতিক পদ্ধতি বা SI পদ্ধতি, মৌলিক এবং লব্ধ একক, মৌলিক একক বা প্রাথমিক একক , ঘনমিটার ও ঘন সেন্টিমিটারের মধ্যে সম্পর্ক ...

পরিমাপ ও একক

যে সমস্ত প্রাকৃতিক বিষয়কে বা ঘটনা সম্পর্কিত যা কিছুকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিমাপ করা যায় তাদেরকেই ভৌতরাশি বা প্রাকৃতিক রাশি বলা হয় । যেমন – ঘরের দৈর্ঘ্য স্কেল বা ফিতে দিয়ে আমরা পরিমাপ করতে পারি, বাড়ি থেকে স্কুলে আসতে যে সময় লাগে তা ঘড়ি দিয়ে আমরা পরিমাপ ...