কার্য, ক্ষমতা ও শক্তি

Submitted by arpita pramanik on Thu, 09/03/2020 - 15:53

কার্য, ক্ষমতা ও শক্তি (Work, Power and Energy)

বাইরে থেকে কোন বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে যদি বস্তুর অবস্থানের বিবর্তন হয় তাহলে প্রযুক্ত বল কার্য করেছে বলে ধরা হয় । কিন্তু বল প্রয়োগ করলেও যদি বস্তুটির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন না হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রযুক্ত বল কোন কার্য করেছে বলে ধরা হয় না । কোন ব্যক্তি একটি দেওয়ালের উপর সারাদিন ধরে বলপ্রয়োগ করে দেওয়ার টিকে সরানোর চেষ্টা করল কিন্তু কিছুতেই দেয়ালটিতে সরানো গেল না যদিও এই বলপ্রয়োগে লোকটি খুব পরিশ্রম হল কিন্তু যেহেতু দেয়ালটির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হলো না তাই এক্ষেত্রে কোনো কার্য করা হলো না । আবার কোন ব্যক্তি একটি বাক্স মাটি থেকে তুলে টেবিলে রাখল সেক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করে বাক্সটির অবস্থান পরিবর্তন ঘটানো হলো অর্থাৎ বস্তুটির সরণ হল তাই এক্ষেত্রে কার্য করা হলো ।

কার্যের সংজ্ঞা (Definition of Work): কোন বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে যদি বলের প্রয়োগ বিন্দুর সরণ হয় তাহলে প্রযুক্ত বল কার্য করেছে বলা হয় । বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং ওই বলের প্রয়োগ বিন্দু সরণ এর গুণফল দ্বারা কার্যের পরিমাপ করা হয় ।

অর্থাৎ  কৃতকার্য = প্রযুক্ত বল × বলের প্রয়োগ বিন্দুর সরণ ।

বল এবং  সরণ ভেক্টর রাশি হলেও কার্য একটি স্কেলার রাশি কার্যের মান আছে কিন্তু দিক নেই ।

কোন বল যখন কার্যকরে তখন আসলে ওই বল অন্য কোন বলের বিরুদ্ধে কার্যকরে । যেমন কোনো একটি জলের বোতল কে মেঝে থেকে তুলে টেবিলের ওপর রাখলে প্রযুক্ত বল জলের বোতলের ওপর ক্রিয়াশীল পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কাজ করে আবার মেঝের উপরে রাখা কোন বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে বস্তুটি সরে যায় সেক্ষেত্রে প্রযুক্ত বল মেঝের ঘর্ষণ বলের বিরুদ্ধে কার্যকরে ।

কার্যের পরিমাপ

কার্যের একক

ক্ষমতা

ক্ষমতার একক

শক্তি

যান্ত্রিক শক্তি

স্থিতিশক্তি এবং গতিশক্তির রূপান্তর

সরল যন্ত্র

*****

Comments

Related Items

প্রেসার কুকার (Pressure Cooker)

প্রেসার কুকার যন্ত্রে জলীয় বাষ্পের চাপ বাড়িয়ে 100°C এর বেশি উষ্ণতায় জলকে ফোটানো হয় । ফলে বেশি উষ্ণতায় খাদ্যদ্রব্য অল্পসময়ের মধ্যে সুসিদ্ধ হয় । অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি শক্ত একটি পাত্র প্রেসার কুকার তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হয় যাতে 2 বায়ুমন্ডল চাপের

অ্যাসিড, ক্ষারক ও লবণ

সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4), নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3), হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCL), সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), পটাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH), ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (MgSO4), সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)

দ্রবণ (Solution)

যে পদার্থ দ্রবীভূত হয় তাকে দ্রাব বলে এবং যার মধ্যে দ্রাব দ্রবীভূত হয় তাকে বলা হয় দ্রাবক । দ্রাব এবং দ্রাবক এর সমসত্ব মিশ্রণ হল দ্রবণ । দ্রবণের দুটি অংশে থাকে --- দ্রাব (Solute) এবং দ্রাবক (Solvent) । অর্থাৎ দ্রবণ = দ্রাব + দ্রাবক

শব্দ বিস্তারের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়

শব্দের উৎস থেকে উৎপন্ন শব্দ বায়ু মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আমাদের কানে এসে পৌঁছলে মস্তিষ্কে এক রকম অনুভূতি সৃষ্টি করে । তখন আমরা শব্দ শুনতে পাই । বায়ু মাধ্যম না থাকলে শব্দ আমাদের কানে পৌঁছতে পারত না । ফলে আমরা শব্দ শুনতে পেতাম না । কঠিন মাধ্যমের মধ্য দিয়ে শব্দের বিস্তার ...

পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন

পদার্থ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় এই তিন অবস্থায় থাকতে পারে । তাপ প্রয়োগ করলে পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয় । তাপ প্রয়োগে কঠিন পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে গ্যাসীয় অবস্থায় পরিবর্তিত হয় আবার তাপ নিষ্কাশনে গ্যাসীয় পদার্থ প্রথমে তরল এবং পরে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয় ।