প্রশ্ন :- তপনের মনে আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন —তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী ?
উত্তর :- আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে প্রধান চরিত্র কিশোর তপনের জীবনের কথা বলা হয়েছে । তপনের নতুন মেসোমশায় একজন লেখক । তপনের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল । পত্রিকায় গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল । নিজের লেখা গল্প 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছেপে বের হওয়ার কথা শুনে তপনের মনে অদ্ভুত রকমের আনন্দও হয়েছিল । তার মায়ের কথায় তপন নিজের লেখা গল্পটি পড়ে সবাইকে শোনাতে গিয়েছিল । কিন্তু গল্পটি পড়তে গিয়ে সে দেখে যে, নতুন মেসো গল্পটা কারেকশান করার নামে সম্পূর্ণ নতুন করে লিখে দিয়েছেন । এই পরিবর্তনটা তপন কিছুতেই মেনে নিতে পারে নি । তার জীবনের প্রথম লেখা গল্প সম্পূর্ণ পরিবর্তিত রূপে প্রকাশিত হোক এটা সে কখনো চায় নি । এর জন্য সে অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছে এবং ব্যথিত হয়েছে । অত্যন্ত দুঃখে তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরেছে । অব্যক্ত যন্ত্রণায় তার দিনটি কেটেছে বলে এদিনটি তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন ।
*****