দারিদ্র আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনির যে লড়াই তা সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
উঃ- বিশিষ্ট সাহিত্যিক মতি নন্দীর লেখা 'কোনি' উপন্যাসটির প্রধান বা কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনি । কোনি এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে । 'নুন আনতে পান্তা ফুরোয়' পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী কোনির দাদা । সেই দাদাও যক্ষায় মারা যাওয়ার পর কোনি ও তার পরিবার আরো দারিদ্রের অন্ধকারে ডুবে যায় । জীবন সংগ্রামের কঠোর বাস্তবতায় কোনি জানত না, সে সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে । ক্ষিদ্দা ওরফে সাঁতারের প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ গঙ্গার ঘাট থেকে কোনিকে আবিষ্কার করেন । ক্ষিতীশ কোনিকে সাঁতার শেখানোর জন্য জুপিটার ক্লাবে নিয়ে যান । কিন্তু ক্ষিতীশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ক্লাবের সদস্য হরিচরণ, ধীরেন ঘোষ, বদু চ্যাটার্জিরা কোনিকে ভর্তি হতে দেয় নি । ক্ষিতীশ কোনিকে অ্যাপেলো ক্লাবে সাঁতার শেখার ব্যবস্থা করে দেন ।
জুপিটার সুইমিং ক্লাবের বার্ষিক প্রতিযোগিতায় কোনি অর্থাৎ কনকচাঁপা পালের জায়গা না হলেও অ্যাপেলো ক্লাবের বার্ষিক প্রতিযোগিতায় কোনি বিশিষ্ট সাঁতারু অমিয়াকে হারিয়ে দেয় । মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে দল নির্বাচনের সময়েও কোনিকে বাদ দেওয়া হচ্ছিল । শেষে বালিগঞ্জ ক্লাবের ট্রেনার প্রণবেন্দুর উদ্যোগেই বাধ্য হয়ে হরিচরণের দল কোনিকে দলে নেয় । কিন্তু মাদ্রাজে গিয়ে কোনিকে তার সতীর্থদের কাছ থেকে চোর বদনাম নিতে হয় এবং বিনা দোষে চড় খেতে হয় । জাতীয় সাঁতার দলে কোনির নামই পাঠানো হয়নি । সেখানে ক্ষিতীশ চন্দ্রের যাওয়ার অনুমতি না থাকায় কোনিকে বহু বাধার সম্মুখীন হতে হয় । কিন্তু ঘটনাচক্রে বাধ্য হয়ে কর্মকর্তাদের কোনিকে জাতীয় দলে স্থান দিতে হয় । শেষ পর্যন্ত সব দারিদ্র্য, অবহেলাকে, অবজ্ঞাকে জয় করে সারা দেশের সেরা সাঁতারু রমা যোশিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় কোনি ওরফে কনকচাঁপা পাল । বাংলার হয়ে ট্রফি জিতে আনে কোনি ।
*****