Submitted by avimanyu pramanik on Wed, 09/23/2020 - 16:47

নারী ইতিহাস (Women History) : সমগ্র মানবজাতিকে কেন্দ্র করে ইতিহাসের বিষয়বস্তু আবর্তিত হয় । আর এই মানবজাতির অর্ধেক অংশ হল নারী । ঊনিশ শতকের আগে ইতিহাসচর্চায় নারীজাতিকে পুরুষের সমান গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হত না । ইতিহাসে নারী উপেক্ষিতা । শুধু ইতিহাস নয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনেও নারীর ভূমিকা সবসময়ই প্রান্তিক । সেই প্রান্তিকতা থেকে সরে এসে ইতিহাসে নারীর ভূমিকা আলোচ্য বিষয়ের মর্যাদা লাভ করেছে । বিভিন্ন সময়কালে সমাজে নারীর পরিবর্তিত অবস্থানের আলোচনা নারী ইতিহাসচর্চার মুখ্য বৈশিষ্ট্য । সমাজ ও সভ্যতার উন্নতি ও প্রগতি পুরুষ ও নারী উভয়ের ওপরই সমানভাবে নির্ভরশীল । এই ধারণাকে স্পষ্ট করা নারী ইতিহাসচর্চার উদ্দেশ্য । উনিশ শতক থেকে মূলত বিশ্বব্যাপী নারীর অধিকার, নারীর ভালো-মন্দ, নারীশিক্ষা এসব নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয় । ইউরোপে ফরাসি বিপ্লবের পর থেকে নারী সম্পর্কিত সচেতনতার বিকাশ ঘটতে শুরু করে । উনিশ শতকের সমাজসংস্কারের সময় ভারতে প্রথম নারী উন্নয়নের প্রচেষ্টা শুরু হয় । ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ক্ষিতিমোহন সেন 'প্রাচীন ভারতে নারী' নামে একটি ক্ষুদ্র পুস্তক রচনা করেন । নারী ইতিহাসর ওপর লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল জেরাল্ডাইন ফর্বস -এর 'উওম্যান ইন মডার্ন ইন্ডিয়া', দয়ারাম গিডুমাল সম্পাদিত 'দ্য স্টেটাস অব উওম্যান ইন ইন্ডিয়া', নীরা দেশাই -এর 'উওম্যান ইন মডার্ন ইন্ডিয়া' প্রভৃতি । এ ছাড়া ভারতী রায়, যশোধরা বাগচি, রত্নাবলী চট্টোপাধ্যায়, শমিতা সেনের গবেষণা নারী ইতিহাসচর্চায় বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে ।

****

Comments

Related Items

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

প্রশ্ন:-  আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান—

’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

প্রশ্ন:-  ’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল 'করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে' ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

১৯৪২ সালের ৮ই আগষ্ট ‘ভারত-ছাড়ো প্রস্তাব’ গৃহীত হলে পরদিন অর্থাৎ ৯ই আগষ্ট, ১৯৪২ এর ভোর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়, যেমন—

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাস্ট্যাস্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

প্রশ্ন:-  ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান বিশেষভাবে স্মরনীয় ।