Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 04/20/2012 - 21:41

দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ (Second Anglo-Mysore War)

প্রথম ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত মাদ্রাজ চুক্তির (Madras Treaty) শর্ত ইংরেজগণ পরবর্তীকালে পালন করেন নি । ১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে মারাঠাগণ মহীশূর আক্রমণ করলে প্রথম ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে স্বাক্ষরিত মাদ্রাজ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী হায়দার আলি ইংরেজ বাহিনীর কাছে সাহায্যের আবেদন করে । কিন্তু হায়দার আলির আবেদনে ইংরেজ বাহিনী কর্ণপাত করে নি এবং মহীশূরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে নি । ফলে হায়দর আলি অসন্তুষ্ট হন । তারপর ১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে মহীশূরে ফরাসিদের শক্তিশালী বাণিজ্যকেন্দ্র মাহে বন্দর ইংরেজরা দখল করলে ক্রুদ্ধ হায়দর এর প্রতিবাদ জানান ও ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ শুরু হয় । ওয়ারেন হেস্টিংস (Warren Hastings) তার কূটনীতির দ্বারা নিজাম ও মারাঠাদের হায়দর আলির কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেন । তথাপি হায়দর আলি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান । ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে পোর্টোনোভোর যুদ্ধে হায়দর আলি ইংরেজ সেনাপতি আয়ারকুটের হাতে পরাজিত হন এবং নেগাপত্তম, ত্রিঙ্কোমালি প্রভৃতি স্থান ইংরেজদের দখলে আসে । এই সময় হায়দর আলি ফারাসি সাহায্য চেয়ে পাঠান । তখন ফরাসি নৌ-সেনাপতি সাফ্রেনের অধীনে এক ফরাসি নৌবাহিনী হায়দর আলির সাহায্যে এগিয়ে আসেন । এক সংকটময় পরিস্থিতিতে হঠাৎ হায়দর আলির অকাল মৃত্যু হয় । তারপর তাঁর পুত্র টিপু সুলতান যুদ্ধ চালিয়ে যান । শেষ পর্যন্ত ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে টিপু সুলতান ও ইংরেজদের মধ্যে ম্যাঙ্গালোরের সন্ধি (Treaty of Mangalore) স্বাক্ষরিত হয় ও দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধের অবসান ঘটে । ম্যাঙ্গালোরের সন্ধির শর্ত অনুযায়ী উভয় পক্ষই পরস্পরের বিজিত রাজ্য পরস্পরকে প্রত্যর্পণ করে । ঐতিহাসিক মহিবুল হুসেনের মতে এই ম্যাঙ্গালোর সন্ধি ছিল টিপু সুলতানের কাছে 'কূটনৈতিক জয়' । ম্যাঙ্গালোর সন্ধির শর্ত অনুযায়ী উভয় পক্ষই সম্মত হয় যে পরস্পরের বিরুদ্ধে শত্রুকে সাহায্য না করা ।

*****

Related Items

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

প্রশ্ন:-  আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ । কী কারণে শেষ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়ে ছিল ?

আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারত অভিযান—

’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

প্রশ্ন:-  ’করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে’ -কোন আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল ? এই আন্দোলনে কৃষক ও শ্রমিকরা কীরূপ ভূমিকা নিয়েছিল ?

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের রণধ্বনি ছিল 'করেঙ্গা ইয়া মরেঙ্গে' ।

ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রসার আলোচনা কর ।

১৯৪২ সালের ৮ই আগষ্ট ‘ভারত-ছাড়ো প্রস্তাব’ গৃহীত হলে পরদিন অর্থাৎ ৯ই আগষ্ট, ১৯৪২ এর ভোর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়, যেমন—

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাস্ট্যাস্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

প্রশ্ন:-  ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে কোন ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপ্‌স ভারতে এসেছিলেন ?

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

প্রশ্ন:- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান আলোচনা কর ।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মাতঙ্গিনী হাজরার অবদান বিশেষভাবে স্মরনীয় ।