'তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত ।'—বক্তা কাদের কাছে এবং কেন লজ্জিত তা সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অনুসরণে আলোচনা কর

Submitted by avimanyu pramanik on Sun, 08/22/2021 - 13:41

'তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত ।'—বক্তা কাদের কাছে এবং কেন লজ্জিত তা সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অনুসরণে আলোচনা কর

উত্তর:-  উদ্ধৃত উক্তিটি নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা 'সিরাজদ্দৌলা' নাটকের প্রধান চরিত্র বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলার । সিরাজদ্দৌলা ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা ও সমস্ত ফরাসি বণিকদের কাছে লজ্জিত বলে নিজে স্বীকার করেছেন ।

সুদূর ফ্রান্স থেকে বহুকাল পূর্বে ফরাসিরা বাংলায় এসে বাণিজ্য শুরু করে । বাণিজ্যিক আদান প্রদানের ক্ষেত্রে নবাব সিরাজদ্দৌলার সঙ্গে ফরাসিদের কোনো রকম বিরোধ বা বিবাদ ছিল না । নবাবের সঙ্গে তাদের ব্যবহার ও ছিল অত্যন্ত সুন্দর । কিন্তু ফরাসিদের অনেক পরে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশে বাণিজ্য করতে আসে । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল ফরাসিদের থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মীর মানুষ । এদেশে বাণিজ্য করতে আসলেও তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল পুরো বাংলা দখল করে এ দেশে কায়েমি শাসন প্রতিষ্ঠা করা । তাই বাংলা থেকে ফরাসিদের তাড়িয়ে দেবার জন্য ইংরেজরা নবাবের বিনা অনুমতিতে ফরাসিদের বাণিজ্য ঘাঁটি চন্দননগর আক্রমণ করে অধিকার করে নিয়েছিল । যা অত্যন্ত অন্যায় কাজ ।

নবাব সিরাজদ্দৌলার কাছে ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা আবেদন জানিয়েছিলেন যে, যাতে ইংরেজরা তাদের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধার সৃষ্টি না করে সে বিষয়ে নবাবের যেন নজরদারি থাকে । এ বিষয়ে নবাব সিরাজদ্দৌলাও ইংরেজদেরকে জানিয়ে দিয়েছিল যে, তারা যেন পরস্পর শান্ত হয়ে এখানে যে যার ব্যবসাবণিজ্য করে । কিন্তু নবাবের সেই আদেশ অমান্য করে ইংরেজরা চন্দননগর দখল করে নেয় । এক্ষেত্রে নবাব সিরাজদ্দৌলা ফরাসিদের কোন প্রকার সাহায্য করতে পারেন নি । কারণ কিছুদিন পূর্বে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করে আর পূর্ণিয়ার শওকত জঙ্গের সঙ্গে যুদ্ধ করে তার অনেক সৈন্যক্ষয় ও অর্থব্যয় হয়ে গেছে । এতে নবাবের মনোবল ভেঙে যায় । এছাড়া নবাবের মন্ত্রীমন্ডলীও যুদ্ধ করতে রাজি ছিলেন না । এমতাবস্থায় নবাব সিরাজদ্দৌলা নিজের অক্ষমতার জন্য ফরাসিদের কাছে লজ্জিত বলে নিজেই স্বীকার করেছিলেন ।

*****

Comments

Related Items

দ্বন্দ্ব সমাসের শ্রেণিবিভাগ

দ্বন্দ্ব সমাসের শ্রেণিবিভাগ:—

কর্মধারয় সমাসের শ্রেণিবিভাগ

কর্মধারয় সমাসের শ্রেণিবিভাগ :- (ক) সাধারণ কর্মধারয় সমাস (খ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস (গ) উপমান কর্মধারয় (ঘ) উপমিত কর্মধারয় এবং (ঙ) রূপক কর্মধারয় সমাস ।

তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ

তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ— কারক ও অকারকের বিভক্তি অনুযায়ী তৎপুরুষ সমাসকে ছটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে ।

বহু বিকল্পীয় (M.C.Q) সহ ছোটো প্রশ্নোত্তর - সমাস

বহু বিকল্পীয় প্রশ্ন (M.C.Q):-

(১)  সমাসের বুৎপত্তি হল—

       (ক) সমা √আস + অ       (খ) সমা √অস + অ       (গ) সম্- √অস + অ       (ঘ) সম্ + আস  ।

(২)  ব্যাসবাক্যের প্রথম পদকে বলে —

সমাসের শ্রেণিবিভাগ

সমাসের শ্রেণিবিভাগ :- বাংলা ভাষায় সমাস মূলত ছয় প্রকার— (১) তৎপুরুষ, (২) কর্মধারয়, (৩) দ্বন্দ্ব,  (৪) দ্বিগু, (৫) বহুব্রীহি, (৬) অব্যয়ীভাব । এছাড়াও (৭) নিত্য সমাস, (৮) বাক্যাশ্রয়ী সমাস ও (৯) অলোপ সমাস আছে ।