'কোনি' উপন্যাস অবলম্বনে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্র সংক্ষেপে আলোচনা কর

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 08/21/2021 - 11:14

'কোনি' উপন্যাস অবলম্বনে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের চরিত্র সংক্ষেপে আলোচনা করো

উঃ- ঔপন্যাসিক মতি নন্দী রচিত 'কোনি' উপন্যাসের কাহিনী যে মানুষটিকে নিয়ে আবর্তিত হয়েছে তিনি হলেন ক্ষিতীশ সিংহ । ক্ষিতীশ সিংহ নিঃসন্তান, পঞ্চান্ন বছরের একজন সাঁতারের প্রশিক্ষক । তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন । গঙ্গার ঘটে যেতেন প্রায় প্রতিদিন । এখন থেকেই তিনি কোনিকে আবিষ্কার করেন । অভিজ্ঞতার নিরিখে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে কোনির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে ।

দীর্ঘ 35 বছর ক্ষিতীশ সিংহ জুপিটার ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । ক্লাবের মধ্যে দলাদলি ও কয়েকজনের চক্রান্তে ক্ষিতীশ সিংহকে ক্লাবের সদস্যপদ ছাড়তে হয় । কিন্তু তাঁর লড়াই থেমে যায় নি । তিনি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে কোনিকে অ্যাপেলো ক্লাবে ভর্তি করিয়ে সাঁতার শেখাতে আরম্ভ করেন । ক্ষিতীশ সিংহের আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না, তবুও তিনি কোনির খাওয়ার ব্যবস্থা করে এবং কোনির সংসার চালানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টাও করেন । এর থেকে তাঁর দরদী ও পরোপকারী মনের পরিচয় পাওয়া যায় ।

ক্ষিতীশ সিংহের চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় সমগ্র উপন্যাস জুড়ে দেখতে পাওয়া যায় । গুরুকে শ্রদ্ধেয় হতে হবে শিষ্যের কাছে এবং কথায় কাজে ও নানারকম উদাহরণ দিয়ে শিষ্যের মনের মধ্যে একটা আকাঙ্খা, বাসনা জাগিয়ে তুলতে হবে— এটাই ছিল তাঁর মূলমন্ত্র । এইরকম মনের অধিকারী ছিলেন বলেই তিনি সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করে কোনির মতো একজন সাধারণ মেয়েকে জাতীয় চ্যাম্পিয়ান তৈরি করতে পেরেছিলেন ।

****

Comments

Related Items

বহুরূপী

হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম, শুনেছেন, হরিদা কী কাণ্ড হয়েছে ? উনানের মুখে ফুঁ দিয়ে আর অনেক ধোঁয়া উড়িয়ে নিয়ে হরিদা এইবার আমাদের কথার জবাব দিলেন — না, কিছুই শুনিনি । — জগদীশবাবু যে কী কাণ্ড করেছেন, শোনেননি হরিদা ? হরিদা — না রে ভাই, বড়ো মানুষের কাণ্ডের খবর আমি কেমন করে শুনব ? আমাকে বলবেই বা কে ?

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম

কথায় বলে— কালি কলম মন, লেখে তিন জন । কিন্তু কলম কোথায় ? আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস । সবাই এখানে লেখক । কিন্তু আমি ছাড়া আর কারও হাতে কলম নেই । সকলের সামনেই চৌকো আয়নার মতো একটা কাচের স্ক্রিন বা পর্দা । আর তার নীচে টাইপরাইটারদের মতো একটা কি-বোর্ড ।

অভিষেক

কনক-আসন ত্যজি, বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ, প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে, কহিলা, — "কি হেতু, মাতঃ, গতি তব আজি এ ভবনে ? কহ দাসে লঙ্কার কুশল ।"

আফ্রিকা

উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে স্রষ্ঠা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত, তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা নাড়ার দিনে

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি

আমাদের ডান পাশে ধ্বস / আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ / আমাদের মাথায় বোমারু /পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ