"সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমতো ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান"— প্রবন্ধ অনুসরণে মন্তব্যটির বিশ্লেষণ কর ।

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 08/27/2021 - 12:34

প্রশ্ন:- "সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমতো ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান"— প্রবন্ধ অনুসরণে মন্তব্যটির বিশ্লেষণ কর ।

উত্তর:-  আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটি 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে । লেখক শ্রীপান্থ তাঁর কিশোর বয়সের লেখাপড়া বিষয়ে উপরিউক্ত মন্তব্যটি করেছেন । লেখক গ্রামের ছেলে ছিলেন বলে লেখাপড়ার প্রথম জীবনে ফাউন্টেন পেন হাতে পায়নি । বাঁশের কঞ্চির কলম ব্যবহার করতেন । যে কলম তিনি নিজের হাতে তৈরি করতেন । কলমের কালিও তাঁকে তৈরি করে নিতে হত । কলমের মুখটা সূঁচালো করে কেটে আবার মাঝখান দিয়ে চিরে দিতেন । দোয়াতের কালিতে কলম ডুবিয়ে ডুবিয়ে লিখতেন । কালি তৈরীর জন্য বাড়ির রান্নার কড়াই -এর তলার কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে পাথরের বাটিতে জলে গুলে নিতেন । কালি বেশি ভালো করার জন্য অর্থাৎ যাতে দীর্ঘক্ষণ লেখা স্থায়ী থাকে তার জন্য আতপ চাল ভেজে গুঁড়ো করে কালিতে মেশাতেন এবং হরিতকী ঘসে পোড়া খন্তির ছ্যাঁকা দিতেন । লেখক দোয়াতের কালি আর বাঁশের কঞ্চি অনেকদিন ব্যবহার করতেন । কৈশোরে এইভাবে লেখাপড়া করার প্রসঙ্গে লেখক উপরিউক্ত মন্তব্য করেছেন ।

লেখক শ্রীপান্থ কঞ্চির কলম ছেড়ে ছিলেন শহরে এসে হাইস্কুলে ভর্তি হবার পর । প্রথমে কালির বড়ি দিয়ে লিখতেন । পরে কাজল কালি, সুলেখা কালি বাজারে কিনতে পাওয়া গেলে সেই দিয়ে লেখাপড়ার কাজ করতেন । খাতার লেখা ভালোভাবে শুকিয়ে নেয়ার জন্য ব্লটিং পেপার বা বালি ব্যবহার করতেন । লেখাপড়ার জন্য বিশেষ করে লেখালেখির জন্য, সঠিক জায়গায় লেখা উপস্থাপিত করার জন্য বিশাল আয়োজন করতে হত । এই সব কারণে লেখক উক্ত মন্তব্য করেছেন ।

****

Comments

Related Items

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান

যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয় তাদের মোটামুটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে । প্রথম, যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে । অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক এই শ্রেণিতে পড়ে । দ্বিতীয়, যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়েছে ।

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - অসুখী একজন

১. "তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না ।" — কারা স্বপ্ন দেখতে পারল না ? [মাধ্যমিক - ২০২০] (ক) সেই মেয়েটি (খ) গির্জার নান (গ) কবিতার কথক (ঘ) শান্ত হলুদ দেবতারা ।

নদীর বিদ্রোহ

আজ তার মনে হইল কী প্রয়োজন ছিল ব্রিজের ? বোধহয়, এই প্রশ্নের জবাব দিবার জন্যই পিছন হইতে ৭নং ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি নদেরচাঁদকে পিষিয়া দিয়া চলিয়া গেল ছোটো স্টেশনটির দিকে, নদেরচাঁদ চার বছর যেখানে স্টেশন মাস্টারি করিয়াছে এবং বন্দি নদীকে ভালোবাসিয়াছে ।

অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান

অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো পায়ে আমি এখন রাজার হাতে পায়ে এগিয়ে আসি, উঠে দাঁড়াই হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াই

সিন্ধুতীরে

কন্যারে ফেলিল যথা জলের মাঝারে তথা দিব্য পুরী সমুদ্র মাঝার । অতি মনোহর দেশ নাহি তথা দুঃখ ক্লেশ সত্য ধর্ম সদা সদাচার ।।