"জোচ্চুরি করে আমাকে বসিয়ে রেখে এখন ঠেকায় পড়ে এসেছ আমার কাছে" —কোনির এই অভিমানের কারণ কী ? এর পরবর্তী ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা কর

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 08/21/2021 - 11:09

"জোচ্চুরি করে আমাকে বসিয়ে রেখে এখন ঠেকায় পড়ে এসেছ আমার কাছে" — কোনির এই অভিমানের কারণ কী ? এর পরবর্তী ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করো

উঃ- সাহিত্যিক মতি নন্দী রচিত 'কোনি' উপন্যাসের প্রশ্নোদ্ধৃতাংশের বক্তা, কোনি যখন হিয়ার কাছ থেকে জানতে পারে, জাতীয় সাঁতারের শেষ ইভেন্টে ৪ x ১০০ মিটার রিলেরেসের চতুর্থ ব্যক্তি, অমিয়ার অসুস্থতা জনিত কারণবশতঃ কোনিকে জলে নামতে হবে তখন সে বেঁকে বসেছিল । কারণ সুদূর এই মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার কম্পিটিশনে কোনি প্রতিযোগী হয়ে আসা সত্বেও তাকে বিভিন্ন অজুহাতে বসিয়ে রাখা হয়, প্রতিযোগীদের লিস্টে কোনির নাম নেই, এই কারণে কোনি কোনো ইভেন্টে অংশ নিতে পারে না । শুধু তাই নয় কোনিকে 'চোর' অপবাদও সহ্য করতে হয়েছিল, চড়ও মারা হয়েছিল । এই দুর্ব্যবহারে ক্রুদ্ধ কোনি তাই বাংলার স্বার্থে আর প্রতিযোগিতায় নামতে চায়নি । তার অভিমান হয়েছিল ।

 ♦ কোনি হিয়ার অনুরোধে হিয়ারই দেওয়া অতিরিক্ত কস্টিউম পরে রিলে রেসে নামার জন্য রাজি হয়েছিল । এরপর মেয়েদের ৪০০ মিটার রিলে রেস শুরু হয় । প্রথমে বাংলার হয়ে জলে ঝাঁপ দেয় হিয়া মিত্র । সে সবার আগে বোর্ড স্পর্শ করে ফিরে এসে বাংলার পুষ্পিতাকে কিছুটা আগুয়ান থাকার সুবিধা দেয় । কিন্তু মহারাষ্ট্র এবার বাংলার থেকে এগিয়ে যায় । এরপর জলে নামে বাংলার বেলা । সে মহারাষ্ট্রের দীপ্তি কারমারকারের সাথে জোর প্রতিযোগিতা করেছিল । বেলার এই সাফল্যকে পরিপূর্ণতা দান করেছিল কোনি । কোনির সাথে প্রতিযোগিতা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের নামী সাঁতারু রমা যোশীর । রমার জলে পড়ার তিন সেকেন্ড পরে কোনি জলে ঝাঁপ দেয় । জলে নামার পূর্ব মুহূর্তে সে দেখতে পায়, তার সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহকে । তাঁর মুখে উচ্চারিত হয়েই চলেছিল — "ফাইট কোনি ফাইট ।"

দীর্ঘ অদর্শনের পর কোনি ক্ষিদ্দাকে দেখে মনে বল পায় । রমার পরে জলে নামলেও সে নিজেকে উজাড় করে দেয় । লেখক বলেছেন — জলের বদলে মাটি থাকলে বলা যেত একটা কালো প্যান্থার শিকার তাড়া করেছে । ক্ষিদ্দার আপ্তবাক্যকে স্মরণ করে সে রমার সাথে ইঞ্চি ইঞ্চি করে ব্যবধান কমাতে থাকে এবং এগিয়ে যায় । নিজের সমস্ত ক্ষোভ যন্ত্রণাকে উজাড় করে দিয়ে কোনি রমার আগে বোর্ড স্পর্শ করে ও বেঙ্গল লেডিস টিমকে জাতীয় সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন করে দেয় ও হিয়াকে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সাঁতারু হওয়ার সুযোগ করে দেয় । এভাবেই কোনি সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সাফল্যের জয়মুকুট পরে নিয়েছিল ।

****

Comments

Related Items

দ্বন্দ্ব সমাসের শ্রেণিবিভাগ

দ্বন্দ্ব সমাসের শ্রেণিবিভাগ:—

কর্মধারয় সমাসের শ্রেণিবিভাগ

কর্মধারয় সমাসের শ্রেণিবিভাগ :- (ক) সাধারণ কর্মধারয় সমাস (খ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস (গ) উপমান কর্মধারয় (ঘ) উপমিত কর্মধারয় এবং (ঙ) রূপক কর্মধারয় সমাস ।

তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ

তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণিবিভাগ— কারক ও অকারকের বিভক্তি অনুযায়ী তৎপুরুষ সমাসকে ছটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে ।

বহু বিকল্পীয় (M.C.Q) সহ ছোটো প্রশ্নোত্তর - সমাস

বহু বিকল্পীয় প্রশ্ন (M.C.Q):-

(১)  সমাসের বুৎপত্তি হল—

       (ক) সমা √আস + অ       (খ) সমা √অস + অ       (গ) সম্- √অস + অ       (ঘ) সম্ + আস  ।

(২)  ব্যাসবাক্যের প্রথম পদকে বলে —

সমাসের শ্রেণিবিভাগ

সমাসের শ্রেণিবিভাগ :- বাংলা ভাষায় সমাস মূলত ছয় প্রকার— (১) তৎপুরুষ, (২) কর্মধারয়, (৩) দ্বন্দ্ব,  (৪) দ্বিগু, (৫) বহুব্রীহি, (৬) অব্যয়ীভাব । এছাড়াও (৭) নিত্য সমাস, (৮) বাক্যাশ্রয়ী সমাস ও (৯) অলোপ সমাস আছে ।