"আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না ।" —বক্তা কাকে, কেন এ কথা বলেছিলেন ?

Submitted by avimanyu pramanik on Sat, 08/21/2021 - 11:27

"আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজে শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না ।" — বক্তা কাকে, কেন এ কথা বলেছিলেন ?

উঃ- মতি নন্দী রচিত 'কোনি' উপন্যাসের প্রথম পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহ বিষ্টুচরণ ধরকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছিলেন ।

'কোনি' উপন্যাসে গঙ্গার তীরে বিষ্টুচরণ ধর শরীর ম্যাসেজ করাচ্ছিলেন । সেই সময় স্নান করার জন্য ক্ষিতীশ সিংহ গঙ্গার ঘাটে উপস্থিত ছিলেন । বিষ্টুচরণ ধরের বিশাল বপু ম্যাসেজের তালে তালে ওঠানামা করছিল । ক্ষিতীশ সিংহ এই দৃশ্য অবলোকন করে হাসি চেপে রাখতে পারেন না । বিষ্টুচরণ ধর অপমানিত বোধ করেন এবং নিজের অর্থ ও প্রভাবের কথা ঘোষণা করেন । বিষ্টুচরণ ধর তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেন । আবার একইসঙ্গে ক্ষিতীশ সিংহের শারীরিক দক্ষতা দেখে অবাক হন । বিষ্টুচরণ ধর টাকার গর্বে অন্ধ ছিলেন । কিন্তু টাকা থাকলেই শরীরকে বশে রাখা যায় না । সেই প্রসঙ্গেই ক্ষিতীশ সিংহ উপরিউক্ত মন্তব্যটি করেন ।

****

Comments

Related Items

প্রলয়োল্লাস

তোরা সব জয়ধ্বনি কর ! তোরা সব জয়ধ্বনি কর ! ওই নূতনের কেতন ওড়ে কালবোশেখির ঝড় । তোরা সব জয়ধ্বনি কর ! তোরা সব জয়ধ্বনি কর !

ব্যাখ্যামূলক সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন - জ্ঞান চক্ষু

১। প্রশ্ন :- "যে ভয়ঙ্কর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না ।'—'আহ্লাদ' হবার কথা ছিল কেন ? 'আহ্লাদ খুঁজে' না পাওয়ার কারণ কী ?

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন - জ্ঞান চক্ষু

১. তপনের গল্প পড়ে ছোট মাসি কী বলেছিল ? উত্তর:- তপনের লেখা গল্পটির পুরোটা না পড়ে তার প্রশংসা করেন এবং গল্পটি কোথাও থেকে নকল করেছে কি না তা জিজ্ঞাসা করেন । ২. "একটু 'কারেকশন' করে ইয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে ।" — কে কী ছাপানোর কথা বলেছেন ? উত্তর:- তপনের নতুন মেসোমশাই, যিনি একজন অধ্যাপক ও লেখক, তিনি 'প্রথমদিন' নাম তপনের লেখা প্রথম গল্পটি ছাপানোর কথা বলেছেন ।

বহু বিকল্পীয় প্রশ্নোত্তর (M.C.Q) - জ্ঞান চক্ষু

তপনের মেসোমশাই কোন পত্রিকার সম্পাদককে চিনতেন ? [ মাধ্যমিক-২০১৮ ] (ক) শুকতারা (খ) আনন্দমেলা (গ) সন্ধ্যাতারা (ঘ) দেশ । ২. তপনের মেসোমশাই কোন পত্রিকায় তপনের লেখা ছাপানোর কথা বলেছিলেন ? [ মাধ্যমিক-২০১৯ ] (ক) ধ্রুবতারা (খ) শুকতারা (গ) সন্ধ্যাতারা (ঘ) আলোতারা ।