উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন

Submitted by arpita pramanik on Wed, 05/22/2013 - 21:13

উদ্ভিদ দেহে ন্যাস্টিক চলন (Nastic movement in plants)

 

উদ্ভিদের স্থায়ী অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের তীব্রতা বা ব্যাপ্তি অনুসারে হয়, তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে । যেমন পদ্মফুল তীব্র আলোতে ফোটে এবং কম আলোতে বুজে যায়, এছাড়া লজ্জাবতী লতা স্পর্শ করলে সঙ্গে সঙ্গে পত্রক গুলি বুজে যায় ।

ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ (Types of Nastic movement)

১৷ ফটোন্যাস্টি (Photonasty)

আলোর তীব্রতার প্রভাবে যে ন্যাস্টিক চলন হয়, তাকে ফটোন্যাস্টি চলন বলে । পদ্মফুল, সূর্যমুখী ফুল প্রভৃতি তীব্র আলোকে ফোটে আবার কম আলোকে মুদে যায় । তেঁতুল গাছের পত্রকগুলি কম আলোতে মুদে যায় । এগুলি এক রকম ফটোন্যাস্টি চলন ।

২৷ থার্মোন্যাস্টি (Thermonasty)

উষ্ণতার তীব্র প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে থার্মোন্যাস্টি চলন বলে । টিউলিপ ফুল বেশি উষ্ণতায় ফোটে এবং কম উষ্ণতায় মুদে যায় ।

৩৷ নিকটিন্যাস্টি (Nyctinasty

উদ্ভিদ অঙ্গের ন্যাস্টিক চলন যখন আলো ও উষ্ণতা, এই দুই এর প্রভাবে ঘটে, তখন তাকে নিকটিন্যাস্টি চলন বলে । কোনও কোনও শিম্বী গোত্রীয় উদ্ভিদের পত্রফলক প্রখর রোদ এবং বেশি উষ্ণতায় খুলে যায় এবং রাত্রে কম উষ্ণতায় বন্ধ হয়ে যায় ।

৪৷ কেমোন্যাস্টি (Chemo nasty

কোনো রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতায় সংঘটিত ন্যাস্টিক চলনকে কেমোন্যাস্টি বলে । সূর্যশিশির উদ্ভিদের পাতার রোম প্রোটিনের সংস্পর্শে আসা মাত্র পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় এবং পতঙ্গকে আবদ্ধ করে ।

৫৷ সিসমোন্যাস্টি (Seismo nasty

স্পর্শ, ঘর্ষণ বা আঘাতের তীব্রতার ফলে যে ন্যাস্টিক চলন হয়, তাকে সিসমোন্যাস্টি চলন বলে । লজ্জাবতী লতার পাতার পাতা স্পর্শ করামাত্র পাতার পত্রকগুলি মুদে যায় বা নুয়ে পড়ে ।

*****

Related Items

মানবদেহে রক্ত চাপ

রক্তচাপ কাকে বলে ? ইহা কয় প্রকার ও কি কি ? এক জন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে রক্ত চাপ কত ? রক্তচাপ পরিমাপক যন্ত্রটির নাম কি ? মানব দেহের কোন ধমনীতে রক্ত চাপ মাপা হয় ? সিস্টোলিক চাপ , ডায়াস্টোলিক চাপ , ধমনী কেটে গেলে ফিনকি দিয়ে কিন্তু শিরা কেটে গেলে গলগল করে রক্ত ...

হিমোগ্লোবিনের গুরুত্ব ও কাজ

হিমোগ্লোবিন অমেরুদণ্ডী প্রাণীর (কেঁচো) রক্ত রসে ও মেরুদণ্ডী প্রাণীর লোহিত রক্ত কণিকায় অবস্থিত এক প্রকারের লৌহ গঠিত, প্রোটিন জাতীয় রঞ্জক পদার্থ, যা প্রধানত অক্সিজেন পরিবহণ করে। পরিমাণ, কাজ, গ্যাসীয় বস্তু পরিবহণ, পিত্ত ও মল বর্ণ মুত্রের গঠন

মানবদেহে রক্ত তঞ্চন

রক্ত তঞ্চন - যে প্রক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে অর্ধ কঠিন জেলির মত পদার্থে পরিণত হয়, তাকে রক্ত তঞ্চন বলে। , রক্ত তঞ্চনের সময়কাল , রক্ত তঞ্চন পদ্ধতি , রক্ত তঞ্চন বিরোধী পদার্থ , রক্ত বাহে রক্ত তঞ্চিত হয় না কেন ?

রক্তের উপাদান

রক্তের উপাদান , রক্তের সাকার উপাদান গুলি হল ১৷ লোহিত রক্ত কণিকা ( R.B.C ) , ২৷ শ্বেত রক্ত কণিকা ( W.B.C ) , ৩৷ অণুচক্রিকা , শ্বেত রক্ত কণিকার গঠন, বৈশিষ্ট ও কাজ , নিউট্রোফিল , ইওসিনোফিল , বেসোফিল , মনোসাইট, লিম্ফোসাইট। শ্বেত রক্ত কণিকার গঠন, বৈশিষ্ট ও কাজ ..

সংবহন সম্পর্কিত কয়েকটি পার্থক্য

পার্থক্য - ১৷ অলিন্দ ও নিলয় , ২৷ মুক্ত সংবহন ও বদ্ধ সংবহন , ৩৷ হিমোগ্লোবিন ও হিমোসায়ানিন , ৪৷ কেঁচোর রক্ত ও মানুষের রক্ত , ৫৷ লোহিত কণিকা ও শ্বেত কণিকা , ৬৷ প্লাজমা ও সিরাম , ৭৷ সার্বিক দাতা ও সার্বিক গ্রহীতা , ৮৷ ধমনী ও শিরা , ৯৷ ফুসফুসীয় ধমনী ও ফুসফুসীয় শিরা , ১০৷ রক্ত ও লসিকা