ভারতীয় সভ্যতার বিবর্তন
ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর (Short questions and answers)
১) প্রশ্ন:- মেহেরগড় সভ্যতার একজন আবিষ্কারকের নাম লেখো ?
উত্তর:- বিখ্যাত ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জেন ফ্রাঁসোয়া জারেজ মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন ।
২) প্রশ্ন:- মেহেরগড় সভ্যতা কবে আবিষ্কৃত হয় ?
উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা ১৯৭৪ সালে আবিষ্কৃত হয় ।
৩) প্রশ্ন:- মেহেরগড় সভ্যতা কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর:- বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে ও বেলুচিস্তানের মধ্যবর্তী স্থানে -- অর্থাৎ বোলান গিরিপথের কাছে ও কোয়েটা শহর থেকে ১৫০ কি.মি. দূরে মেহেরগড় সভ্যতা অবস্থিত ছিল ।
৪) প্রশ্ন:- মেহেরগড় সভ্যতাটি ভারতের কোন প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ?
উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা ভারতের নতুন প্রস্তর যুগের সমসাময়িক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ।
৫) প্রশ্ন:- ভারতীয় সভ্যতা কত প্রাচীন ?
উত্তর:- ভারতীয় সভ্যতা প্রায় ৮৫০০ বছরের প্রাচীন ।
৬) প্রশ্ন:- ভারতের কোন কোন স্থানে প্রাচীন প্রস্তরযুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে ?
উত্তর:- ভারতের পশ্চিম পাঞ্জাব ও দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু অঞ্চলে প্রাচীন প্রস্তরযুগের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে ।
৭) প্রশ্ন:- ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম কী ?
উত্তর:- ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতার নাম মেহেরগড় সভ্যতা ।
৮) প্রশ্ন:- মেহেরগড় সভ্যতা কোন যুগের সভ্যতা ?
উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা নতুন প্রস্তর যুগের সভ্যতা ।
৯) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতা ভারতের কোন প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ?
উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা ভারতের তাম্রপ্রস্তর যুগের সমসাময়িক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ।
১০) প্রশ্ন:- মেহেরগড় সভ্যতা কত দূর বিস্তৃত ছিল ?
উত্তর:- বর্তমান পাকিস্তানের অন্তর্গত বালুচিস্তানের জোব নদী থেকে পশ্চিম ভারতের সিন্ধু নদ পর্যন্ত মেহেরগড় সভ্যতা বিস্তৃত ছিল ।
১১) প্রশ্ন:- পশুপালনের ওপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের কোন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ?
উত্তর:- পশুপালনের ওপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের মেহেরগড় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ।
১২) প্রশ্ন:- মেহেরগড় সভ্যতার প্রকৃতি কী ধরনের ছিল ?
উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা ছিল কৃষিকেন্দ্রিক ।
১৩) প্রশ্ন:- বৈদিক সভ্যতা ভারতের কোন প্রাক ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ?
উত্তর:- বৈদিক সভ্যতা ছিল লৌহযুগের সমসাময়িক যুগের সভ্যতার নিদর্শন ।
১৪) প্রশ্ন:- মেহেরগড় সভ্যতার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের নাম করো ?
উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের নাম হল —(ক) মেহেরগড়, (খ) কিলে গুল মহম্মদ, (গ) কোটদিজি, (ঘ) গুমলা, (ঙ) মুন্ডিগাক ।
১৫) প্রশ্ন:- সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন কে আবিস্কার করেন ?
উত্তর:- বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় সিন্ধু সভ্যতা নিদর্শন আবিস্কার করেন ।
১৬) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার যন্ত্রপাতি কোন ধাতুতে নির্মিত ?
উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতার যন্ত্রপাতি তামা ও টিন -এর সংমিশ্রণে প্রস্তুত ব্রোঞ্জ ধাতু দিয়ে নির্মিত ।
১৭) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতা কী ধরনের সভ্যতা ?
উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা ছিল একটি নগর কেন্দ্রিক সভ্যতা ।
১৮) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার মূল ভিত্তি কী ছিল ?
উত্তর:- প্রকৃতিগত ভাবে হরপ্পা সভ্যতা একটি নগর কেন্দ্রিক সভ্যতা হলেও হরপ্পা সভ্যতার মূল ভিত্তি ছিল কৃষি ও পশুপালন ।
১৯) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা কোন পশুর ব্যবহার জানত না ?
উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতার মানুষেরা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না ।
২০) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতা কত দিন আগে গড়ে উঠেছিল ?
উত্তর:- খ্রিস্টপূর্ব প্রায় তিন হাজার বৎসর আগে হরপ্পা সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ।
২১) প্রশ্ন:- ভারতবর্ষে প্রাক আর্যযুগের প্রাচীনতম বন্দরের নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে ?
উত্তর:- গুজরাটের লোথাল-এ প্রাক আর্যযুগের প্রাচীনতম বন্দরের নিদর্শন কোথায় পাওয়া গেছে ।
২২) প্রশ্ন:- ভারতের প্রথম নগরায়নের চিহ্ন কোন অঞ্চলের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে ?
উত্তর:- হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো অঞ্চলের ধ্বংসাবশেষ থেকে ভারতের প্রথম নগরায়নের চিহ্ন পাওয়া গেছে ।
২৩) প্রশ্ন:- ভারতের প্রথম নগরায়নের যুগের একটি শহরের নাম লেখো ?
উত্তর:- ভারতের প্রথম নগরায়নের যুগের একটি শহরের নাম মহেঞ্জোদারো ।
২৪) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতা কবে আবিস্কৃত হয় ?
উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা ১৯২৪ সালে আবিস্কৃত হয় ।
২৫) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার কালসীমা লেখো ?
উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতার কালসীমা হল ৩,০০০ - ১,৫০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ ।
২৬) প্রশ্ন:- সিন্ধু সভ্যতা আবিস্কারের সঙ্গে জড়িত একজন প্রত্নতাত্ত্বিকের নাম লেখো ?
উত্তর:- বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় সিন্ধু সভ্যতা আবিস্কার করেন ।
২৭) প্রশ্ন:- ভারতবর্ষের প্রাচীনতম বন্দর কোনটি ?
উত্তর:- ভারতবর্ষেরর প্রাচীনতম বন্দরের নাম গুজরাটের লোথাল ।
২৮) প্রশ্ন:- রাজস্থানের কোন অঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে ?
উত্তর:- রাজস্থানের কালিবঙ্গান অঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে ।
২৯) প্রশ্ন:- কোন বন্দরের মাধ্যমে হরপ্পা-সভ্যতার বৈদেশিক বাণিজ্য চলত ?
উত্তর:- লোথাল বন্দরের মাধ্যমে হরপ্পা-সভ্যতার বৈদেশিক বাণিজ্য চলত ।
৩০) প্রশ্ন:- হরপ্পা-সভ্যতার লিপির নাম কি ?
উত্তর:- হরপ্পা-সভ্যতার লিপির নাম সিন্ধুলিপি ।
৩১) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতা কোন সভ্যতার সমসাময়িক ?
উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা মেসোপটেমিয়া এবং সুমেরীয় সভ্যতার সমসাময়িক ।
৩২) প্রশ্ন:- হরপ্পা কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর:- হরপ্পা পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের মন্টগোমারি জেলায় অবস্থিত ।
৩৩) প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতে কারা আর্য নামে পরিচিত ?
উত্তর:- আর্যরা ছিল ভারতের বহিরগত দীর্ঘকায় গৌরবর্ণ ও সুদর্শন এক জাতি-- যাদের আদি বাসস্থান ছিল মধ্য এশিয়া অথবা রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল কিংবা ইউরোপ মহাদেশের অস্ট্রিয়া , হাঙ্গেরী অথবা চেকোস্লোভাকিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ।
৩৪) প্রশ্ন:- আর্যরা প্রথম কবে ভারতে আসে ?
উত্তর:- আনুমানিক ১,৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আর্যরা প্রথম ভারতে আসে।
৩৫) প্রশ্ন:- আর্যরা প্রথম ভারতে কোথায় বসতি স্থাপন করে ?
উত্তর:- উত্তর ভারতের সিন্ধু নদের পাঁচটি উপনদী, সরস্বতী এবং উচ্চ গাঙ্গেয় উপত্যকায় সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে আর্যরা প্রথম ভারতে বসতি স্থাপন করে ।
৩৬) প্রশ্ন:- আর্যদের স্বর্ণমুদ্রার নাম কী ?
উত্তর:- আর্যদের স্বর্ণমুদ্রার নাম হল নিষ্ক ।
৩৭) প্রশ্ন:- আর্যদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর:- আর্যদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম বেদ ।
৩৮) প্রশ্ন:- ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্য কোনটি ?
উত্তর:- ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্য হল বেদ ।
৩৯) প্রশ্ন:- বিশ্বের দরবারে হরপ্পা সভ্যতার প্রথম অবদানটির নাম লেখো ?
উত্তর:- বিশ্বের দরবারে হরপ্পা সভ্যতার প্রথম অবদান হল উন্নত নগর পরিকল্পনা ।
৪০) প্রশ্ন:- কোন সভ্যতা হরপ্পা সংস্কৃতির পথিকৃত ছিল ?
উত্তর:- মেহেরগড় সভ্যতা হরপ্পা সংস্কৃতির পথিকৃত ছিল।
৪১) প্রশ্ন:- মহেঞ্জোদরো কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর:- বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় , সিন্ধু নদের পশ্চিম তীরে মহেঞ্জোদরো অবস্থিত ।
৪২) প্রশ্ন:- মহেন-জো-দরো শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর:- মহেন-জো-দরো শব্দের অর্থ হল মৃতের স্তূপ ।
৪৩) প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের দুটি নগরের নাম লেখো ?
উত্তর:- প্রাচীন ভারতের দুটি নগরের নাম হরপ্পা ও লোথাল ।
৪৪) প্রশ্ন:- বেদের অপর নাম কী ?
উত্তর:- বেদের অপর নাম শ্রুতি ।
৪৫) প্রশ্ন:- বৈদিকযুগের প্রাচীনতম গ্রন্থ কোনটি ?
উত্তর:- বৈদিকযুগের প্রাচীনতম গ্রন্থ নাম ঋকবেদ ।
৪৬) প্রশ্ন:- ঋকবৈদিক যুগের প্রধান দেবতার নাম কী ?
উত্তর:- ঋকবৈদিক যুগের প্রধান দেবতার নাম অগ্নি ।
৪৭) প্রশ্ন:- বেদের শেষ ভাগের নাম কী ?
উত্তর:- বেদের শেষ ভাগের নাম অথর্ব ।
৪৮) প্রশ্ন:- বৈদিক সাহিত্যের কোন অংশকে বেদান্ত বলা হয় ?
উত্তর:- উপনিষদ কে বৈদিক সাহিত্যের বেদান্ত বলা হয় ।
৪৯) প্রশ্ন:- বেদ কবে রচিত হয় ?
উত্তর:- খ্রিষ্টপূর্ব ১,৫০০ - ১০০০ অব্দের মধ্যে বেদ রচনা করা হয় বলে অনুমান করা হয়ে থাকে ।
৫০) প্রশ্ন:- বেদের কয়টি ভাগ আছে ও কী কী ?
উত্তর:- বেদের চারটি ভাগ আছে - যথা ঋক,সাম,যজু, ও অথর্ব ।
৫১) প্রশ্ন:- প্রত্যেক বেদের কয়টি অংশ ও কী কী ?
উত্তর:- প্রত্যেক বেদের চারটি অংশ , যথা: সংহিতা , ব্রাহ্মণ, আরন্যক এবং উপনিষদ বা বেদান্ত ।
৫২) প্রশ্ন:- কী ভাবে বেদ কথাটির উৎপত্তি হয় ?
উত্তর:- বিদ শব্দ থেকে বেদ কথাটির উৎপত্তি হয় , বিদ শব্দের অর্থ হল জ্ঞান ।
৫৩) প্রশ্ন:- গৃহপতি বা কুলপা কাকে বলা হত ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের কোনো পরিবারের কর্তাকে গৃহপতি বা কুলপা বলা হত ।
৫৪) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের কয়েক জন বিদুষী নারীর নাম করো ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের কয়েক জন বিদুষী নারীর নাম হল অন্ডালা, ঘোষ, মমতা, লোপামুদ্রা প্রভৃতি ।
৫৫) প্রশ্ন:- আর্যদের চতুরাশ্রমের প্রথম আশ্রমের নাম কী ?
উত্তর:- আর্যদের চতুরাশ্রমের প্রথম আশ্রমের নাম ব্রহ্মচর্য ।
৫৬) প্রশ্ন:- আর্যদের চতুরাশ্রমের সর্বশেষ আশ্রমের নাম কী ?
উত্তর:- আর্যদের চতুরাশ্রমের সর্বশেষ আশ্রমের নাম সন্ন্যাসাশ্রম ।
৫৭) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের প্রচলিত মুদ্রার নাম কী ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের প্রচলিত মুদ্রার নাম 'নিষ্ক' ও 'মনা' ।
৫৮) প্রশ্ন:- ঋকবৈদিক যুগের সমাজে কৃষক ছাড়াও অপর কয়েকটি বৃত্তিজীবি মানুষের নাম করো ?
উত্তর:- ঋকবৈদিক যুগের সমাজে কৃষক ছাড়াও অপর কয়েকটি বৃত্তিজীবি মানুষের নাম হল —সূত্রধর, চর্মকার, ছুতোর, তাঁতি, কুমোর, প্রভৃতি ।
৫৯) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম কী ছিল ?
উত্তর:- বৈদিক যুগে বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম ছিল গোরু ।
৬০) প্রশ্ন:- আর্যদের বিনিময় প্রথার প্রধান মাধ্যম কী ছিল ?
উত্তর:- আর্যদের বিনিময় প্রথার প্রধান মাধ্যম ছিল গোরু ।
৬১) প্রশ্ন:- বৈদিক সভ্যতা কী ?
উত্তর:- বেদকে ভিত্তি করে যে সভ্যতা গড়ে ওঠেছে তাই বৈদিক সভ্যতা ।
৬২) প্রশ্ন:- বৈদিক সভ্যতার স্রষ্টা কারা ?
উত্তর:- বৈদিক সভ্যতার স্রষ্টা হল আর্যরা ।
৬৩) প্রশ্ন:- ঋকবেদে বলি শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হত ?
উত্তর:- ঋকবেদে বলি শব্দটি কর নেওয়া অর্থে ব্যবহৃত হত ।
৬৪) প্রশ্ন:- উপনিষদ কী ?
উত্তর:- উপনিষদ হল বেদের একটি অন্যতম দার্শনিক বিভাগ ।
৬৫) প্রশ্ন:- চতুর্বেদ ছাড়াও অপর একটি বৈদিক সাহিত্যের নাম করো ?
উত্তর:- চতুর্বেদ ছাড়াও অপর একটি বৈদিক সাহিত্যের নাম বেদাঙ্গ ।
৬৬) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের দুটি জনসভার নাম করো যারা রাজশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত ?
উত্তর:- সভা ও সমিতি -নামে দুটি জনসভা রাজশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত ।
৬৭) প্রশ্ন:- বৈদিক আর্যদের প্রধান ভাষা কী ছিল ?
উত্তর:- বৈদিক আর্যদের প্রধান ভাষা ছিল সংস্কৃত ।
৬৮) প্রশ্ন:- দশরাজার যুদ্ধ কাহিনী কোথায় লিপিবদ্ধ আছে ?
উত্তর:-দশরাজার যুদ্ধ কাহিনী ঋকবেদে লিপিবদ্ধ আছে।
৬৯) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের প্রধান উপাস্য দেবতা কারা ছিলেন ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের প্রধান উপাস্য দেবতা ছিলেন পৃথিবী, মরুৎ, রুদ্র, অগ্নি, উষা, ইন্দ্র, সূর্য প্রভৃতি ।
৭০) প্রশ্ন:- পরবর্তী বৈদিকযুগের দু-জন বিদুষী নারীর নাম করো ?
উত্তর:- পরবর্তী বৈদিকযুগের দু-জন বিদুষী নারীর নাম হল মৈত্রেয়ী ও গার্গী ।
৭১) প্রশ্ন:- পরবর্তী বৈদিকযুগে উদ্ভুত দুটি নগরের নাম করো ?
উত্তর:- পরবর্তী বৈদিকযুগে উদ্ভুত দুটি নগরের নাম হস্তিনাপুর ও কৌশাম্বী ।
৭২) প্রশ্ন:- প্রাচীন ভারতের কোন যুগে প্রথম গিল্ড বা ব্যবসায়ী সংঘ গড়ে ওঠে ?
উত্তর:- প্রাচীন ভারতের পরবর্তী বৈদিক যুগে প্রথম গিল্ড বা ব্যবসায়ী সংঘ গড়ে ওঠে ।
৭৩) প্রশ্ন:- বৈদিক যুগের শেষের দিকে ধনশালী বণিক শ্রেণীকে কী বলা হত ?
উত্তর:- বৈদিক যুগের শেষের দিকে ধনশালী বণিক শ্রেণীকে শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি বলা হত ।
৭৪) প্রশ্ন:- গৃহপতি বলতে কী বোঝো ?
উত্তর:- বৈদিক পরবর্তী যুগে গ্রামাঞ্চলে গৃহপতি নামে একটি অত্যন্ত বিত্তশালী কৃষক সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হয়েছিল এবং এরা সাধারণত বৈশ্য শ্রেণীভুক্ত ছিল ।
৭৫) প্রশ্ন:- শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি বলতে কী বোঝো ?
উত্তর:- বৈদিক পরবর্তী যুগে বৈশ্য সম্প্রদায়ের মধ্যে অত্যন্ত বিত্তশালী বণিক শ্রেণীর উৎপত্তি হয়ে এবং এরা শ্রেষ্ঠী বা সেটঠি নামে পরিচিত ।
৭৬) প্রশ্ন:- কার রাজত্বকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?
উত্তর:- কালাশোকের রাজত্বকালে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
৭৭) প্রশ্ন:- কার রাজত্বকালে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?
উত্তর:- অশোকের রাজত্বকালে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
৭৮) প্রশ্ন:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম ত্রিপিটক ( বিনয় পিটক, সুত্ত পিটক, অভিধর্ম পিটক ) ।
৭৯) প্রশ্ন:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক কোন ভাষায় লেখা ?
উত্তর:- বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক পালি ভাষায় লেখা ।
৮০) প্রশ্ন:- জাতক কী ?
উত্তর:- বৌদ্ধ সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট গ্রন্থ , এতে গৌতম বুদ্ধের পূর্ব জন্মের কাহিনী লিপিবদ্ধ রয়েছে ।
৮১) প্রশ্ন:- অষ্টাঙ্গিক মার্গের অপর নাম কী ?
উত্তর:- অষ্টাঙ্গিক মার্গের অপর নাম মঝঝিম বা মধ্যপন্থা ।
৮২) প্রশ্ন:- হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে বৈদিক সভ্যতার প্রধান পার্থক্য কী ?
উত্তর:- হরপ্পা সভ্যতা প্রধানত নগরকেন্দ্রিক ও বৈদিক সভ্যতা প্রধানত গ্রামকেন্দ্রিক ।
৮৩) প্রশ্ন:- প্রথম বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয় ?
উত্তর:- অজাতশত্রুর রাজত্বকালে রাজগৃহে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
৮৪) প্রশ্ন:- দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয় ?
উত্তর:- কালাশোকের রাজত্বকালে বৈশালীতে দ্বিতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
৮৫) প্রশ্ন:- তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা কোথায় আহুত হয় ?
উত্তর:- অশোকের রাজত্বকালে পাটালিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
৮৬) প্রশ্ন:- কার রাজত্বকালে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ?
উত্তর:- অজাতশত্রুর রাজত্বকালে প্রথম বৌদ্ধমহাসভা আহুত হয় ।
৮৭) প্রশ্ন:- বৌদ্ধধর্মে জাগতিক কামনা-বাসনার অবসানের জন্য কোন পথের সন্ধান দেওয়া হয়েছে ?
উত্তর:- বৌদ্ধধর্মে জাগতিক কামনা-বাসনার অবসানের জন্য অষ্টাঙ্গিক মার্গের কথা বলা হয়েছে ।
৮৮) প্রশ্ন:- কৈবল্যের অর্থ কী ?
উত্তর:- কৈবল্যের অর্থ হল পরম বা বিশুদ্ধ জ্ঞান, যা লাভ করলে সুখ-দুঃখ ও পঞ্চরিপুকে জয় করা যায় ।
৮৯) প্রশ্ন:- আর্যসত্য সম্বন্ধে কে বলেছিলেন ?
উত্তর:- বুদ্ধদেব আর্যসত্য সম্বন্ধে বলেছিলেন ।
৯০) প্রশ্ন:- জৈন ধর্মের মূলনীতি কী ?
উত্তর:- জৈন ধর্মের মূলনীতি হল অহিংসা ।
৯১) প্রশ্ন:- প্রথম জৈন গ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর:- প্রথম জৈন গ্রন্থের নাম কল্পসূত্র ।
৯২) প্রশ্ন:- জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম কী ?
উত্তর:- জৈনদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম দ্বাদশ অঙ্গ ।
৯৩) প্রশ্ন:- প্রথম জৈন গ্রন্থ কল্পসূত্র কে রচনা করেন ?
উত্তর:- প্রথম জৈন গ্রন্থ কল্পসূত্র রচনা করেন জৈন শ্রমন ভদ্রবাহু ।
৯৪) প্রশ্ন:- তীর্থঙ্কর শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর:- জৈনদের প্রধান ধর্মগুরুর নাম তীর্থঙ্কর ।
৯৫) প্রশ্ন:- পার্শ্বনাথ কে ছিলেন ?
উত্তর:- পার্শ্বনাথ ছিলেন জৈনদের তেইশতম তীর্থঙ্কর ।
৯৬) প্রশ্ন:- সর্বপ্রথম তীর্থঙ্করের নাম কী ?
উত্তর:- সর্বপ্রথম তীর্থঙ্করের নাম ঋষভদেব বা আদিনাথ ।
৯৭) প্রশ্ন:- জৈনদের শেষ তীর্থঙ্করের নাম কী ?
উত্তর:- জৈনদের শেষ তীর্থঙ্করের নাম মহাবীর ( চব্বিশতম তীর্থঙ্কর ) ।
৯৮) প্রশ্ন:- জৈন ধর্মের উৎপত্তির সময় কাল থেকে মহাবীর পর্যন্ত কতজন তীর্থঙ্কর ছিলেন ?
উত্তর:- জৈন ধর্মের উৎপত্তির সময় কাল থেকে মহাবীর পর্যন্ত সর্বমোট চব্বিশ জন তীর্থঙ্কর ছিলেন ।
৯৯) প্রশ্ন:- পার্শ্বনাথ প্রচারিত চতুর্যামের সাথে মহাবীর কোন নতুন আদর্শ যোগ করেন ?
উত্তর:- পার্শ্বনাথ প্রচারিত চতুর্যামের সাথে মহাবীর অন্যতম আদর্শ হিসাবে সূচিতা বা ব্রহ্মচর্য আদর্শ যোগ করেন ।
১০০) প্রশ্ন:- জৈনদের দুটি প্রধান সম্প্রদায়ের নাম কী ?
উত্তর:- জৈনদের দুটি প্রধান সম্প্রদায়ের নাম শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর ।
১০১) প্রশ্ন:- নিগম কথার অর্থ কী ?
উত্তর:- নিগম কথার অর্থ বণিকসংঘ ।
*****
- 58573 views