সুলতান মামুদ (Sultan Mahmud of Gazni)

Submitted by avimanyu pramanik on Fri, 05/04/2012 - 12:01

সুলতান মামুদ (Sultan Mahmud of Gazni) :

মহম্মদ বিন কাশিমের সিন্ধু জয়ের ৩০০ বছর বাদে ১০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১০২৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গজনির সুলতান মামুদ ১৭ বার ভারত আক্রমণ করেন । সুলতান মামুদ একজন লোভী, লুন্ঠনকারী, রূপেই পরিচিত । ভারতে রাজ্য স্থাপনের কোনো ইচ্ছা তার ছিল না । ইসলাম ধর্মের প্রসার ও ভারতের ধনসম্পদ লুঠ করাই ছিল সুলতান মামুদের ভারত অভিযানের মূল উদ্দেশ্য । সভাসদ আল বিরুনি রচিত তহকক-ই-হিন্দ গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, ভারতের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগে উৎসাহিত হয়ে ১০০০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মামুদ সর্বপ্রথম ভারত আক্রমণ করেন । ১০০১ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় অভিযানে শাহীরাজ জয়পাল -কে পরাস্ত করেন । অপমানের জ্বালায় জয়পাল অগ্নিকুন্ডে প্রাণ বিসর্জন দেন । ১০০৮-০৯ খ্রিস্টাব্দে জয়পালের পুত্র আনন্দপাল পরাজিত হন ও পাঞ্জাব সুলতান মামুদের হাতে চলে যায় । ১০১৮ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের বিরুদ্ধে অভিযানে তিনি মথুরা ও কনৌজ নগর দুটি ধ্বংস করেন এবং প্রচুর ধনসম্পদ লুঠ করেন । ১০২৫ খ্রিস্টাব্দের দুঃসাহসিক অভিযানে মামুদ গুজরাটের বিখ্যাত সোমনাথ মন্দিরের ধ্বংসসাধন করেন । ইংরেজ ঐতিহাসিক স্মিথ বলেছেন "ভারতীয়দের দৃষ্টিতে মামুদ ছিলেন নিছকই এক লুন্ঠনকারী" (Mahmud was simply a bandit operating on a large scale) ।  

*****

Related Items

সুলতানি ও মোগল আমলে সাংস্কৃতিক সমন্বয়

মুসলিমদের আগমনে সংঘাত, সমন্বয়ী প্রক্রিয়া, ভক্তি আন্দোলন, ভক্তিবাদের লক্ষ ও আদর্শ, রামানন্দ ও নামদেব, কবির, নানক, শ্রীচৈতন্য, সুফিআন্দোলন, সুফিবাদ ও ভক্তিবাদের মিল ও অমিল, মধ্যযুগের সাহিত্য, আঞ্চলিক ভাষার বিকাশ ...

ইসলাম ও ভারতবর্ষ (Islam and India)

আরবদের সিন্ধু বিজয়, সুলতান মামুদ, মহম্মদ ঘুরি, সুলতানি আমল, ইলবেরি তুর্কি বংশ, কুতুবউদ্দিন আইবক, ইলতুৎমিস, রাজ্যবিস্তার নীতি, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত নীতি, সুলতানা রাজিয়া, গিয়াসউদ্দিন বলবন, খলজি বংশ ও আলাউদ্দিন খলজি, তুঘলকি আমল, তৈমুরলঙ্গের ভারত আক্রমণ ...

প্রাচীন ভারতের সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি

প্রাচীন ভারতের সামাজিক রুপান্তর, পারিবারিক জীবন, দাসপ্রথা, বিবাহ প্রথা, ব্রাহ্ম বিবাহ, দৈববিবাহ, আর্য বিবাহ, প্রাজাপত্য বিবাহ, বিদেশি আগমন ও হিন্দু সমাজে গতিশীলতা, বিদেশিদের দৃষ্টিতে মৌর্য ও গুপ্ত যুগ, বিদেশিদের দৃষ্টিতে গুপ্ত পরবর্তীযুগ, জাতি ভেদ প্রথা ...

গুপ্ত পরবর্তী ভারত

বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তির আত্মপ্রকাশ- পশ্চিম ও উত্তর ভারত, বলভীর মৈত্রিক বংশ, যশোধর্মণ, কনৌজের উত্থান - মৌখরী বংশ, পুষ্যভূতি বংশ ও হর্ষবর্ধন, প্রতিহার বংশ, অন্যান্য শক্তির উদ্ভব, বাংলা শশাঙ্ক, পাল বংশ- ধর্মপাল, দেবপাল, সেন বংশ, দক্ষিণ ভারত ...

রাজশক্তির উত্থান : বিম্বিসার থেকে গুপ্তযুগ

আর্য সভ্যতা বিকাশের পর থেকে প্রায় এক হাজার বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস খুবই অস্পষ্ট । খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে ভারত ইতিহাসের একটা মোটামুটি ধারাবাহিক বিবরণ পাওয়া যায় । ভারতের ইতিহাসে যখনই কোনো শক্তিশালী রাজবংশের আবির্ভাব ঘটেছে, ...