পরমাণুর গঠন (Structure Of Atom)

Submitted by Anonymous (not verified) on Thu, 02/27/2014 - 17:29

পরমাণু হল মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা সকল ধর্ম অক্ষুন্ন রেখে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে । সব পরমাণুই আরও অনেক ছোটো ছোটো কণা দিয়ে গঠিত সেগুলির মধ্যে ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন এই তিনটি প্রধান ।

ডালটনের পরমাণুবাদ :

১। প্রতিটি মৌলিক পদার্থ অসংখ্য অতি ক্ষুদ্র অবিভাজ্য নিরেট কণা দিয়ে তৈরি। এই ক্ষুদ্রতম কণাকে পরমাণু বলে।

২। রাসায়ানিক বিক্রিয়া দ্বারা পরমাণু বিভাজ্য হয় না । কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা পরমাণু সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না ।

৩। একই মৌলিক পদার্থের সমস্ত পরমাণুর ওজন এবং অন্যান্য ধর্ম বিভিন্ন হয় ।

৪। রাসায়নিক বিক্রিয়ার দ্বারা বিভিন্ন মৌলের পরমাণুগুলির পূর্ণসংখ্যার সরল অনুপাতে যুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে।

পরমাণুর গঠন (Structure Of Atom) :

প্রত্যেক পরমাণুর দুটি অংশ আছে  যথা নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রন মহল

১। নিউক্লিয়াস: পরমাণুর কেন্দ্রে যে ক্ষুদ্রতম অংশে পরমাণুর সমস্ত ধনাত্মক আধান ও ভর অবস্থান করে সেই অংশটিকে পরমাণুর নিউক্লাস বলে । নিউক্লাসে দুই রকমের মূল কণা থাকে যথা প্রোটন ও নিউট্রন।

২। ইলেকট্রন মহল : প্রত্যেক পরমাণুর নিউক্লয়াসে মোট যতগুলি প্রোটণ থাকে ঠিক ততগুলি ইলেকট্রণ নিউক্লয়াসের বাইরে পরমানুর বাকি অংশ সজ্জিত থাকে। পরমানুর এই অংশকে ইলেকট্রন মহল বলে।

নিউক্লিয় বল : নিউক্লিয়নগুলির মধ্যে যে আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে পরমানু কেন্দ্রকের মধ্যে ওদের দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ রাখে, সেই বলকে নিউক্লিয় বল বলে।

পারমাণবিক সংখ্যা : কোনো মৌলের পরমানুর নিউক্লিয়াসে যত সংখ্যক প্রোটন থাকে, সেই সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমানুবিক সংখ্যা বলে।

পারমাফণবিক সংখ্যা = নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা = নিউক্লিয়াসের বাইরের মোট ইলেকট্রন সংখ্যা।

ভর সংখ্যা : কোনো মৌলের পরমানুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন এবং নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ওই মৌলের ভর সংখ্যা বলে।

ভরসংখ্যা (A)=প্রোটনসংখ্যা (Z)+নিউট্রনসংখ্যা (N)=পারমণবিক স্নগখ্যা+নিউট্রনসংখ্যা।

পারমাণবিক ভর : কোনো মৌলের একটি পরমাণু, একটি 12c পরমাণুভরের 1/12 অংশের চেয়ে যতগুন ভারী, সেই সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক ভর বলে।

আইসোটোপ : একই মৌলের যেসব পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা সমান, কিন্তু ভর সংখ্যা আলাদা তাদের আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে।

আইসোটোপের ব্যবহার :

১। ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় আয়োডিন এবং কোবাল্ট আইসোটোপ ব্যবহৃত হয় ।

২। আইসোটোপের সাহায্যে পৃথিবীর বয়স, বিভিন্ন পাথর, গাছ ইত্যাদির বয়স নির্ণয় করা হয়।

আয়ন : ধনাত্মক তড়িৎগ্রস্থ পরমাণু বা পরমাণু জোটকে আয়ন বলে ।

১। ক্যাটায়ন : ধনাত্মক তড়িৎগ্রস্ত পরমাণুকে বা পরমাণু জোটকে ক্যাটায়ন বলে।

২। অ্যানায়ন : ঋণাত্মক তড়িৎগ্রস্ত পরমাণু বা পরমাণু জোটকে অ্যানায়ন বলে।

পরমাণু ও আয়নের মধ্যে পার্থক্য :

১। পরমাণু তড়িৎ নিরপেক্ষ কিন্তু আয়ন তড়িৎগ্রস্ত হয়।

২। পরমানু কম সুস্থিত কিন্তু আয়ন পরমাণু অপেক্ষা বেশি সুস্থিত।

৩। জলীয় দ্রবণে পরমাণু স্বাধীন ভাবে থাকতে পারে, আবার নাও থাকতে পারে কিন্তু জলীয় দ্রবণে আয়ন স্বাধীন ভাবে থাকতে পারে ।

 

এই লেখাগুলি এতটুকু যদি আপনার মাধ্যামিক পরীক্ষায় কাজে লাগে তবে আমার লেখা সার্থক হবে।একটি কথা  বলতে চাই দ্রুত লিখতে গিয়ে অনেক বানান ভুল করে ফেলেছি। আশা করি আপনারা সেটি ক্ষমা সুন্দর  দৃষ্টিতে দেখেবেন।আর মতামত দিতে ভুলবেননা।মতামত পেলে খুবই অনুপ্রানিত হব।ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

আপনারা চাইলে একবার আমার সাইটে ঘুরে আসতে পারেন

Related Items