মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতি
West Bengal Madhyamik Examination
মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্নপত্রের পরিকাঠামোঃ
প্রশ্নপত্রে 'ক','খ' ও 'গ' এই তিনটি বিভাগ থাকবে।
'ক' বিভাগঃ
এখানে 1, 2, 3 ও 4 এই চারটি দাগ থাকবে।
1.নং প্রশ্নে ( i ) থেকে ( vii) পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হবে, কিন্তু তোমরা সাতটিরই উত্তর দেবে; সঠিক পাঁচটির উত্তর পরীক্ষক মহাশয় দেখবেন ও নম্ব্বর দেবেন, এর মধ্যে যে কোনো সঠিক পাঁচটিতেই নম্বর দেওয়া হবে। আগে ঠিক/ভুল বা পরে ঠিক/ ভুল অর্থাৎ ক্রম দেখা হবে না।ভুলগুলি গণ্য করা হবে না , এতে তোমাদের নম্বর বাড়বে।প্রশ্নে ভুল থাকলে পূর্ন নম্বর পাবে, তাই সবকয়টিরই উত্তর লিখবে। এই প্রশ্নগুলি উত্তর করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। যেমন ধরো প্রশ্ন আছে : -
1. (iii) নিম্নলিখিত কোন্ উপক্ষারটি মানুষের রক্তচাপ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়?
(a) নিকোটিন, (b) রেসারপিন, (c) কুইনাইন, (d) মরফিন।
এর উত্তর এই ভাবে দেবে :-
1.(iii)- মানুষের রক্তচাপ কমানোর জন্য ব্যবহৃত উপক্ষারটি হ'ল (b) রেসারপিন।
2.নং প্রশ্নে ( i ) থেকে ( xiii) পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে দশটি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হবে, কিন্তু তোমরা তেরোটিরই উত্তর দেবে। এর মধ্যে দু'একটি শূণ্যস্থান পূরণমূলক প্রশ্ন থাকবে,যেগুলির উত্তর অবশ্যই পূর্ণবাক্যে দিতে হবে। শূণ্যস্থান-পূরক শব্দটির নিচে দাগ দিতেও পারো। দেখবে যেন সৌন্দর্য্য বজায় থাকে।
3. নং প্রশ্নে ২নং-এর ৮টি প্রশ্ন দেওয়া থাকে, ৬টির উত্তর লিখতে বলা হয়।এক্ষেত্রে পার্থক্য লিখতে দিলে শুধুমাত্র দুটি না লিখে কিছু বেশি লিখবে। তবে সঠিক দুটিতেই নম্বর দেওয়া হয়। অন্যান্য গুলির ক্ষেত্রে দেখবে নম্বর বিভাজন কেমন আছে। সেইমতো উত্তর দেবে।
4. নং প্রশ্নে ১৩টির মধ্যে ১০টির উত্তর করতে বলা হয়। এখানেও নম্বর অনুযায়ী ভাগ ভাগ করে উত্তর লিখবে।
'খ' বিভাগঃ
প্রশ্ন নং 5.থেকে11.এর মধ্যে যে কোনো পাঁচটির উত্তর লিখতে হবে। এখানে প্রশ্নের মধ্যের অনুপ্রশ্নগুলি একটু ফাঁক দিয়ে দিয়ে তলায় তলায় ভাগ ভাগ করে লিখবে। একটি প্রশ্নের উত্তর শেষ হলে কিছুটা ফাঁকা জায়গা রাখার পর অপর প্রশ্নের উত্তর লিখতে শুরু করবে।
'গ' বিভাগঃ
প্রশ্ন নং 12. ও 13. তে দুটি ছবি আঁকা ও চিহ্নিতকরণ (drawing & labeling) পড়বে। এর মধ্যে তোমাকে একটি অঙ্কন করতে হবে।অঙ্কন ও চিহ্নিতিকরণ ছাড়াও চিত্রের নামকরন( Captioning)ও যেন সঠিক থাকে। কখনো কখনো নির্দিষ্ট কতকগুলি চিহ্নিতকরণ(labeling) করতে বলে, ঐগুলি তো অবশ্যই করতে হবে; এছাড়াও আরো প্রধান কতকগুলি চিহ্নিতকরণ করতে হবে। চিত্র পেনসিলে আঁকবে। অঙ্কিত চিত্রের নিচে তার নামটি অবশ্যই লিখবে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কতকগুলি জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ
১। মূল পাঠ্যবইটি ভালোভাবে খুঁটিয়ে পড়বে।জীবনবিজ্ঞান মুখস্থ করার বিষয় নয়।তাই সব কিছু মুখস্থ করার চেষ্টা করলে হবে না, বরং বারবার পড়বে ও যেটি পড়ছো সেটি বুঝতে চেষ্টা করো তবেই সকল প্রশ্নের ভালোভাবে উত্তর দিতে পারবে।
২।এই আন্তর্জাল-স্থলে(সাইটে) অর্থাৎ (http://www.bengalstudents.com/)-এ কয়েকটি আদর্শ প্রশ্ন-পত্র দেওয়া হল। নিয়মিত এখানে অনুসন্ধান(search) করে প্রশ্নগুলির উত্তর তৈরী করো।কোনো জায়গায় আটকে গেলে তোমার শিক্ষকমহাশয়কে অথবা এখানে আলোচনাস্থলে(forum-এ)প্রশ্ন করো।
৩। পরীক্ষায় বসার আগে তোমাকে অবশ্যই মাধ্যমিক প্রশ্নপত্রের সঠিক কাঠামো-আকার (format)টির সম্বন্ধে সম্যক ধারণা রাখতে হবে।
৪। কখনোই একটি প্রশ্নের মাঝে অন্য প্রশ্নের উত্তর লিখবে না। এতে পরীক্ষকের খুব অসুবিধা হয়। কোনো উত্তর এড়িয়ে যাওয়াও অসম্বভব নয়। দরকার হলে তখন মনে না পড়লে ঐ উত্তরের জন্য জায়গা ফাঁকা রেখে দিতেও পারো। পরে মনে পড়লে সঠিক স্থানেই উত্তর লিখবে। না মনে পড়লে লিখবে না। শুধুমাত্র পৃষ্ঠার নিচের দিকে please turn over বা সংক্ষেপে P.T.O. লিখে দেবে। তবে সঠিক উত্তর মনে না পড়লেও ওখানটা ফাঁকা না রেখে ঐ সম্বন্ধে তোমার যা জানা আছে তাইই লিখবে, কারন কোনো কোনো বৎসর এমনও দেখা গেছে কিছু প্রশ্ন এসেছে যা পাঠ্যক্রমে নেই, সে ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক পূর্ণ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ ছিলো। এভাবেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নম্বর বেড়ে যায়।
৫। অনেকে ভাবো একটি প্রশ্নেরই দুইরকম উত্তর দুই জায়গায় লিখলে যেটি সঠিক সেটিতে নম্বর পাওয়া যায়। কিন্তু এভাবে নম্বর কখনোই বাড়ে না।
৬। অনেকে ভাবে, একটি সঠিক উত্তরই দুই জায়গায় লিখলে পরীক্ষকের ভুল্ক্রমে বা নজর এড়িয়ে দুই জায়গাতেই নম্বর পাওয়া যায়, ফলে নম্বর বেড়ে যায়। এই ধারনাটি ভ্রান্ত , কারণ নম্বরগুলিকে খাঁচাবন্দি(caging) করার সময় এটি ধরা প'ড়ে যায় ; নম্বর কখনোই বাড়ে না।
৭। উত্তর হতে হবে সঠিক (to the point)। প্রশ্নানুযায়ী উত্তর ছোটো অথবা বড়ো হতে পারে। ছোট হলেও সঠিক উত্তরে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যাবে।