কী খাবেন ভালো থাকতে হলে ?

Submitted by avimanyu pramanik on Thu, 04/07/2011 - 10:51

Image removed.

ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই সহনশীল উষ্ণ জল পান করা উচিত। বিশুদ্ধ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হবে। এরপর নেওয়া যেতে পারে এক গ্লাস লাউয়ের রস ও গাজরের রস। অঙ্কুরিত মুগ ও ছোলা দিয়ে প্রাতরাশ সারা যেতে পারে ।
উপকার হবে বলে কোনও খাবারই একসঙ্গে বেশি করে বা বারে বারে অনেক কিছু খাওয়া একদম উচিত নয় ।
দুপুরের খাওয়াতে ভাত বা রুটির সঙ্গে প্রচুর সবজি যেমন পালং , লাউ , শিম বাঁধাকপি , মটরশুঁটি ইত্যাদি ও সঙ্গে খোসা যুক্ত মুগ ডাল খাওয়া যেতে পারে ।
দ্বিপ্রাহরিক আহারের পর লস্যি খেতে পারলে ভাল হয় ।
রাতের খাবার বেশি রাত করে খাওয়া উচিত নয় । ভাত বা রুটির সঙ্গে প্রচুর সবজি খাওয়া দরকার । রাতে

খাওয়ার পর দুধ পান করা উচিত । অনেকের দুধ সহ্য হয় না তাঁরা দুধে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে সমস্যার সৃষ্টি হবে না ।
দুধের সঙ্গে নুন মেশানো ঠিক নয় । সূর্যাস্তের পর দই কখনোও না ।
খাদ্য গ্রহনের এক ঘন্টা পর জল পান করা উচিত । বোতলবন্দী ঠান্ডা রঙ্গিন পানীয়ের পরিবর্তে দইয়ের ঘোল , লেবুর শরবত , আমপোড়ার শরবত , বেলের শরবত পান অনেক বেশি উপকারী । ধুমপান, মদ্যপান ও বাজারে বিক্রিত পান  মশলা খেতে নিষেধ করেন ।
 

স্বামী রামদেব ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার এবং আর্থারাইটিস এর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রাণায়াম ও যোগের পাশাপাশি কিছু খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার ও কিছু খাদ্য বর্জন করার পরামর্শ দেন ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রাতরাশ সারুন স্যালাড আর শাক সবজি দিয়ে । মেথি শাক বা পালং শাকের পরোঠা খাওয়া যেতে পারে । আটা বা ময়দার পরিবর্তে ছোলার আটা দিয়ে রুটি খাওয়া বেশি ভালো ।পরিমিত আহার ও ঘাম ঝরানো পরিশ্রম যেমন দরকার তেমনি খাদ্য তালিকায় নিত্য থাকা উচিত কাঁচা পেঁপে , টম্যাটো, শসা , করলা । ফলের মধ্যে পেয়ারা আনারস আমলকি , যে কোনো লেবু , আর অবশ্যই কালোজাম , কালোজামের দানাকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে শুকিয়ে রাখা যেতে পারে অসময়ে খাওয়ার জন্য । এই গুঁড়ো দু-তিন চামচ জলে মিশিয়ে খেলে উপকার হয় ।
সুগার নিয়ন্ত্রণে শসা, করোলা, টম্যাটো নিমপাতা, নয়নতারা ফুল বেটে সাত দিন পরপর ওই রস খেতে হবে ।
ব্লাড প্রেশারে সকালে খালি পেটে এক কাপ লাউয়ের রস অব্যর্থ ওষুধ। যাঁদের অল্পেতেই ঠান্ডা লাগার ধাত তাঁরা এই রসে এক চিমটে গোলমরিচ মিশিয়ে নিন। উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় প্রয়োজনে দুধ, ঘি, মাখন, মাংস, নুন, টক, চিনি, মশলা, অত্যন্ত কড়া চা ও কফি  ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলা ও মাদক দ্রব্য এবং ধুমপান চিরতরে পরিত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় কমলালেবু , টম্যাটো, কাঁকড়ি, পেঁয়াজ , সয়াবিনের দই রাখতে হবে ।

বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ভোরবেলা খালি পেটে এক চা চামচ মেথির গুঁড়ো জলে মিশিয়ে খেলে হাঁটুর যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ।
দু কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে তারপর এক কাপ গোরুর দুধ খেলে বাতের বেদনার হাত থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যায় ।
কিম্বা টক দইয়ের লস্যিতে আদার গুঁড়োর সঙ্গে চার-পাঁচ কোয়া রশুন খেলেও উপকার পাওয়া যায় ।
আবার কোমরের যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেতে পোস্ত ও মিছরি সমান পরিমানে গুঁড়ো করে সকাল-সন্ধ্যে গোরুর দুধের সঙ্গে পাঁচ ছ চামচ করে খেতে হবে ।
পানীয় জলে তুলসী পাতা আর ছোট এলাচ থেঁতো করে মিশিয়ে পান করলে আরাম বোধ হবে ।
অল্প আদা এক গ্লাস জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায় ।
 
হৃদরোগের আক্রমণ প্রতিরোধে লাউয়ের রস অদ্বিতীয় । লাউয়ে রসের সঙ্গে পুদিনা আর তুলসী পাতা মিশিয়ে খালি পেটে খেতে পারলে উপকার হয় ।
ভোরবেলা কয়েকটা পেস্তা খেলেও হৃদযন্ত্র ভালো থাকে । অতিরিক্ত তেল মশলা এড়িয়ে চলা দরকার ।

মেদ বৃদ্ধি রুখতে ভোরবেলা খালি পেটে এক কাপ গরম জলে আধ খানা পাতি লেবুর রস ও দু চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে ।
ত্রিফলার গুঁড়ো এক চা চামচ আগের দিন রাতে গরম জলে ভিজিয়ে পরদিন ফুটিয়ে ছেঁকে পান করুন - মেধ ঝরে যাবে ।
স্যালাড খান ও মিষ্টি এড়িয়ে চলুন ফল পাবেন ।

***

Comments

Related Items