পরিমাপ সংক্রান্ত গাণিতিক উদাহরণ

Submitted by arpita pramanik on Mon, 03/26/2018 - 23:28

পরিমাপ সংক্রান্ত গাণিতিক উদাহরণ (Mathematical Example) :

1.  D1 ও D2 ঘনত্বের দুটি পদার্থকে সমভরে মেশানো হলে মিশ্রণের ঘনত্ব কত হবে ?

ধরা যাক, মিশ্রিত পদার্থ দুটির প্রতিটির ভর m ।

এতএব, মিশ্রণে পদার্থ দুটির আয়তন [tex]\frac{m}{{{D_1}}}[/tex] ও [tex]\frac{m}{{{D_2}}}[/tex] । 

এতএব, এই দুটি পদার্থের মিশ্রণের আয়তন = [tex]\frac{m}{{{D_1}}} + \frac{m}{{{D_2}}} = m\left( {\frac{{{D_1} + {D_2}}}{{{D_1}{D_2}}}} \right)[/tex]

এবং মিশ্রণের ভর = [tex]m + m = 2m[/tex]

এতএব মিশ্রণের ঘনত্ব = ভর / আয়তন = [tex]\frac{{2m}}{{m\left( {\frac{{{D_1} + {D_2}}}{{{D_1}{D_2}}}} \right)}} = \frac{{2{D_1}{D_2}}}{{2{D_1} + {D_2}}}[/tex]

 

2. দুটি তরলের ঘনত্ব যথাক্রমে 1.2 g/cm3 ও 0.8 g/cm3 । তরল দুটিকে সমভরে মেশানো হলে মিশ্রণের ঘনত্ব কত হবে ?

ধরা যাক, উভয় তরলের m g নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়েছে ।

প্রথম তরলের আয়তন = [tex]\frac{m}{{1.2}}c{m^3}[/tex]

দ্বিতীয় তরলের আয়তন = [tex]\frac{m}{{0.8}}c{m^3}[/tex]

[tex]\therefore[/tex] তরল দুটির মিশ্রণের আয়তন [tex](V) = \left( {\frac{m}{{1.2}} + \frac{m}{{0.8}}} \right)c{m^3}[/tex]

মিশ্রণের ভর [tex](M) = (m + m) = 2mg[/tex]

[tex]\therefore[/tex] মিশ্রণের ঘনত্ব [tex] d = \frac{M}{V} = \frac{{2m}}{{\frac{m}{{1.2}} + \frac{m}{{0.8}}}}[/tex]

বা, [tex]d = \frac{{2 \times 1.2 \times 0.8}}{{1.2 + 0.8}}g/c{m^3} = 0.96g/c{m^3}[/tex]

 

3. 4°C তাপমাত্রায় 40 g জলে একটি পাত্র সম্পূর্ণ ভরতি হয় । ওই পাত্রটিতে 32 g কেরোসিন ধরলে কেরোসিনের ঘনত্ব কত ?

4°C তাপমাত্রায় 1 g জলের আয়তন 1 cm3 । সুতরাং ওই তাপমাত্রায় 40 g জলের আয়তন 40cm3  ।     

প্রশ্নানুসারে পাত্রটির আয়তন 40 cm3

অর্থাৎ 32 g কেরোসিনের আয়তন 40 cm3

সুতরাং কেরোসিনের ঘনত্ব = ভর /আয়তন = [tex]\frac{{32}}{{40}} = \frac{4}{5} = 0.8g/c{m^3}[/tex]

 

4. একটি মাপনী চোঙে 60 cm3 জল আছে । একটি কর্ক ও পেরেককে একসাথে বেঁধে ওই চোঙের জলে ডোবালে কর্ক ও পেরেক সমেত জলের আয়তন 80 cm3 । শুধু পেরেকটিকে ওই চোঙের জলে ডোবালে পেরেক সমেত জলের আয়তন হয় 66 cm3 । কর্কের ভর 7g হলে ঘনত্ব কত ?

প্রদত্ত, কর্ক + পেরেক + জলের আয়তন = 80 cm3 

এবং পেরেক + জলের আয়তন = 66 cm3 

এতএব শুধু কর্কের আয়তন = 80 - 66 = 14 cm3

যেহেতু কর্কের ভর 7g,

এতএব কর্কের ঘনত্ব = ভর / আয়তন = [tex]\frac{7}{{14}} = 0.5g/c{m^3}[/tex]  

 

5. CGS পদ্ধতিতে পারদের ঘনত্ব 13.6 g/cm3 হলে SI তে পারদের ঘনত্ব কত ? 

CGS পদ্ধতিতে পারদের ঘনত্ব d = 13.6 g/cm3 আবার 1 g/cm3 = 1000 kg/m3 

[tex]\therefore[/tex] SI তে পারদের ঘনত্ব = 13.6 x 1000 kg/m3 = 13600 kg/m3

 

6. একটি জলের ট্যাংকের দৈর্ঘ্য 1.2 m, প্রস্থ 1 m ও উচ্চতা 0.8 m । ট্যাংকের জলের আয়তন কত লিটার ?

ট্যাংকের জলের আয়তন = 1.2 m x 1 m x 0.8 m

= 0.96 m3 = 0.96 x 1000 L = 960 L 

 

7.  লোহার তৈরি একটি নিরেট গোলকের ব্যাস 21 m । লোহার ঘনত্ব 7.8 g/cm3 হলে গোলকের ভর কত ?

প্রশ্নানুযায়ী গোলকের ব্যাস = 21 cm

[tex]\therefore[/tex] গোলকটির ব্যাসার্ধ [tex]r = \frac {{21}}{2}cm[/tex];

লোহার ঘনত্ব d = 7.8 g/cm3

[tex]\therefore[/tex] গোলকের আয়তন [tex]V = \frac{4}{3}\pi {r^3} = \frac{4}{3} \times \frac{{22}}{7} \times {\left( {\frac{{21}}{2}} \right)^3} = 4851[/tex] cm3 

[tex]\therefore[/tex] লোহার গোলকটির ভর [tex]m = d \times V = 7.8g/c{m^3} \times 4851c{m^3} = 37837.8g = 37.84kg[/tex] (approximate)

 

8. দুটি তরলের ঘনত্ব যথাক্রমে 1.2 g/cm3 ও 1.5 g/cm3 । তরল দুটিকে সম-আয়তনে মেশানো হলে মিশ্রণের ঘনত্ব কত হবে ?

ধরা যাক, উভয় তরলের V cm3 আয়তন নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করা হয়েছে ।

প্রথম তরলের ভর = প্রথম তরলের ভর x তরলটির আয়তন = 1.2 V g

দ্বিতীয় তরলের ভর = দ্বিতীয় তরলের ভর x তরলটির আয়তন = 1.5 V g

[tex]\therefore[/tex] তরল দুটির মিশ্রণের ভর [tex]m = (1.2V + 1.5V)g = 2.7Vg[/tex]

মিশ্রণের আয়তন [tex]{V_1} = (V + V)c{m^3} = 2Vc{m^3}[/tex]

[tex]\therefore[/tex] মিশ্রণের ঘনত্ব [tex]\frac{m}{{{V_1}}} = \frac{{2.7Vg}}{{2Vc{m^3}}} = 1.35g/c{m^3}[/tex]

*****

Comments

Related Items

ক্ষারক ও ক্ষারকের ধর্ম

ক্ষারকের গুলি হল---ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ নির্দেশকের (Indicators) বর্ণ পরিবর্তন করে । যেমন ক্ষারকের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে । ক্ষারকের সঙ্গে অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় লবণ এবং জল উৎপন্ন হয় ।

অ্যাসিড ও অ্যাসিডের ধর্ম

সব অ্যাসিড কমবেশি অম্ল স্বাদ যুক্ত । লেবু, আমলকি, তেতুল, টক দই প্রভৃতিতে অ্যাসিড আছে । সেই জন্য এদের স্বাদ অম্ল যুক্ত । অ্যাসিড নির্দেশকের (Indicators) বর্ন পরিবর্তন করে । অ্যাসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে এবং মিথাইল অরেঞ্জ এর রং কমলা থেকে লাল বর্ণে পরিণত করে । এর দ্বারা অ্যাসিডকে সনাক্ত করা হয় ।

বল এবং বলের পরিমাপ

নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে আমরা বলের সংজ্ঞা পাই । এই সূত্র থেকে বোঝা যায় কোন বস্তুর উপর বাইরে থেকে কিছু প্রয়োগ করলে তবেই বস্তুটির অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন হয় । কোন জড় বস্তু জাড্য ধর্মের জন্য নিজে থেকে নিজের অচল বা সচল অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে না ।

পদার্থের জাড্য ধর্ম (Inertia of Matter)

জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজের স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তনে বাধা দেয় বা জড়বস্তু যে ধর্মের জন্য নিজে যে অবস্থায় থাকে সেই অবস্থায় থাকতে চায় সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা (Inertia) বলে । এজন্য নিউটনের প্রথম গতিসূত্রকে জাড্যের সূত্র ( Law of Inertia) বলে।

নিউটনের গতিসূত্র

বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন (Sir Isaac Newton) বস্তুর গতি সম্পর্কে তিনটি মূল্যবান সূত্র আবিষ্কার করেন । এই সূত্র নিউটনের গতিসূত্র নামে পরিচিত । দার্থবিদ্যা (Physics)এবং কারিগরি বিদ্যার অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে নিউটনের গতিসূত্র দ্বারা